আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাঙালী জাতীয় চেতনায় বাংলার আকাশে বাতাসে উড়ুক বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা!

সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালবাসিলাম যে করেনা কখনও বঞ্চনা....

আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেট সমাগত প্রায়। এই মূহুর্তে এর চেয়ে বড় আনন্দের আর কোন বিষয় আছে বলে আমি মনে করি না। বাংলাদেশ আসন্ন বিশ্বকাপে অত্যন্ত দাপটের সাথে লড়বে, বিশ্বকাপ জয় করতেই পারে এমনটাই আশায় হাসবে দেশ তদুপরি বাংলাদেশ এর আয়োজকও বটে। বাংলাদেশ দলে বিশ্বমানের বিশ্বসেরা অনেক খেলোয়াড়ই বিদ্যমান রয়েছে। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মোঃ আশরাফুল, মুশফিক রহিম, ইমরুল কায়েস, জুনায়েদ ছিদ্দিক প্রমূখ যাদের নাম উল্লেখ না করলেই নয়।

শুধুমাত্র দুর্ভাগ্যবশত আমাদের নড়াইল এক্সপ্রেস মাশরাফি বিন মুর্তজা শারীরিক ফিটনেস এর অভাবে হয়তবা অংশগ্রহণ করতে পারছে না। এটা মাশরাফির চরম ভাগ্য বিড়ম্বনা, নিয়তির নির্মম পরিহাস। তথাপি ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে বর্তমান বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম অন্যান্য সময়ের তুলনায় সামগ্রিকভাবে সেরা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, সরকার, ক্রিকেট প্রেমী এবং স্পন্সরদের বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে বেশ উদগ্রিব ও চরম মাতামাতি দৃশ্যমান হচ্ছে। শুধু ব্যাপক ধরণের সাড়া দেখছি না আমজনতার।

অথচ এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড, পতাকা যার যেরকম সাধ্য তাই নিয়েই ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জন্য দোয়া করা উচিত, ক্রিকেট দলের সকল সদস্যবৃন্দকে খেয়ালী রাখার প্রেরণা যোগানো উচিত। সূতরাং আশাকরি এক জাররা সরিষা সম দেশপ্রেম যাদের মনের ভিতর অবশিষ্ট রয়েছে অন্তত তারাও নিজ বাড়ীতে হলেও বাংলাদেশের একটি পতাকা উড্ডয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। একটু ফিরে তাকালে দেখা যায়, বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর প্রায় দুই এক মাস আগে থেকেই ঘরে ঘরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পতাকা উড়াবার নিরন্তর প্রতিযোগিতা চলে। একই বাড়ীর ছাদে ভিন্ন ভিন্ন ভক্তদের ভিন্ন ভিন্ন আমেজে পতাকা উত্তলন শোভা পায়।

উপর থেকে এক একটি পাড়া বা মহল্লার ছবি দেখলে মনে হয় যেন কোন ভিন দেশী দূর্গ পতাকার মেলা। কে কত বড় লম্বা কত চওড়া পতাকা উড়াবে এ যেন পতাকা যুদ্ধ। যাহোক বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় এটা সহজাত শোভিত প্রতিচ্ছবি চারদিকে। তবে এখন বাংলাদেশ যেহেতু এতবড় একটি আসরের আয়োজক এবং অংশগ্রহণকারী দল, সেহেতু বাংলার আকাশে বাতাসে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা উড়বে না এটা কেমন করে হয়! বাঙলা ভাষার জন্য বাঙালী জাতীয় চেতনায় উদ্যোগী হয়ে বাংলার মানুষ ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য সংগ্রাম করে বাঙলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সেই অনুপ্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করেছে ঐ একই বাঙালী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে।

এর পর ১৯৯০ সালে স্বয়ং আমরাও দেখেছি বাঙালী জাতীয় চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কিভাবে শৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন ঘটালো। ৯০ এর গণআন্দোলনের পর আর তেমন কোন জাতীয় চেতনা জাগ্রত হবার মত ঘটনা ঘটেনি দেশে। এখন সময় এসেছে আবার একই বাঙালী জাতীয় চেতনায় দল মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের ঐকান্তিক মনোবল ও দুর্বার অনুপ্রেরণায় জাগ্রত হয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারী শুরু হওয়া বিশ্বকাপ ক্রিকেট যুদ্ধে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের মনোবল দৃঢ় করবার উদ্দেশ্যে, তাদেরকে সর্বদা সচেষ্ট থাকবার প্রয়াসে প্রেরণা যোগাবার জন্যে আমরাও সচেষ্ট হই। তাই আর দেড়ি নয় আসুন আমরা কথাবার্তায়, চলনে বলনে, পোশাকে আশাকে আসন্ন ক্রিকেট যুদ্ধ নিয়ে ভাবি। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সজিব সমৃদ্ধ চাঙ্গা রাখার সুদৃঢ় প্রত্যয়ে একটা কিছু করি।

এ সুযোগ হাতছাড়া না করি। বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১ বাংলাদেশের হউক এ আশাবাদ ব্যক্ত করে বাংলাদেশের সকল নাগরিক এটাকেই ধ্যান জ্ঞান করি এবং ঘরে ঘরে, গাছে গাছে, বাঙালী জাতীয় চেতনায় বাংলার আকাশে বাতাসে উড়ুক বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.