আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাংবাদিক ভায়েরা প্লিজ স্টেডিয়ামের অসহায় দর্শকদের জন্য কিছু লিখেন...(রি-পোস্ট)

আসুন সবাই দেশটার ভাল চাই। সব বিভেদ ভুলে যাই।

দুই/তিন রাত লাইনে দাড়িয়ে টিকেট কেটে খেলা দেখতে যায় আমাদের ক্রিকেট প্রান দর্শকরা। স্টেডিয়ামের ভিতর কোন খাবার নিতে দেয়া হয় না এই অসহায় দর্শকদের। যারা সাহস করে সামান্য নুডুলস নিয়ে গেছেন তা পর্যন্ত কেড়ে নেয়া হয়েছে এবং ভিতরের ২০০ টাকার তৈলাক্ত খারাপ বিরানী অথবা ১৫০ টাকার বার্গার(!) খেতে বাধ্য করা হচ্ছে। অসহায় সীমিত আয়ের অন্তত ৫০% গ্যালারীর দর্শক সারাদিন শুকনো মুখে প্রান খুলে দেশকে পাগলের মত সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে অথচ কর্তপক্ষ স্পন্সরের নামে পরনের প্যান্টটি পর্যন্ত খুলে দিয়ে কিছু না জানার ভান করছেন। সামান্য পানি (অবশ্যই লেবেল খুলে রাখার পর) নিয়ে স্টেডিয়ামে যেতে পারে না সাধারন দর্শকরা! যে গ্লাসে চা খাওয়া হয় সেই রকম ছোট প্লস্টিক গ্লাসের ১ কাপ পানি ৫ টাকা ! যে দেশের সাপোর্টাররা সারাদিন গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করে ক্রিকেটকে তারা কেন শুকনো মুখে না খেয়ে (এমনকি পানি ও) সারাদিন খেলা দেখবে? যখন চোখের সামনে দেখি স্কুল পড়ুয়া ২ কিশোরের ফ্রায়েড রাইছ আর চিকেন ফ্রাই পানি সহ কেড়ে নিয়ে ফেলে দেয়া হচ্ছে তখন খেলা দেখার মনটাই উঠে যায়। হয়তো যত্ন করে ওদের মা বক্সে খাবারটুকু ভরে দিয়েছে তার ছেলেদের জন্য। কর্তৃপক্ষ/সাংবাদিক ভাইরা এসব দৃশ্য কি আপনাদের চোখে পড়ে না? খাবার ফেলার সময় ছেলে দুটোর অনেক আকুঁতি ছিল..তাদের কাছে সামান্য টাকা আছে যা দিয়ে ভিতরের খাবার কেনা যাবে না..তারা আরো বলছিল কত কস্ট করে ২ রাত জেগে ওই টিকেট দুটো সংগ্রহ করছিল..হায় আমাদের ক্রিকেট প্রান দর্শক !!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.