সাহেব-বিবি-গোলাম.....সাবধান..
আজকাল ট্রেনের টিকিট পাওয়া খুব কষ্টের কাজ। তার উপর আবার টিকিট বিক্রেতাদের অতি খারাপ ব্যবহার। হতে পারে তারা খুব ব্যাস্ত। কিন্তু তাদের কাজ যে ওটাই। ট্রেনের টিকিট কাটতে আবার লাইনের সমস্যা।
কে কাকে ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। আর যখন বলে সিট নাই সেটা কেমন লাগে। আর এত কষ্ট করে টিকিট কাটার পর যখন অসুস্থ রোগীর মত হাপাতে থাকা ট্রেন গুলোতে যাত্রীদের জন্য কোনরকম সুবিধা থাকে না, সেটা? বাংলাদেশে ট্রেনে ভ্রমণ করেছেন কিন্তু এ রকম পরিস্থিতির শিকার হননি এ রকম লোক পাওয়া কঠিন। এ ছাড়াও রয়েছে ট্রেনের মাঝে বিভিন্ন রকম অসুবিধা। মানসম্মত খাবারের অভাব।
আগের দিনের খাবার চালিয়ে দেয়া হয় হরহামেশাই। আর দাম টা সবসময় বেশি। আর চা খেতে গেলে হবে নতুন অভিজ্ঞতা। পুরাতন চা এর ব্যগ ডুবিয়ে দেয়া হয় চা কাপে। মসজিদ আছে তবে সেখানেও চলে ব্যবসা।
রাতের ট্রেনে যখন সিট ফাকা থাকে না তখন ট্রেনের পরিচালক কর্মকর্তাগন সেখানে বেশি টাকার বিনিময়ে সিট দিয়ে থাকে। এ সকল সুবিধাও আবার কোন কোন ট্রেনে নেই। রাতে প্লাটফর্মে প্রবেশ অনুমতি না পেলে সেখানে কিছু পুলিশ সুবিধা নেয়। প্রতি জন কমপক্ষে ২০ টাকার বিনিময়ে প্রবেশ করায়। এত গুলো সমস্যা যাত্রীদের জন্য কিছুই হত না যদি সরকারী কচ্ছপগুলো সঠিক সময়ে গন্ত্যব্যে পৌছুতো।
কম খরচে যাত্রীরা যাত্রা সুবিধা পায়, এটাই তাদের একমাত্র সান্তনা। আমাদের আশা এ সরকারী কচ্ছপ একদিন খরগোশ হবে। আমরা আর কচ্ছপকে জয়ী করতে চাই না। কচ্ছপকে জয়ী করি বলেই আমাদের ভাগ্যে জুটে কচ্ছপ সরকার, ..... আর কিছু বলতে চাই না। শুধু সুস্থ-সবল ট্রেন চাই..সঠিক ব্যবস্থাপনা চাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।