লাল তরঙ্গ, লাল বিপ্লবের বার্তা বয়ে আনে
আজকের আমার দেশে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এই ফিচার প্রকাশিত হয়েছে। লেখার শেষে এসে হেসেকেশে একাকার হইলাম গো....
পৃথিবীর আদিমতম সম্পর্কটির নাম ভালোবাসা। এ প্রত্যয়টি নিয়ে পৃথিবীতে যত গল্প, কবিতা, গান, উপন্যাস রচিত হয়েছে, আর কোনো সম্পর্ক নিয়ে তা হয়নি। সম্পর্ক ও আকর্ষণের ভিন্নতায় ভালোবাসার ধরনও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। ভালোবাসাকে কবি-সাহিত্যিকরা তাদের শিল্পকর্মে নানাভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।
কেউ বলেছেন, ‘ভালোবাসা মোরে ভিখারি করেছে তোমারে করেছে রানী’। অথবা ‘আমি ভালোবাসি যারে, সে কী কভু আমা হতে দূরে যেতে পারে’। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘তোমরা যে বল দিবস-রজনী, ভালোবাসা ভালোবাসা সখী ভালোবাসা কারে কয়, সে তো কেবলই যাতনা নয়’। এভাবে নানারূপে ভালোবাসার বর্ণনা দেয়া হলেও মূলত ভালোবাসার সর্বজনীন কোনো সংজ্ঞা আজও নির্দিষ্ট হয়নি।
তবে এই ভালোবাসায় কেউ সাম্রাজ্য ত্যাগ করেছে, কেউ জীবন দিয়েছে।
কেউ সহমরণ করেছে। সে যাই হোক, ভালোবাসা অবিনশ্বর, ভালোবাসার মৃত্যু নেই। সেই ভালোবাসাকে চিরঞ্জীব করে রাখতে ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে এসেছে ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ বা ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’।
দুরু দুরু বুক, চোখে মেখে মায়ার কাজল, ভালোবাসা প্রকাশের মধুর দিন আজ। রৌদ্রকরোজ্জ্বল শুভ্র সকাল, হরিদাভ দুপুর, আর মায়াবী রাত আজ কেবলই ভালোবাসার ক্ষণ।
করতালে সুর তুলে গাইবার দিন ভালোবাসার গান। সব ভুলে আজ প্রেমিক মিলবে প্রেমিকার সঙ্গে। থৈ-থৈ ভাসবে প্রেমের নৌকা। চিরচেনা প্রাণের বসন্ত নতুন রঙ দিয়েছে আজ। প্রকৃতি সেজেছে ভালোবাসার আবেশে।
ভুলে বিরহ, মুছে বিচ্ছেদ হৃদয়ের আনন্দে স্নান করছে হৃদয়। পাতায় পাতায় লেগেছে রঙ। দুলছে মধুর আরতি। এই তো সেই ক্ষণ ভালোবাসিবার। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর থেকেই শুরু হয়ে গেছে ভালোবাসার পারস্পরিক হৃদয় বিনিময়ের পালা।
বিশ্ববাসীর সঙ্গে সম্প্রতি বাংলাদেশেও তরুণ-তরুণীরা পালন করছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এখানে ভালোবাসা পালনে থাকে বাড়তি বসন্তের ছোঁয়া।
বসন্তের সঙ্গে একাকার হয়ে বাংলাদেশে আজও উত্সবমুখর থাকবে চারদিক। ভালোবাসা দিবস এখন বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে নতুন সংযোজন। তরুণ-তরুণীদের কাছে এ এক মহাউত্সব।
রাজধানীর বিভিন্ন উদ্যান, একুশে বইমেলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, কফিশপ, ফাস্টফুড শপ, লংড্রাইভ অথবা নির্জন ঘরের কোণে একান্ত নিভৃতে কাটবে প্রণয়রত তরুণ-তরুণীর মধুরসিঞ্চিত সময়।
ফুল দোকানে থরে থরে সাজানো মল্লিকা, জুঁই, গাঁদা উঠে আসবে ললনাদের খোঁপায়। প্রিয়তমার খোঁপায় গাঁদার হলুদ ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাবে প্রিয়’র পাঞ্জাবি-ফতুয়া। মুহুর্মুহু বেজে উঠবে মোবাইল ফোন। বিনিময় হবে ভালোবাসার বার্তা।
হাতে রেখে হাত যুগলবন্দি নারী-পুরুষ ভালোবাসার জানান দেবে নিজের মতো করে, একাকার হয়ে। আদরের ছেলেমেয়ের জন্য বাবা-মার থাকবে অসীম মঙ্গল প্রার্থনা। ছেলেমেয়েও শ্রদ্ধায়-ভালোবাসায় সিক্ত করবে বাবা-মাকে।
