জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা-২০১৩ কর্তৃক নির্ধারিত ষষ্ঠ শ্রেণীর ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ের ২য় পৃষ্ঠায় তাওহীদে বিশ্বাসের উদাহরণ দিতে গিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি এক মূর্তিপূজক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং উনার পিতা ছিলেন মন্দিরের পুরোহিত।” নাউযুবিল্লাহ! হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকেই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে এরূপভাবে মনোনীত যে, উনাদের কারো পিতা-মাতা পর্যন্ত কেউই কাফির কিংবা মুশরিক ছিলেন না। বরং উনাদের মধ্যে অনেকে নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। বিস্তারিত এখানে আর যাঁরা নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না, উনারা ঈমানদার তো অবশ্যই উপরন্তু উনারা ছিলেন উনাদের যুগে মহান আল্লাহ পাক উনার লক্ষ্যস্থল বান্দা ও ওলী উনার অন্তর্ভুক্ত। এটাই হচ্ছে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও পবিত্র ক্বিয়াস উনাদের মত এবং আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ উনাদের মত। এ মতের বিপরীত মত, অর্থ, ব্যাখ্যা, বক্তব্য, লিখনী সবই কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। কাজেই, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, ঢাকা-২০১৩ কর্তৃক নির্ধারিত ষষ্ঠ শ্রেণীর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ের ২য় পৃষ্ঠায় মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত পিতা ও পরিবার সম্পর্কে যে মারাত্মক কুফরী লিখনী ছাপা হয়েছে তা অতিসত্বর মুছে ফেলা উচিত এবং এ সমস্ত কুফরী প্রকাশনার বিরুদ্ধে মুসলমান জনগণেরও প্রতিবাদ করা উচিত। অন্যথায় এ কুফরীর কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সমর্থনকারী প্রত্যেকেই পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার থেকে খারিজ হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদে পরিণত হবে এবং কুফরীর হালতে মৃত্যুমুখে পতিত হয়ে পরকালে জাহান্নামের কঠিন আযাব-গযবের সম্মুখীন হবে। মূল লিংক
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।