আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভগবানের সহিত কথোপকথন ৪

চিত্ত যেথা ভয়শূন্য ভগবানকে আজ কিঞ্চিৎ প্রসন্ন মনে হইল। এই প্রথম আমার আগমনেও তাঁর স্বর্গীয় মুখশ্রী হইতে হাসি অন্তর্হিত হইল না। -প্রভু, আপনার প্রসাদ। এই বলিয়া চিকেন তন্দুরির প্লেট সামনে আগাইয়া দিলাম। -ইহা কী? -প্রভু দগ্ধ বন্য কুক্কুট।

সুউচ্চ বৃক্ষশাখা হইতে শরাঘাতে নিপাতিত করিয়াছি। ভগবান তিড়িং করিয়া লাফাইয়া উঠিলেন। -এই বাঙ্গালীদের লইয়া আর পারিনা। আমার সৃষ্টির কল্যাণ লইয়া আমি আছি, আর উহারা আছে মারামারি, কাটাকাটি, কোপাকুপি, খাওয়া খাওয়ি লইয়া। আবার উহারা ছড়া বাধিয়াছে, “মারিব মৎস্য খাইব সুখে।

“ এখানেও মারামারি, আমার সৃষ্টির কী বিষম লাঞ্ছনা। ধিক, মহা পাতকের দল। -কেন প্রভু মৎস্য মারিয়া খাওয়া কী অন্যায়? আমি বিস্মিত। - কেন? মারিব, খাইব; এইসব বলিতে হইবে কেন? বলিতে পারিস না “ধরিব মৎস্য রাঁধিব সুখে?” তাহা হইলেই একটা অহিংস অহিংস ভাব চলিয়া আসে। - প্রভু মৎস্য যেমন পিছলা করিয়া পয়দা করিয়াছেন উহা ধরা বহুত পেরেশানির কাজ।

এইবার ভগবানের চেহারা প্রসন্ন হইয়া আসিল। -তোদের এবার এই পিচ্ছিল বস্তু ধরা শেখাইতেছি। -কীভাবে প্রভু? - বিশ্ব ব্যাংককে পাঠাইয়াছি। দুদক একবার করিয়া পিছলাইতেছে, বিশ্ব ব্যাংক আবারো পূর্ণ উদ্যমে ধরিতেছে। আবার পিছলাইতেছে, আবারো ধরিতেছে।

ইহার মধ্যে যে শিক্ষা আছে তাহা পদ্মা সেতু নয়, দুর্নীতিও নয়, ইহা অতি পিচ্ছিল মৎস্য ধরিবার শিক্ষা, ওরে গর্ধভ। এখন দূর হ। মর্ত্যে ফিরিয়া বীভৎস হিংসার ছড়াটি পাল্টা। প্রভুর নির্দেশে এই অধম অগত্যা ব্লগ লিখিতে বসিল। ভগবানের সহিত কথোপকথন -৩ ভগবানের সহিত কথোপকথন ৫ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।