উত্সবটির যাত্রা আজকের নয়। সেই প্রাচীন দুটি রোমান প্রথা থেকেই দিবসটির সূত্রপাত।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে ইতিহাসে একাধিক অভিমত পাওয়া যায়। ইন্টারনেট অবলম্বনে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের ঐতিহাসিক বর্ণনা হলো—এক পাদ্রি ও চিকিত্সক ফাদার সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামানুসারে দিনটির নামকরণ হয়েছে ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’। যুদ্ধে আহত সৈনিকদের চিকিত্সার অপরাধে রোমান সম্রাট গথিকাস ২৭০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ড দেন সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনকে। মৃত্যুর আগে ফাদার ভ্যালেন্টাইন তার আদরের একমাত্র মেয়েকে একটি ছোট্ট চিঠি লিখে রেখে যান। চিঠির ওপর লেখেন—‘ফ্রম ইওর ভ্যালেন্টাইন’।
সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের মেয়ে এবং তার প্রেমিক মিলে পরের বছর থেকে বাবার মৃত্যুর দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে পালন করা শুরু করেন।
আবার ইতিহাসের বর্ণনায় পাওয়া যায়, তৃতীয় শতকে রোমের যাজক ছিলেন দ্বিতীয় ক্লাডিয়াস। সে সময় তার ঘোষণা অমান্য করে প্রথম ভ্যালেন্টাইন গোপনে প্রেমিক-প্রেমিকাদের বিয়ের ব্যবস্থা করেন। ২৭০ খ্রিস্টাব্দে বিশপ ভ্যালেন্টাইন ভালোবাসার জন্য প্রাণ বিসর্জন দেন। তৃতীয় ভ্যালেন্টাইন উত্তর আফ্রিকার একটি রোমান সাম্রাজ্য আত্মোত্সর্গ করেন।
ক্যাথলিক এনসাইক্লোপিডিয়া অনুসারে এই তিন ভ্যালেন্টাইন ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার জন্য আত্মাহুতি দেন। সেসব ইতিহাসের পথ ধরে ৪৯৮ সালে প্রথম জেলসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসের ঘোষণা দেন। আজ নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা স্থানে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।
দিবসটি সর্বজন গ্রহণযোগ্যতা পায় প্রায় ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে। সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুর আগে প্রতিবছর রোমানরা ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন করত ‘জুনো’ উত্সব। রোমান পুরাণে বিয়ে ও সন্তানের দেবী জুনোর নামানুসারে এর নামকরণ। এদিন অবিবাহিত তরুণরা কাগজে নাম লিখে লটারির মাধ্যমে তার নাচের সঙ্গীকে বেছে নিত। ৪০০ সালের দিকে রোমানরা যখন খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে, তখন ‘জুনো’ উত্সব আর সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগের দিনটি একসুতোয় গেঁথে ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ হিসেবে উদযাপন করা শুরু হয়।
আজ দিবসটি উপলক্ষে ভালোবাসা দিবস উদযাপন পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, গোলাপ দিয়ে অতিথিদের বরণ ও স্বনামখ্যাত জুটিদের ভালোবাসার স্মৃতিচারণ। ভালোবাসা দিবস উদযাপন পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
দিবসকে উপভোগ্য করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে হোটেল রেডিসন। সেখানে সরবরাহ করা হবে বুফে লাঞ্চ ও ডিনার।
এশিয়া ও দূরপ্রাচ্যের নানা স্বাদের খাবার দিয়ে সাজানো হবে লাঞ্চ ও ডিনার। জ্বালানো হবে বিশেষ মোমবাতি, যাতে সবার মনে হবে তারা কোনো রোমাঞ্চকর অবস্থায় আছে। আর ভালোবাসা দিবসের কেক তো থাকছেই।
এদিকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস গতকাল এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের বিরোধিতা করে এর নিন্দা জানিয়েছে। দলটির আমির মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেন, এ ধরনের দিবস পালনের মাধ্যমে নারী নির্যাতন, যৌন হয়রনি, সম্ভ্রমহানি ও ধর্ষণের ঘটনা বাড়বে।
ইহুদি-খ্রিস্টানদের সৃষ্ট চরিত্র বিধ্বংসী এ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে তিনি সামাজিক ও মানবতায় বিশ্বাসী দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
