পিশাচগুলোর বুটের আঘাতে সেদিন
বুকের পাঁজরগুলো ভেঙ্গে গেছে।
অথচ তোমার পাঁজরগুলোর নিচেই
বাস করতো, মায়ের ঠোঁটের কোনে
এক চিলতে রোদ্দুর হাসি!
তোমায় জড়িয়ে যে পিতার
গর্ব ছিলো ভীষন,
কিসের নেশায় এক নিমিষেই
মিশিয়ে দিলে?
আর কী আশ্চর্য,
সেদিন থেকে তোমার কাছে
ঋনি হয়ে গেলো, আমার চীরযৌবনা
নদী, মা এবং মাটি!
আজ যে পতাকা আমার পরিচয়,
আমি দেখতে পাই, সেই পতাকায়,
রক্তে মিশে আছো তুমি!
একদিন যে রক্ত শুষে গর্বিত হয়েছিল,
চৌমুহনি বধ্যভূমি।
তোমার অগ্নিস্ফুলিঙ্গের
মতো টগবগে দেহটি,
মাটিতে মিশে যেতে যেতে
ভেবেছিলে কি?
তোমার ভাই,আদরের বোন
বাবার শাষন,আর গর্বে
ফুটে ওঠা মায়ের এক চিলতে হাসি?
প্রিয় জয়নাল আবেদীন,
তুমি ভেবেছিলে কোনদিন?
সেই সব মানুষেরা শকুন
হবে একদিন?
নইলে এমন অভিমানে কেন
উদ্ধত বুকে নিজেকে বিলিয়ে দিলে সেদিন?
তোমার গলে যাওয়া
হাঁড়েরা জানুক।
ওদের এক এক করে
পিষে দিয়েছি আমরাই।
প্রিয় জয়নাল,
তুমি শুধু বেঁচে চীরকাল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।