আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অপসংস্কৃতির আগ্রাসনঃসচেতন নাগরিকের কর্তব্য



অপসংস্কৃতির আগ্রাসনঃসচেতন নাগরিকের কর্তব্য সংস্কৃতি একটি বাংলা শব্দ, নতুন বাংলা অভিধানে এর অর্থ লেখা হয়েছ সভ্যতাজনিত উৎকর্ষ‌ বা মার্জিত রুচি। ইংরেজীতে বলা হয় culture, শব্দটি আবার গৃহিত হয়েছে ল্যাটিন শব্দ থেকে । এর অর্থ কৃষিকাজ বা চাষাবাদ। বিশেষজ্ঞরা culture শব্দটিকে উত্তম চরিত্র ও ভদ্রজনোচিত আচার-আচরন অর্থেও ব্যবহার করেছেন। এ নিয়ে অনেক মহামুনীষি অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন।

ম্যাথু আর্নল্ড বলেছেন, সংস্কৃতি হল মানুষকে পূর্ণ বানাবর নির্মল প্রচেষ্টা। চিন্তাবিদ ফায়জীর মতে, সংস্কৃতি হল মানবাত্মার পরিপূর্ণ মুক্তির দিকে ক্রমাগত আন্দোলন। পরিশেষে বলা যায় সংস্কৃতি মানব সত্ত্বাকে সুগঠিত রুপে ঢেলে গঠন করে এবং এই মানবাত্মাকে দান করে এক অন্তহীন ধারাবাহিক জীবন। সংস্কৃতি একটি কল্যাণময় সত্য ও বাস্তবতা। মানুষের প্রয়োজন পূরনে সংস্কৃতির প্রয়োগ অত্যন্ত ফলপ্রসু।

সংস্কৃতি চর্চাই মানুষকে প্রাগঐতিহাসিক গুহাবাসী মানবের জন্তুসুলভ জীবনের বলয় ভেঙ্গে আজকের আধুনিক সমাজ বির্নিমানের প্রধানতম উপকরন। সংস্কৃতি চর্চার ধারাবাহিকতায় এদেশে ১৯৫০ সালে সিনেমা- সিনেমায় নারী চরিত্রের উপস্থিতি, বর্তমানে সংস্কৃতির সাথে অপ উপসর্গটি স্থান করে নিয়েছে। সংস্কৃতি থেকে অপসংস্কৃতি । প্রায় নগ্ন দেহের কুরুচিপূর্ণ সিনেমা পোস্টার ও বিভিন্ন বিজ্ঞাপন আবাল বৃদ্ধবনিতার দৃষ্টি আকষর্ন করে। সেদিন কালী মোড়ে একটি পোস্টার নজরে পড়ল।

ছবিতে যা দেখা গেল- এক হালি বঙ্গ ললনার চোপর পরিহিত দেহ প্রর্দশনী। আরেকটি ছবিতে দেখা গেল আমার এক স্বজাতি ভাইয়ের উপর ৩-৪ মন আটার বস্তাসম এক বিশাল আকৃতির চোপর পরিহিত নারী চেপে আছে। স্বাজাতি ভাইয়ের এমন ক্ষ্ট দেখে আমি হাসব না কাদঁব ভেবে পাচ্ছিলাম না। এসব ছবিতে যে নগ্নতার বহিঃপ্রকাশ, মুল সিনেমায় কিরকম নগ্নতা পরিপূর্ণ তা আর বুঝতে বেগ পেতে হল না। এসব জগন্য ছবিতে লেখকরা নায়ক নায়িকাকে দিয়ে এমন সংলাপ সংযোজন করেন যা মাতা-পিতাকে হেয় প্রতিপন্ন করার সামিল।

অশ্লীল, র্নিলজ্জ ও নৈতিকতা বিবর্জিত দৃশ্যাবলীর প্রর্দশনী, অবৈধ ভালবাসা ও প্রণয়াসক্তির বিচিত্র গতি প্রকৃতি তরুন তরুনীর মন-মগজে ও চরিত্রের উপর অত্যন্ত খারাপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে সুস্থ ও সুন্দর মনের মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হলে আমাদের সচেতন নাগরিক সমাজকেই অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা একবিংশ শতাব্দীতে পা রেখেছি, স্পর্শ করছি আধুনিক সমাজের তাবৎ কিছু। আধুনিক যুগের সর্বত্রই আধূনকি হওয়া অবশ্যম্ভাবী তবে এই ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে আধুনিকতার নামে সমাজ যেন দুর্গন্ধময় হয়ে না উঠে। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিতে যে কোন অপসংস্কৃতির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসতে হবে সকল সচেতন নাগরিকেই।

সংস্কৃতির চর্চা কেন্দ্র, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সংগঠকবৃন্দকে সোচ্চার হতে হবে, এগিয়ে আসতে হবে সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নিয়ে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।