মাহাবুবুর রহমান
পৃথিবীর আদিমতম সম্পর্কটির নাম ভালোবাসা। এ প্রত্যয়টি নিয়ে পৃথিবীতে যত গল্প, কবিতা, গান, উপন্যাস রচিত হয়েছে, আর কোনো সম্পর্ক নিয়ে তা হয়নি। সম্পর্ক ও আকর্ষণের ভিন্নতায় ভালোবাসার ধরনও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। ভালোবাসাকে কবি-সাহিত্যিকরা তাদের শিল্পকর্মে নানাভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।
কেউ বলেছেন, ‘ভালোবাসা মোরে ভিখারি করেছে তোমারে করেছে রানী’। অথবা ‘আমি ভালোবাসি যারে, সে কী কভু আমা হতে দূরে যেতে পারে’। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘তোমরা যে বল দিবস-রজনী, ভালোবাসা ভালোবাসা সখী ভালোবাসা কারে কয়, সে তো কেবলই যাতনা নয়’। এভাবে নানারূপে ভালোবাসার বর্ণনা দেয়া হলেও মূলত ভালোবাসার সর্বজনীন কোনো সংজ্ঞা আজও নির্দিষ্ট হয়নি।
তবে এই ভালোবাসায় কেউ সাম্রাজ্য ত্যাগ করেছে, কেউ জীবন দিয়েছে।
কেউ সহমরণ করেছে। সে যাই হোক, ভালোবাসা অবিনশ্বর, ভালোবাসার মৃত্যু নেই। সেই ভালোবাসাকে চিরঞ্জীব করে রাখতে ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে এসেছে ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ বা ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’।
দুরু দুরু বুক, চোখে মেখে মায়ার কাজল, ভালোবাসা প্রকাশের মধুর দিন আজ। রৌদ্রকরোজ্জ্বল শুভ্র সকাল, হরিদাভ দুপুর, আর মায়াবী রাত আজ কেবলই ভালোবাসার ক্ষণ।
করতালে সুর তুলে গাইবার দিন ভালোবাসার গান। সব ভুলে আজ প্রেমিক মিলবে প্রেমিকার সঙ্গে। থৈ-থৈ ভাসবে প্রেমের নৌকা। চিরচেনা প্রাণের বসন্ত নতুন রঙ দিয়েছে আজ। প্রকৃতি সেজেছে ভালোবাসার আবেশে।
ভুলে বিরহ, মুছে বিচ্ছেদ হৃদয়ের আনন্দে স্নান করছে হৃদয়। পাতায় পাতায় লেগেছে রঙ। দুলছে মধুর আরতি। এই তো সেই ক্ষণ ভালোবাসিবার। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর থেকেই শুরু হয়ে গেছে ভালোবাসার পারস্পরিক হৃদয় বিনিময়ের পালা।
বিশ্ববাসীর সঙ্গে সম্প্রতি বাংলাদেশেও তরুণ-তরুণীরা পালন করছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এখানে ভালোবাসা পালনে থাকে বাড়তি বসন্তের ছোঁয়া।
বসন্তের সঙ্গে একাকার হয়ে বাংলাদেশে আজও উত্সবমুখর থাকবে চারদিক। ভালোবাসা দিবস এখন বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে নতুন সংযোজন। তরুণ-তরুণীদের কাছে এ এক মহাউত্সব।
রাজধানীর বিভিন্ন উদ্যান, একুশে বইমেলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, কফিশপ, ফাস্টফুড শপ, লংড্রাইভ অথবা নির্জন ঘরের কোণে একান্ত নিভৃতে কাটবে প্রণয়রত তরুণ-তরুণীর মধুরসিঞ্চিত সময়।
ফুল দোকানে থরে থরে সাজানো মল্লিকা, জুঁই, গাঁদা উঠে আসবে ললনাদের খোঁপায়। প্রিয়তমার খোঁপায় গাঁদার হলুদ ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাবে প্রিয়’র পাঞ্জাবি-ফতুয়া। মুহুর্মুহু বেজে উঠবে মোবাইল ফোন। বিনিময় হবে ভালোবাসার বার্তা।
হাতে রেখে হাত যুগলবন্দি নারী-পুরুষ ভালোবাসার জানান দেবে নিজের মতো করে, একাকার হয়ে। আদরের ছেলেমেয়ের জন্য বাবা-মার থাকবে অসীম মঙ্গল প্রার্থনা। ছেলেমেয়েও শ্রদ্ধায়-ভালোবাসায় সিক্ত করবে বাবা-মাকে।
