পড়ো, তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন জমাটবদ্ধ রক্ত হতে। পড়ো, আর তোমার প্রতিপালক মহিমান্বিত, যিনি কলমের দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। (আল-কুরআন, সূরা-আলাক, আয়াত ১-৫)
আসসালামু আলাইকুম......
সম্মানিত মুসলিম ভাই ও বোন (আল্লাহ আপনাদেরকে করুণা করুন) জেনে রাখুন, আমাদের প্রত্যেকের জন্য চারটি বিষয় জানা অপবিহার্য।
প্রথমতঃ- জ্ঞান অর্জন করা; আল্লাহ পাক, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করা অপরিহার্য। কেননা না জেনে আল্লাহর ইবাদত করা যায় না। করলেও বিভ্রান্তিতে পতিত হতে বাধ্য। যেমন বিভ্রান্ত হয়েছে খৃষ্টানরা এবং অনেক মুসলিম ভাই ও বোনেরা। ইসলাম ধর্মে প্রতিটি মুসলিম নর-নারীর জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরজ।
আল্লাহর বানীঃ- পড়ো, তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন জমাটবদ্ধ রক্ত হতে। পড়ো, আর তোমার প্রতিপালক মহিমান্বিত। সূরা-আলাক,আয়াত-১,২) এখানে আল্লাহ তা‘য়ালা সবাইকে পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে আদেশ করেছেন।
দ্বিতীয়তঃ- আমল করা; জ্ঞান অর্জন করার পর আমল না করলে সে ইহুদীদের মত।
কেননা ইহুদীরা শিক্ষা লাভ করার পর তদানুযায়ী আমল করেনি। শয়তানের ষড়যন্ত্রে হচ্ছে সে মানুষকে জ্ঞান অর্জনের প্রতি অনুৎসাহিত করে। তাঁর মধ্যে এমন ধারনা সৃষ্টি করে যে, অজ্ঞ থাকলে আল্লাহ মানুষের অযুহাত গ্রহন করবেন। ফলে সে পার পেয়ে যাবে। শয়তানের ধোকায় পরে অনেকে বোকা সেজে আমল ত্যাগ করে।
তৃতীয়তঃ- দা‘ওয়াত বা আহবান; উলামা ও দাঈগণ নবীদের উত্তরাধিকার। তাই নবীদের কাজ আলেম ও জ্ঞানীদেরকে করতে হবে। সৎ পথের প্রতি আহবান ও শিক্ষা দান ফরযে কেফায়া। কেউ এ কাজ আঞ্জাম দিলে যদি যথেষ্ট হয় তবে অন্যরা গুনাহ থেকে মুক্তি পাবে। কিন্তু কেউ এ দায়িত্ব পালন না করলে সকলে গুণাহগার হবে।
চতুর্থতঃ- ধৈর্য ধারণ করা; ধৈর্য ধারণ করতে হবে জ্ঞান শিক্ষার পথে। ধৈর্য ধারণ করতে হবে তদানুযায়ী আমল করার ক্ষেত্রে। আর ধৈর্য ধারণ করতে হবে দ্বীনের পথে মানুষকে আহব্বান করার ক্ষেত্রে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।