মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর নতুন চাল- বর্তমানে শেয়ারের যা দাম, তা খুবই লোভনীয়। স্বল্পমূল্যে এই শেয়ারগুলো কেনার জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা নেই। কারণ বিশাল অংকের ঋণ বিতরন করা হয়েছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার (রেমিট্যান্স) অপর্যাপ্ত/স্বল্প সরবরাহ। তাই তারা বাজার থেকে তাদের ঋণের টাকা তুলে নিচ্ছে বিনিয়োগের জন্য। আর তাই প্রতিদিনই ঘটছে ফোর্সড সেল, ট্টিগার সেলের ঘটনা।
আর বিনিয়োগকারীদের সাথে কথা বলে বুঝলাম যে, প্যানিক সেলাররা অনেক আগেই বাজার থেকে পালিয়েছে/বেরিয়ে গিয়েছে। কারণ, অনেকে বলছে- বাজার কতদূর নামে দেখতে চাই, এই দামে বেচবো না। যা লোকসান হওয়ার তাতো হয়েই গিয়েছে, আর খুব বেশি নামবে না। অনেকে বলছে- ডিভিডেন্ড খেলে পুষিয়ে যাবে। অনেকে বোকার মত সাহস করে এই বাজারেও বিনিয়োগ করছে, ঋণ নিয়ে! যেহেতু সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করতে চাচ্ছেনা, তাহলে এখন শেয়ার বিক্রি করছে কারা, কিনছেই বা কারা।
তাই দুয়ে-দুয়ে চার মিলিয়ে নিলাম।
বিক্রি করতে বাধ্য করা হচ্ছে, আর বেশিরভাগই কিনছে সরকারী
প্রতিষ্ঠান গুলো। আর বাকি কিছু কিনছে গড় ক্রয়মূল্য কমানোর জন্য কিছু সাধারণ বিনিয়োগকারী, কেউ নিজের টাকায় আর কেউ লোনের। এই মুহুর্তে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উচিত লোন নিয়ে শেয়ার ক্রয় না করে, ধৈর্য ধরা। এক মাসের মধ্যেই মনে হচ্ছে, বাজার থেকে লোনের টাকা পুরোপুরি বেরিয়ে যাবে।
তারপর বাজার বেশ কিছুদিনের জন্য পরিণত হবে ঢেউবিহীন সাগরে। আবার তাতে ঢেউ উঠবে, ঝড় বইবে। তবে মনে হচ্ছে, পাঁচ মাসের মত সময় লাগবে ঝড় আসতে আসতে।
বিঃ দ্রঃ- এই লেখায় আমি আমার যুক্তিতে যা সম্ভব মনে হয়েছে তাই লিখেছি। ভূল হয়ে থাকলে সংশোধন করে দেবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।