উত্সবটির যাত্রা আজকের নয়। সেই প্রাচীন দুটি রোমান প্রথা থেকেই দিবসটির সূত্রপাত।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে ইতিহাসে একাধিক অভিমত পাওয়া যায়। ইন্টারনেট অবলম্বনে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের ঐতিহাসিক বর্ণনা হলো—এক পাদ্রি ও চিকিত্সক ফাদার সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামানুসারে দিনটির নামকরণ হয়েছে ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’। যুদ্ধে আহত সৈনিকদের চিকিত্সার অপরাধে রোমান সম্রাট গথিকাস ২৭০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ড দেন সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনকে। মৃত্যুর আগে ফাদার ভ্যালেন্টাইন তার আদরের একমাত্র মেয়েকে একটি ছোট্ট চিঠি লিখে রেখে যান। চিঠির ওপর লেখেন—‘ফ্রম ইওর ভ্যালেন্টাইন’।
সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের মেয়ে এবং তার প্রেমিক মিলে পরের বছর থেকে বাবার মৃত্যুর দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে পালন করা শুরু করেন।
আবার ইতিহাসের বর্ণনায় পাওয়া যায়, তৃতীয় শতকে রোমের যাজক ছিলেন দ্বিতীয় ক্লাডিয়াস। সে সময় তার ঘোষণা অমান্য করে প্রথম ভ্যালেন্টাইন গোপনে প্রেমিক-প্রেমিকাদের বিয়ের ব্যবস্থা করেন। ২৭০ খ্রিস্টাব্দে বিশপ ভ্যালেন্টাইন ভালোবাসার জন্য প্রাণ বিসর্জন দেন। তৃতীয় ভ্যালেন্টাইন উত্তর আফ্রিকার একটি রোমান সাম্রাজ্য আত্মোত্সর্গ করেন।
ক্যাথলিক এনসাইক্লোপিডিয়া অনুসারে এই তিন ভ্যালেন্টাইন ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার জন্য আত্মাহুতি দেন। সেসব ইতিহাসের পথ ধরে ৪৯৮ সালে প্রথম জেলসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসের ঘোষণা দেন। আজ নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা স্থানে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।
দিবসটি সর্বজন গ্রহণযোগ্যতা পায় প্রায় ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে। সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুর আগে প্রতিবছর রোমানরা ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন করত ‘জুনো’ উত্সব। রোমান পুরাণে বিয়ে ও সন্তানের দেবী জুনোর নামানুসারে এর নামকরণ। এদিন অবিবাহিত তরুণরা কাগজে নাম লিখে লটারির মাধ্যমে তার নাচের সঙ্গীকে বেছে নিত। ৪০০ সালের দিকে রোমানরা যখন খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে, তখন ‘জুনো’ উত্সব আর সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগের দিনটি একসুতোয় গেঁথে ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ হিসেবে উদযাপন করা শুরু হয়।
আজ দিবসটি উপলক্ষে ভালোবাসা দিবস উদযাপন পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, গোলাপ দিয়ে অতিথিদের বরণ ও স্বনামখ্যাত জুটিদের ভালোবাসার স্মৃতিচারণ। ভালোবাসা দিবস উদযাপন পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
দিবসকে উপভোগ্য করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে হোটেল রেডিসন। সেখানে সরবরাহ করা হবে বুফে লাঞ্চ ও ডিনার।
এশিয়া ও দূরপ্রাচ্যের নানা স্বাদের খাবার দিয়ে সাজানো হবে লাঞ্চ ও ডিনার। জ্বালানো হবে বিশেষ মোমবাতি, যাতে সবার মনে হবে তারা কোনো রোমাঞ্চকর অবস্থায় আছে। আর ভালোবাসা দিবসের কেক তো থাকছেই।
এদিকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস গতকাল এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের বিরোধিতা করে এর নিন্দা জানিয়েছে। দলটির আমির মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেন, এ ধরনের দিবস পালনের মাধ্যমে নারী নির্যাতন, যৌন হয়রনি, সম্ভ্রমহানি ও ধর্ষণের ঘটনা বাড়বে।
ইহুদি-খ্রিস্টানদের সৃষ্ট চরিত্র বিধ্বংসী এ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে তিনি সামাজিক ও মানবতায় বিশ্বাসী দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।