বিদ্যাই বল একদিন খরগোশ ও কচ্ছপের মধ্যে ঝগড়া লাগল যে কে ভাল দৌড়বিদ ? কোন ভাবেই ঝগড়ার মিমাংসা না হওয়ায় তারা প্রতিযোগিতার আয়োজন করল । যে বঙ্গবাজার থেকে মোহাম্মদপুর সবার আগে যাইতে পারবে সেই চ্যাম্পিয়ন । তা যাই হোক , দৌড় শুরু হল । খরগোশ ভাই তো জোশের চোটে এক দৌড়ে পলাশির মোড়ে আইসা পড়ল । পিছনে তাকাইয়া দেখে কচ্ছপের দেখা নাই ।
খড়গোশ তো মহা খুশি । শালা , আমার সাথে লাগতে আইসে । তো খরগোশ আরামছে মজা নিয়া হাটতাছে । তো হটাত করে দেখে সামনে একটা বাস দাড়াইয়া আছে । গায়ে লেখা ১৩ নাম্বার , ধুপখোলা,...,পলাশি, মোহাম্মদপুর।
ইউরেকা , ইউরেকা । খড়গোশ খুশিতে লাফ দিয়া উঠল । যাক বাবা , বাসে করে আরামসে মোহাম্মদপুর চলে যাব , আর কচ্ছপ কষ্ট কইরা হাইটা আইসা দেখব আমি দুইদিন আগেই পৌছাইয়া গেছি । এই ভেবে খড়গোশ বাসে উঠে পড়ল । আমি তো এমনিই চলে যাব , এই ফাকে একটা ঘুম হয়ে যাক - এই ভেবে খড়গোশ বাসের ছিটে হেলান দিয়া ঘুম দিল ।
হটাত করে ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন দেখে খরগোশের ঘুম ভেঙ্গে গেল । উঠে দেখে সন্ধ্যা হয়ে গেছে । সর্বনাশ এতক্ষন ধরে ঘুমাইলাম , বাস তো অনেক আগেই পৌছাইয়া গেছে , হেল্পার ডাক দেই নাই কেন ? খড়গোশ হেল্পার কে দিল এক ঝাড়ি - বেটা মোহাম্মদপুরে এসে ডাকছ নাই কেন ? বাস দাড় করাইয়া রাখছিস । হেল্পার তো কথা শুনে আকাশ থেকে পড়ার অবস্থা । ভাই কি ডাল খাইছেন নাকি ।
বাস তো সিটি কলেজের সামনে , বাস পুরা ভরে নাই দেইখা দাড় করাইয়া রাখছি । খড়গোশ ইয়া মাবুদ বলিয়া বাস থেকে নাইমা ঝেড়ে দৌড় । হায় এ কোন বাসে উঠছি ? আমার এখন কি হবে কচ্ছপ তো জিতে যাবে ? এ কি করলাম । পুরা পথ দৌড়াইয়া খড়গোশ মোহাম্মদপুরে পৌছাইয়া দেখল , কচ্ছপ অনেক আগেই পোছাইয়া গেংনাম স্টাইলে নাচতাছে । রাগে দুঃখে ক্ষোভে ব্যাথায় ... খড়গোশ অস্ফুটে উচ্চারন করিল - "১৩ নাম্বার বাস আমার ..."
গল্পের মোরাল -১ ঃ কষ্ট কইরা দৌড়াইয়া যা তাও ১৩ নাম্বার বাসে উঠিস না ।
গল্পের মোরাল -২ ঃ বাসে উঠলে ঘুমাবি না ।
গল্পের মোরাল -৩ ঃ ১৩ নাম্বার বাস কচ্ছপের চাইতেও ধীর গতির । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।