আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একুশের বই মেলায় - আরিল ও জানা আপুর সাথে একদিন...

"প্রত্যেক সত্ত্বাকে মৃত্যু আস্বাদন করতে হবে। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, নিঃসন্দেহে সে হল সফল। আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নয়। " আল ইমরান,আয়াত ১৮৫

সামুর সেলিব্রেটি ব্লগার ও আমার সহকর্মী শামসীরের প্রথম গল্পগ্রন্থ “শেকলে বাধা ময়না” বইমেলায় বেরিয়েছে গত ৯ই ফেব্রুয়ারী কাকলী প্রকাশনী থেকে।

বই বের হওয়ার পর প্রথম শুক্রবারে তাই আমি ও শামসীর ঠিক করলাম দুজন একসাথে মেলায় যাব এবং সময় কাটাবো। শামসীরের সাথে সামুর অনেক ব্লগারেরই ব্যাক্তিগত পরিচয় আছে, তাই ভাবলাম অনেকের সাথে দেখাও হয়ে যাবে। সামুর ব্লগারদের মধ্যে আমার সাথে ফোনালাপ আছে একমাত্র ডেইফ ভাই এর সাথে। তাকে আগেই বলে রেখেছিলাম শুক্রবারে মেলায় আসতে, কিন্তু ওনাকে বহুবার কল করার পরও ফোন রিসিভ করলেন না। দাইফ ভাই, অনেক মাইন্ড খাইলাম।

কিছুক্ষণ পরেই মেলায় আমাদের হবু শামসীর ভাবীও এসে হাজির হলেন। ভাবী সত্যিই খুব কিউট। অনেক আড্ডা হল ভাবীর সাথে। ভাবীর অনেক বন্ধুরাও মেলায় আসলেন এবং আড্ডায় শরিক হলেন। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার ভাবীর কোন বান্ধবীর সাথেই দেখা হল না।

আমাদের ব্লগার জসিম ভাই যেদিন শামসীরের বই বেরিয়েছে সেদিনই কিনে ফেলেছেন কিন্তু কাল তিনি বই নিয়ে হাজির অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য ! শামসীর তার জীবনের প্রথম অটোগ্রাফ দিল জসিম ভাইকে। এরপর একে একে ভাবী ও শামসীরের বন্ধুরা এল, বই কিনল আর শামসীর মনের আনন্দে অটোগ্রাফ দিতে থাকল। এদিকে তার এই সব ঘটনাই কিন্তু ক্যামেরা বন্দী হয়ে যাচ্ছে। পুরো ব্যাপারগুলোই আমার কাছে খুব ভাল লাগছিল। একজন তরুণ লেখক, তার প্রথম বই একুশের বই মেলায় বেরিয়েছে আর সে তৃপ্তিভরে অটোগ্রাফ দিচ্ছে – সত্যিই অসাধারণ কিছু মুহুর্ত !! আর এই সুন্দর মুহূর্তগুলোতে তার পাশে আছেন আমাদের হবু ভাবী !! আনন্দের মাত্রাটা বোধহয় এজন্যই আরো বেড়ে গিয়েছিল।

আমরা কাকলী প্রকাশনীর সামনে দাড়িয়েই আড্ডা দিচ্ছিলাম। এর মধ্যে খবর পেলাম, বিডিনিউজ২৪ নাকি তাদের ব্লগ এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করছে এবং সেখানে সামুর অনেক বিখ্যাত ব্লগাররা হাজির হয়েছেন। তাই তাদেরকে সচক্ষে একবার দেখার লোভ সামলাতে পারলাম না। শামসীর অবশ্য এদের সবাইকে আগে থেকেই চেনে। দুজনে মিলে গেলাম।

সামুর অনেক নামি দামী ব্লগারদের দেখলাম। কিন্তু এর মধ্যেই ঘটে গেল "মেঘ না চাইতেই জল" এর মত একটি ঘটনা। সামুর কর্ণধার আরিল ও জানা আপুও এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন এবং তারা এসে হাজির। তাদের সাথে পরিচিত হলাম। আরিল ও জানা আপুর সাথে অনেক কথা হল।

ওনাদের একমাত্র তনয়া কিন্নরীও সাথে ছিল যদিও সে প্রতি মুহুর্তে মেলা ছাড়তে চাইছিল কারণ, ক্যামেরা, সাংবাদিক এসব তার পছন্দ নয়। আমি ও শামসীর ওনাদের সাথে ছবি তুললাম। আমার অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল আরিল ও জানা আপুর সাথে দেখা করার, কথা বলার। কিন্তু সেটা যে এভাবে অপ্রত্যাশিতভাবেই পূরণ হয়ে যাবে, স্বপ্নেও ভাবিনি !! বই মেলা গমন সার্থক হল। এরপর আরিল ও জানা আপু কাকলী প্রকাশনীর স্টলে এসে শামসীরের বই কিনলেন ও অটোগ্রাফ নিলেন।

অভিনন্দন শামসীর, আমার মনে হয় তোমার প্রথম বই প্রকাশ বহু দিক থেকেই বর্ণিল হয়ে রইল। তোমার লেখক জীবন ভবিষ্যতে আরো বর্ণিল হবে আর পাঠকের মন জয় করবে সেই প্রত্যাশা রইল... বি. দ্র. এই পোস্ট যখন লিখে প্রায় শেষ করেছি, তখন দাইফ ভাইয়ের ক্ষুদে বার্তা পেলাম, উনি অসুস্থতার কারণে কাল আমার ফোন ধরেন নি, মেলায়ও যেতে পারেন নি। দাইফ ভাই, দোয়া করছি সুস্থ হয়ে উঠুন, দেখা হবে ইনশাল্লাহ অন্য কোন দিন...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।