ওহ্ ! খোকা ! ধীরে ধীরে আমি তোমার ছোট্র কঠিন জীবনটা কিছুটা বুঝতে পারছি। ব্যাথার রং নিয়ে কোন ছবি আঁকতে না পেরে, দীর্ঘ সময় সুধু সূর্য্যাস্তের সৌন্দর্য্য অন্বেষণেই ব্যাস্ত রেখেছ নিজেকে। সেটা যানতে পারলাম চতুর্থদিনের সকালে। যখন তুমি বললে:
"আমি সূর্য্যাস্ত দেখতে খুব ভালবাসি। চলনা একটা সূর্য্যাস্ত দেখি।
"
তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
কেন?
সূর্য্যা অস্ত গেলেই তবে সূর্য্যাস্ত দেখতে পাবে।
তুমি প্রথম খুব অবাক হয়ে ছিলে। এবং তার পর একচোট হেসে বলেছিলে:
আমার সব সময় মনে হয়, আমি বাড়িতেই আছি।
আমেরিকায় যখন দুপুর, ফ্রান্সে তখন সূর্য্যাস্ত।
সেটা সবাই যানে। আমেরিকার কোন লোক যদি ফ্রান্সের সূর্য্যাস্ত দেখতে চায়, তবে তাকে এক মিনিটে ফ্রান্স আসতে হবে। দূর্ভাগ্যক্রমে ফ্রান্স আমেরিকা থেকে অনেক দূরে। কিন্তু তোমার গ্রহ পৃথিবীর তুলনায় অনেক ছোট বলে, সূর্য্যাস্ত দেখতে চাইলে, কয়েক পা পিছিয়ে গেলেই হয়। এবং যতবার ইচ্ছে সূর্য্যাস্ত দেখতে পারবে।
একদিন আমি তেতাল্লিশ বার সূর্য্যাকে ডুবতে দেখেছি।
একটু পরে বলেছিলে:
যানোতো! মন খারাপ করলে সূর্য্যাস্ত দেখতে খুব ভাল লাগে।
তার মানে, তেতাল্লশ বার যেদিন সূর্য্যাস্ত দেখেছিলে, সেদিন তোমার খুব মন খারাপ করে ছিল।
চলবে...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।