তোমার বউ তোমার সঙ্গে সংসার করছে কীভাবে?
যেভাবে তুমি মিস্টার কাশেমের সঙ্গে সংসার করছো।
এত প্যাচাইলা মানুষ তুমি। এসব করতেই আমার বাসায় এসেছো? তোমার কথার কচকচানিতে কেবল সময় নষ্ট।
তবে তাই হোক তুমি যা চাচ্ছো।
এই তো আমার লীসোনা।
তোমার খাটটা বেশ বেরসিক। কেমন বিশ্রি শব্দ করছে। তোমার পিঠেও দেখছি একটি লাল তিল।
হ্যাঁ, ওটাও তোমার জন্য।
আর নাভির ঠিক গোড়ায় যে পিচ্চি তিলটা?
ওটাও দিয়ে দিলাম তোমাকে।
নিয়ে নাও, সব তিলগুলো আজ নিয়ে নাও।
তোমার গোলাপি প্যান্টিটা ভয়ংকর সুন্দর। আমাকে একটা কিনে দিবে?
তুমি তা দিয়ে কি করবে? বউকে দিবে বুঝি?
কেন আমি পরবো। তুমি হাসছো। হাসো।
কিনে না দিলে তোমারটাই চুরি করবো।
নিয়ে নাও, দিলাম তোমাকে। সব নিয়ে নাও, সব, সব,সব................................
লেখাটা কম্পোজ করতে করতে শরীরটা কেমন তেতে ওঠলো ইলিয়াসের। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের রেখা। শীতের দিনেও শরীর ঘামছে।
হঠাৎ করেই বউয়ের কথা মনে পরে গেল তার। বছর চারেক আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে শীলাকে বিয়ে করে ইলিয়াস। নীলেেত একটা কম্পিউটার কম্পোজ দোকানে চাকরি নেয়। বউটা সারাদিন বাসায় একা। কত কবিতা, গল্প, আর নাটকের স্ক্রিপ্ট প্রতিদিন কম্পোজ করে ইলিয়াস।
এমন তো কোন দিন হয়নি। গল্পের সঙ্গে সব মিলে যাচ্ছে। বাথরুমের ঘড়ি,ড্রেসিং টেবিলের টিপ, গোলাপি প্যান্টি সব সব কিছু। ব্যাটা খিচ্চু আসলে ধরতে হবে তাকে। খিচ্চু হায়াত এসব জানলো কীভাবে।
নানা প্রশ্ন সিলিং ফ্যানের মত ঘুরতে থাকে ইলিয়াসের মাথায়। গাড়ীর হর্ন, মানুষের চিৎকার-চেচামেচি। কোন কিছুই কানে আসছে না তার। গল্পের সংলাপগুলো মাছির মত ভনভন করছে তার চারপাশে। না এখনই বাসায় যেতে হবে।
বলেই চুপ করে দোকান থেকে বের হয়ে পড়ে ইলিয়াস।
চলবে..........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।