আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্রষ্টা বা সৃষ্টিকর্তা কে?

পড়ো, তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন জমাটবদ্ধ রক্ত হতে। পড়ো, আর তোমার প্রতিপালক মহিমান্বিত, যিনি কলমের দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। (আল-কুরআন, সূরা-আলাক, আয়াত ১-৫)

*হে ইসরাঈলের পুত্রগণ! তোমরা বিশ্বাস কর যে, উযাইর (আলাইহিস-সালাম) আল্লাহর (স্রষ্টার) ছেলে এবং এটাও বিশ্বাস কর যে, তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন।

তোমরা কি কখনো ভেবে দেখেছো যে, আল্লাহর সত্ত্বা চিরঞ্জীব (অমৃত) ও সব কিছুর ধারক, তাহলে তাঁর ছেলের মধ্যেও তো সেই একই গুণাবলী থাকা দরকার ছিল। তা না হয়ে হযরত উযাইর (আলাইহিস-সালাম) মৃত্যু বরণ করলেন কেন? যাঁর মৃত্যু হয়ে যায়, সে কি আল্লাহর (স্রষ্টার) ছেলে হতে পারে? (কখনো না। ) *হে মরইয়াম তনয় ঈসা (আলাইহিস-সালাম) এর অনুসারীগণ! তোমরা বিশ্বাস কর যে, হযরত ঈসা (আলাইহিস-সালাম) আল্লাহর (স্রষ্টার) ছেলে এবং এটাও বিশ্বাস কর যে, ঈসা (আলাইহিস-সালাম) কে শুলে চড়ানো হয়েছে। তোমরা কি কখনো ভেবে দেখেছো যে, আল্লাহ তো সর্ব শক্তিমান, তাহলে তাঁর পুত্র এত অসহায় হলেন কেন যে, তাঁকে শুলে চড়ানো হল? যাকে শুলে চড়ানো হয় সে কি আল্লাহর ছেলে হতে পারে? (কখনো না) *হে হিন্দু থর্মের ভক্তগণ! তোমরা বিশ্বাস কর যে, পৃথিবীতে তেত্রিশ কোটি প্রভূ রয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তি আলাদা আলাদা প্রভূ রাখে, যেন প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে তার আলাদা আলাদা প্রভূ রয়েছে, যে তার প্রয়োজন মিটাবে এবং উদ্দেশ্য পূর্ণ করবে।

