আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এবার ছাত্রলীগ ক্যাডার বাহিনির হােত লাঞ্চিত হোলেন বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. ননী গোপাল দাস!!!!!!!!!!!



বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. ননী গোপাল দাসকে লাঞ্চিত করেছে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১২ টায় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিএম কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবীতে মিছিল ও সড়ক অবরোধের পর অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে তাকে অশালীন ভাষায় গালাগাল করে এবং কক্ষের চেয়ার টেবিলসহ অন্যান্য মালামাল লন্ডভন্ড করে ফেলে। একই সঙ্গে প্রায় দুই ঘন্টা অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখে। জানা গেছে, বিএম কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবীতে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক মঈন তুষার, নাহিদ সেরনিয়াবাদ, হাতেম আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগ বাবলু জোমাদ্দার, শাওন, নয়ন, জসিমসহ অর্ধশত ক্যাডার বেলা ১১টায় ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্টে মিলিত হয়। এরপর তারা প্রশাসনিক ভবনের অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে।

বাকসু নির্বাচন নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে মঈন তুষার, নাহিদের কথার কাটাকাটি ঘটে। একপর্যায়ে নাহিদ, তুষার ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যক্ষকে ধাক্কা মারে ও গালাগালি করে। এছাড়া কক্ষে থাকা চেয়ার টেবিল ভাংচুর চালায়। কলেজের শিক্ষকদের হস্থক্ষেপে দুপুর পোনে ২টায় ক্যাডাররা অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করেন। অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ননী গোপাল দাসের সাথে আলাপকালে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

তিনি জানান, কক্ষে অপ্রীতিকর ঘটনায় শিক্ষকদের নিয়ে এক বৈঠকে বসা হয়েছে। ছাত্রলীগ ক্যাডার মঈন তুষার বলেন, বাকসু নির্বাচনের দাবীতে ছাত্ররা দীর্ঘ দিন ধরে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। কিন্তু অধ্যক্ষ ছাত্রদের আন্দোলনের বিষয়টি নজরে নিচ্ছেন না। এজন্য ক্ষুদ্ধ ছাত্ররা অধ্যক্ষকে কয়েক ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তিনি আরো জানান, দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক রফিক সেরনিয়াবাদ বলেন, বাকসু নির্বাচনের দাবী সকল ছাত্রদের। কর্তৃপক্ষও বলেছেন কলেজে সকল ছাত্রসংগঠনের অংশগ্রহনে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ন পরিবেশ সৃষ্টি হলেই ছাত্র সংসদ নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করা হবে। রফিক সেরনিয়াবাদ আরো বলেন, শিক্ষকদের উপর হামলা করে আন্দোলনের কোন মানে হয় নি। তিনি এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। একই কথা বললেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক মাকসুদুল আলম মাকসুদ।

বাকসুর সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ফয়সাল বিন ইসলাম বলেন, বাকসু নিবাচন ছাত্রদের দাবী। এটা দ্রুত হওয়াও উচিৎ। কিন্তু কলেজে বিশৃঙ্খলা বা নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করে আন্দোলন করা কোন সংগঠনের সাংগঠনিক কর্মকান্ড হতে পারে না। বিশেষ করে শিক্ষকদের লাঞ্চিত করার বিষয়টি বিস্ময়কর। তিনি আরো বলেন, এরা ছাত্রলীগের রাজনীতিকে বিতর্কিত করে কলেজের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে চলছে।

কলেজে এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দেয়া ক্যাডারদের শাস্তি হওয়া উচিৎ বলে তিনি মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, বি.এম কলেজ ছাত্রসংসদের (বাকসু) সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০২ সালে। এরপর আর কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। -

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.