ঙ
ফেলে আসা বছরের শেষে আসা দিনগুলোতে ঘুরে এসেছিলাম কুয়াকাটা । তারই কিছু ছবি ।
কুয়াকাটায় যেতে নৌপথই বেশি ভালো । এতে বিচরণের আরামটা পাওয়া যায় । তবে সামান্য একটু অসুবিধা ।
ঢাকা থেকে পটুয়াখালী নৌপথে আসার পর আপনাকে রিক্সা বা অটোরিক্সায় আসতে হবে বাস স্ট্যান্ডে । এখান থেকে কুয়াকাটার সরাসরি বাসে উঠলেও যেই না বাস - তার আবার আরাম - দুর্দান্ত সব ঝাঁকুনি হবে আপনার সঙ্গী । তবে কুয়াকাটার সৌন্দর্যের ওমে সেই কস্ট ভুলে যাবেন । বাস না নৌপথ - টস হতেই পারে তবে কুয়াকাটায় যাওয়াটা পটুয়াখালী পর্যন্ত নৌপথ দিয়ে হলেই ভালো হয় । তাতে এক মোহময় সূর্যোদয় দাগ কাটার সুযোগ পেতে পারে আপনার মনে ।
অন্যদিকে স্থলপথে সাকুরায় আসা যাওয়ায় পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা যেতে ঝাঁকুনি তুলনামূলক কম ।
(আপডেটঃ এখন রাস্তা আগের তুলনায় অনেক ভাল । )
পটুয়াখালীর কাছাকাছি দুরত্বে এসে সূর্যোদয় দেখা । জাহাজে আমাদের কেবিনের বিপরীত প্রান্ত থেকে উপভোগ করলাম সকালের নরম বাতাস আর সুয্যিমামার হাসি ।
দুপুর নাগাদ কুয়াকাটা পৌছে সতেজ হয়ে ছুটে গেলাম সৈকতে :
কুয়াকাটায় পুবে-পশ্চিমে সাগরের তীর ঘেষে মটর বাইকে করে ঘুরার মজাই আলাদা ।
দরদাম করে আপনার পছন্দ মতো ঘোরার প্যাকেজ ঠিক করে নিতে পারেন । প্যাকেজের মটর সাইকেলের চালক সহ মোট তিনজন বসা যাবে ।
উপরের ছবির মতো হয়তো দেখবেন ছোট্ট রুপালি ঝড় ।
বৌদ্ধ মূর্তি : ( আপডেটঃ বৃহত্তম টা নাকি খাগড়াছড়িতে?)
দেখুনতো কি সুন্দর টুপ করে নৌকাটা নাই হয়ে গেলো :
হিম হিম ঠান্ডায় পুবের কুয়াকাটায় । এসেছি ভোরের সূর্যের কমলা রঙে মাখামাখি হতে ।
ভোর ৫টায় বীচ ঘেষে মটরসাইকেলে করে সুর্যোদয় দেখতে যাবার অনুভূতি আধিভৌতিক/পরাবাস্তব মনে হয়েছিল । তবে দেখলাম কাপলরা গ্রুপে না থাকলে এই নির্জন যাত্রায় আসেননি ।
পথে যেতে যেতে :
লাল কাকড়া :
এমন অনেক সুন্দর মুহূর্ত আসবে স্মৃতিকে ফ্রেমে বন্দি করে রাখার ।
** কুয়াকাটায় দ্বিতীয়বার ভ্রমণ নিয়ে পোস্ট
আবার ছুটে গেলাম সাগর-কন্যার রূপ দেখতে (কুয়াকাটা রিভিজিটেড)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।