আর বাকী বত্রিশ কোটি নিরানব্বই লক্ষ নিরানব্বই হাজার নয় শত নিরানব্বই জন প্রভূ যেন তার উপকার করতে অক্ষম ও অসহায়। তোমরা কি কখনো ভেবে দেখেছো যে, যখন বত্রিশ কোটি নিরানব্বই লক্ষ নিরানব্বই হাজার নয় শত নিরানব্বই জন অক্ষম ও অসহায় হল, তা হলে তাদের মধ্যে থেকে একজন কি করে উদ্দেশ্য পূর্ণ করতে পারবে বা প্রয়োজন মেটাতে পারবে? (কখনো না) তাহলে শুনুনঃ- একত্ববাদ আল্লাহ্ এক তার কোন শরীক নেই,তিনি একক তার মত কেউ নাই, তিনি অমুক্ষাপেক্ষি তার প্রতিদ্বন্দী এবং সমকক্ষ কেউ নাই. তিনি চিরন্তন যার কোন শুরু নেই. তিনি সদা প্রতিস্ঠিত, যার কোন শেষ নাই. তিনি সদা বিদ্যমান, যার কোন অবসান নেই. তিনি অক্ষয় যার কোন ক্ষয় নাই. তিনি সবার প্রথম এবং শেষ. তিনি প্রকাশ্য এবং তিনিই গোপন. পবিত্রতা এই বিস্বাস রাখা যে, আল্লাহ্ তা’আলা সাকার নন, সীমিত পর্দাথ নন, পরিমান বিশিষ্ট নন এবং বিভাজ্য নন. তিনি দেহের অনুরুপ নন. তিনি কোন বিদ্যমান বস্তুর অনুরুপ তিনি নন এবং তিনি কোন বিদ্যমান বস্তুও তার মত নয়. না তার সমতুল্য কেউ আছে না তিনি কারও সমতুল্য. তিনি আরশ, আকাশ এবং পৃথিবীর সীমানা র্পযন্ত সবকিছুর উপরে. তিনি এই ভাবে উপরে যে আরশের নিকটেও নন, আবার পৃথিবী থেকে দুরেও নন. বরং তার র্মযাদা এই সব নৈকট্য এবং দুরত্বের অনেক উর্ধে. এতদসত্তেও তিনি প্রত্যেক বস্তুর সন্নিকটে এবং মানুষের ধমনির নিকটবর্তী. তারনৈকট্য দেহের নৈকট্য এর অনুরুপ নয়. যেমন তার সত্তা দেহের সত্তার অনুরুপ নয়. তিনি কোন বস্তুর মধ্যে অনুপ্রবেশ করে না এবং কোন বস্তু তার মধ্যে অনুপ্রবেশ করে না. তিনি সময়ের বেস্টনির থেকে মুক্ত. তিনি স্থান কাল এবং জন্মের র্পুবে ছিলেন. তিনি এখনও তেমনি আছেন যেমন ছিলেন র্পুবে. তিনি নিজ গুনাবলীতে সৃস্টি থেকে আলাদা. তার সত্তায় তিনি ব্যতিত অন্য কেউ নাই. এবং অন্য কোন কিছুতেই তার সত্তা নেই. তিনি পরির্বতন ও স্থানন্তর থেকে পবিত্র. তিনি গুনাবলীর র্পূনতায় কোন সংযোজনের প্রয়োজন রাখে না. বিবেক দ্বারাই তার অস্তিত্ব আপনা আপনি জানা হয়ে যায়। আপনারা হইত বলবেন তাহলে স্রষ্টার অঙ্গ-প্রতঙ্গ কেমন? ঠিক সেরকম স্রস্টার হাত জড় জগতের অন্যান্য হাতের মত না. তার কলম জড় জগতের কলম এর মত না. তার সত্তার কোন শরীর নেই. তিনি কোন অবস্থানে আবদ্ধ নয়. তার হাত মানুষের হাত এর মত রক্ত,মাংস ওঅস্থির দ্বারা গঠিত নয়. তার কলম জড় জগতের কলম এর মত নয়. তার কলমের কোন স্বর বা অক্ষর নেই. তার লেখনিতে কোন কালির অংকন নেই। আপনাদের বুঝার সুবিধার্তেঃ আল্লাহ পাক যুক্তির বেষ্ঠনী থেকে মুক্ত, কোন যুক্তি তাকে আটকাতে পারেন না, তিনি যেভাবে চান সেভাবেই যুক্তি তৈরি হয়, যেভাবে তিনি চান সেভাবেই বাস্তবতা আসে, তিনি যে কোন সময় বাস্তবতার যুক্তিকে ভিন্ন রূপ এবং ভিন্ন রূপের যুক্তিকে বাস্তবতার যুক্তিতে নিয়ে আসতে পারেন, যা আজকে বাস্তব মনে হচ্ছে তাকে অবাস্তব, এবং যা অবাস্তব মনে হচ্ছে তাকে বাস্তবে পরিণত করতে পারেন। তখন অবাস্তবকেই আপনার নিকট স্বাভাবিক মনে হবে, আর বর্তমানের স্বাভাবিককে অবাস্তব মনে হবে।

বস্তুত আল্লাহ পৃথিবীর কোন বস্তুর মত নহেন, যে আপনি ধারণা করবেন তিনি এরূপ, না কোন বস্তুর বৈশিষ্ট্য তাকে দিতে পারবেন, আপনাকে বুঝতে হবে, সৃষ্ট এবং স্রষ্টা এর পার্থক্য। আল্লাহ পাক কোন কিছুর মত নন, তাই কোন সৃষ্ট বস্তু বা প্রাণী বা অন্য কিছুর কোনরূপ বৈশিষ্ট্য, ক্ষমতা আল্লাহ পাকের উপর আরোপ করতে পারবেন না। জোর করে আরোপ করতে চাইলে বাক্যের কোন অর্থ থাকে না। আরো ভাল ভাবে বুঝতে এই লেখাটি পড়ুন। আর এসব পড়েও মূলত কিছু বুঝবেন না বা বুঝতে চাইবেন না, কারণ হেদায়েত আল্লাহ পাকের কাছে, তাই শুদ্ধ মনে আল-কুরান পড়ুন, খামোকা আমাদের মত মূর্খদের কথা কেন শুনবেন।

সবশেষে বলি, আল্লাহ পাক সব বিষয়ে জানেন। আমাদের জানার অনেক ভুল আছে। তিনি আমাদের যেন ক্ষমা করেদেন, আমিন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।