মঙ্গলবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেজ্ঞ কমিশনের (বিএসইসি) নিয়মিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সঞ্চিতি সংরক্ষণের সময় চলতি ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি এই সিদ্ধান্ত নিল।
এর ফলে গ্রাহকদের দেয়া মার্জিন ঋণের ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর যে ক্ষতি হয়েছে, তার জন্যও তারা প্রভিশনিংয়ের সুযোগ পাবে। ২০১৩ সালের মূল্যহ্রাসজনিত ক্ষতিও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।
একই সুবিধা পাবে স্টক ব্রোকার ও ডিলাররাও।
এর আগে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি এক আদেশে মার্চেন্ট ব্যাংকের নিজস্ব পোর্টফোলিও শেয়ারে সম্ভাব্য ক্ষতির বিপরীতে পাঁচ ধাপে সঞ্চিতি সংরক্ষণের জন্য ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিল। এক বছরের মাথায় আবার তা বাড়ানো হলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সময় বাড়ায় স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলার ও মার্চেন্ট ব্যাংকারদের এখনই লোকসান দেখাতে হবে না। লাভ-লোকসানের হিসাব তাদের পরে দেখালেও চলবে।
ফলে কোনো পোর্টফোলিওতে লোকসান থাকলে তা এখনি বিক্রিও করতে হবে না। ”
গত এক বছরে শেয়ার ব্যবসার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য মারচেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ বলে মনে করছেন আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো. মুনিরুজ্জামান।
“কিছু মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের মূলধন ঋণাত্মক ঘরে চলে যেত। এই সুযোগে তারা ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পেল। ”
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেজ্ঞ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে শেয়ারবাজারে মার্জিন ঋণের পরিমাণ ১৩ হাজার কোটি টাকার মতো, বাজার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় যার একটি অংশ অনাদায়ী পড়ে আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।