এইখানে “আমাদের” মানে আমরা যারা রিয়েল ব্যাচেলর মানে আরকি একলা, দোকলা-বিহীন। তো, আমাদের করণীয় জানিতে গেলাম জ্ঞানী-গূণীদের কাছে। আমার মতো আরেক জ্ঞানী ব্যাচেলর ভাইকে পাইয়া, আর্জি পেশ করিলাম, বড় ভাই, কেউ তো নাই, ভ্যালেন্টাইন ডেতে করিব কি? পাশ থেকে বিবাহিত আরেক বড় ভাই হুংকার দিল, হুমহ, কি করবি মানে? তোদেরিতো সব। আমরা তো বিয়া কইরা এখন ভ্যালেন্টাইন ডেতে হায় হায় করি। এই বলিয়া উনি হায় হায় করিতে করিতে দুই দিকে এমনভাবে মাথা নাড়িতে লাগিলেন, দেখিয়া ভয়ে ভয়ে আরেক দিকে তাকাইতে আরেক বড় ভাই বলিলেন, চুপ কইরা খিচ্চা বইয়া থাকবি।
১ম জ্ঞানী বড় ভাই জ্ঞানীর মত চুপ করিয়া থাকিলেন, যদিও সন্দেহ হইতে লাগিল, উনি হয়ত চিরকাল আমার মত একলা ছিলেন না।
এইবার আমার ছোট ভাইদের দিকে তাকাইলাম, ক্লাশ এইট হইতে প্রতিবেশীনির সাথে প্রেম করিয়া এখন ১ পুত্র সন্তানের জনক। ভ্যালেন্টাইন ডেতে কি করিবা জানিতে চাহিলে চেইন স্মোকার যুবকটি কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া একটা লম্বা দীর্ঘশ্বাস ফেলিল। এরপর সিগারেট ধরাইতে গেল।
আমার মত কিছু ভোদাই পোলাপানরে জিগাইতে তাহারা কহিল, অন্য রকম কিছু করত না।
সারাদিন যা করে তাই করব।
বহু বছর প্রেম কইরা মাত্র গত বছর বিয়া করছে, এইরকম এক বড় ভাইরে জিগাইলাম। বিয়ার পর এইটা হের প্রথম ভ্যালেন্টাইন ডে। কইল, আমি যেই মাইয়ারে ভালা পাই, হেরে যেন ফোন দেই। হে নিজে ভাবীরে লইয়া ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাইব।
আপনারা কি করবেন জানি না। আমি ভ্যালেন্টাইন ডেতে সারাদিন দাত-মুখ খিচ্চা বইয়া থাকমু।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।