আমি সততা ও স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি।
শ্রীমঙ্গলে বিলুপ্তপ্রায় পাখি লক্ষ্মীপেঁচার দেখা মিলেছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার আশিদ্রোণ ইউনিয়নের শংকরসেনা গ্রামে ৪টি লক্ষ্মীপেঁচাকে একসাথে দেখতে পাওয়া যায়। গ্রামে একটি গাছে বাসা বেঁধেছিল এইগুলো। গ্রামের কৌতুহলী দুষ্ট ছেলেরা লক্ষীপেচার এ বাসাটিকে একটি গাছের ডালে দেখতে পায়।
ছেলেরা গাছের ডাল থেকে পেঁচাগুলোকে ধরে রাস্তার উপর এনে খেলা করছিল। জনৈক পথচারী বাংলাদেশে বিরল এ পেঁচাগুলো দেখতে পেয়ে এগুলোকে ধরে নিয়ে আসেন শ্রীমঙ্গলের মিনি চিড়িয়াখানায়। চিড়িয়াখানার পরিচালক ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষক সিতেশ রঞ্জন দেবের পুত্র সজল দেব জানান, লক্ষ্মীপেচাগুলো তার মিনি চিড়িয়াখানায় সযতেœ সংরক্ষণ করা হয়েছে।
সিতেশ রঞ্জন দেব ড. আলী রেজা খানের ‘বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী’ বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, এ প্রজাতিটি বর্তমানে আমাদের দেশে খুবই বিরল। এর ইংরেজী নাম ইধৎহ ঙষি এবং বৈজ্ঞানিক নাম ঞুঃড় ধষনধ ।
নিশাচর এ লক্ষীপেচাটির মুখমন্ডল হৃৎপিন্ডাকৃতির। সাদা এবং বাদামী রঙের ছোট ছোট দাগ আছে। লেজের নীচে লালচে আর তার ওপর পাথালী ভাবে কিছু কালো দাগ রয়েছে। জানা যায়, লক্ষীপেঁচা দিনের বেলায় ভাঙ্গা দালানের ফোকরে বা অন্ধকার কোন জায়গায় চুপচাপ বসে বা ঘুমিয়ে দিন কাটায়। সন্ধ্যায় ক্রীচ ক্রীচ শব্দ করে বেড়িয়ে আসে।
রাতে কমপক্ষে একটি ইঁদুর খায়। প্রায় ৩৬ সে.মি লম্বা এ প্রজাতিটি দালানের ফোকর, উচু গাছের গর্তে, খড়কুটা, পাটের আঁশ প্রভৃতি দিয়ে বাসা তৈরী করে। এরা ৭ থেকে ৯টি ডিম পাড়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।