আগুনে পুড়ে ছারখার সুনীল শীলের বসত বাটি।
বাড়িত নয় যেন কালো কুচকুচে কয়লার স্তুপ!
ভগ্ন ভিটায় নিপু শীলের নিত্য আহাজারি, ”ভগবান, তুই কই?”
সব কিছু আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে জামাত নামের এই হিংস্র হায়েনারা..
ভিটা-মাটি, টিনের চাল, লেপ, তোষক, বিছানার চাদর এমনকি
নিপু শীলের গরু আর ছাগল। সেই সাথে পুড়ে আঙার হয়ে গেছে নিপু শীলের ভালোবাসায় মাখা সব স্প্নগুলো। খুব সামান্য স্প্ন ছিল তার....স্বপ্ন ছিল পেট পুরে তিন বেলা খেয়ে নিশ্চিন্ত এক জীবনের আবদার! স্বপ্ন ছিল স্বামীর সংসারে সুখে শান্তিতে জীবন কাটানোর খুদার্ত বায়না। খুব সাধারন স্বপ্ন।
অথচ!কতই না অসাধারন! সব স্বপ্নই এখন আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ভস্ম ছাই। সুনীল শীলের কন্ঠে আর কোন ভাষা নেই। আর কোন শব্দ নেই। নিথর, হতবাক দুইজোড়া বিস্ফরিত চোখ তার! বিরবির করে শুধু বলছে, “মানুষও এত পশু হতে পারে?”
ধর্ম এর নামে এত অধর্মতা- আর কাহাতক মানা যায়? সুনীলের কান্নার দাগ নোয়াখালির বেগমগঞ্ছের আকাশ -বাতাসে পাগলের মতন ভেসে বেড়ায়। আর কাহাতক বাহে? আর কাহাতক? ভগবান তুইয়ো কি অন্ধ হইয়া গেলি??
স্পষ্ট দেখতে পাই আগুনের লেলিহান শিখায় দপ দপ করে জ্বলছে ভাসানীর মানবতাবাদী দুটো চোখ।
স্পষ্ট দেখতে পাই ভাসানীর চোখে নীরব অশ্রু ধারা।
স্পষ্ট দেখতে পাই ভাসানীর উদার্ত আহ্বান। ”মানুষের উপরে আর কোন ধর্ম নাই। তোমরা সবাই মানুষের পাশে এসে দাড়াও। ”
স্পষ্ট শুনতে পাই রবুবিয়তের আহ্বান।
সৃষ্টিকে ভালোবসার ডাক দিয়েছেন মওলনা ভাসানী আমার।
আমি দেখতে পাই, আমার হুজুরের চোখে জল, আমার ভাসানীর চোখে জল। আমার ভাসানী কেন কাঁদে? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।