নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!!
যারা শেয়ার বাজার বোদ্ধা তারা এ লেখা না পড়াই বেটার। আর আমার মত আমজনতারা স্বাগতম। যতটুকু বুঝি বড় কারবারে বড় পুঁজির দরকার হয়। আর গচ্ছিত অলস টাকা খাটিয়ে জনতাও ২/৪ পয়সা রোজগার করতে চায়। উভয় পক্ষের সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় হতে পারে ২ ভাবে- হয় ঋন নয় মালিকানার খন্ডাংশ তথা শেয়ারের মাধ্যমে।
তাই ব্যাংকিং খাত ও পুঁজিবাজার এ দুটো যেকোনো দেশের বৃহত্তম আর্থিক রক্তনালী হিসেবে গন্য। ঋনের 'খরচ বেশী ও অবশ্যই ফেরৎযোগ্য'- তাই অনেক বড় আকারের পুঁজির জন্য 'নি:খরচা ও কখনোই ফেরৎ দিতে হয় না' বৈশিষ্ঠের শেয়ার তুলনামূলক জনপ্রিয় যদিও এতে মালিকানার খর্ব ও তথ্য প্রকাশের কস্ঠ করতে হয়।
আর শেয়ার কিনে যদি হস্তান্তর করা না যায়- শুধু মাত্র বছর শেষে ডিভিডেন্ডের জন্য 'তীর্থের কাক' দশা হয় তাহলে হয়তো পাবলিক তা কিনতে চাইবে না। তাই এল শেয়ার বাজার। বড় বড় কোম্পানির ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মালিকানার সত্ত্ব বছরব্যাপী কেনাবেচার হাট।
কথা ছিল এ হাটে থাকবে সেরকম অসংখ্য বাস্তব শেয়ার ও অসংখ্য বাস্তব যোগান এবং তাদের খরিদ্দার/বিক্রেতা। আছেও তেমনটি কিন্তু প্রচুর 'ভূয়া' বস্তু যোগ হয়েছে, বল্গাহীন ভাবে বেড়েছে খদ্দের।
ঢাকা/চট্টগ্রামের বাজারে লিস্টেড ভাল শেয়ারের এমনিতেই আকাল। অপরদিকে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার আশায় অবসরপ্রাপ্ত, গৃহিনী, ছাত্র, বেকার, পিয়ন, সুইপার, ব্যাংক কর্মকর্তা, সচিব যার যা জমানো টাকা আছে তা ২/৪ গুন বিনাশ্রমে বাড়িয়ে নেয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ২ বাজারে। সোজা কথায় শেয়ারের যোগানের চেয়ে চাহিদা ঢের বেশী।
অথচ এ আগুনে ঘি ঢালার মত 'মার্জিন লোন' নামক সরস এক বস্তু আইন গত ভাবেই বিদ্যমান। নানা ধরনের ঘাট দিয়ে তা এদিক ওদিক করা হলেও মোদ্দাকথায় এ লোন বাজারে ঘি ঢালছে বৈ কিছু নয়।
আরেক ঘোড়ার ডিম মিউচুয়াল ফান্ড। ১০ জন টাকা দিয়ে ফান্ড করে বোদ্ধা ফান্ড ম্যানেজার ভাড়া রেখে তা শেয়ার বাজার বা অপরাপর খাতে খাটালে (যা এটার আদর্শ) তা দোষের কিছু নয়। কিন্তু সে একই বস্তু বাজারে এনলিস্টেড হয়ে নিজেই 'শেয়ার' হয়ে ট্রেডেড হলে তা ১ কাক ২ বার গোনা হয় মাত্র।
মজার ব্যাপার হল- এগুলো নাকি ভাল শেয়ার!
আজ এ পর্যন্তই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।