কুয়াকাটাকে কেউ বলে সাগরকন্যা, কেউ
বা বলে বনকন্যা। বছরের যে কোন
সময় কুয়কাটায় গিয়ে প্রচুর আনন্দ
পাবেন। এখানে গেলে সমুদ্রের
বেলাভূমি থেকে ভোরে সূর্য ওঠার
এবং সন্ধ্যায় সূর্য অস্ত যাবার
অপরূপ দৃশ্য দেখতে পাবেন। কুয়াকাটায়
মনোরম ঝাউবন আর নানান প্রজাতির
পাখিও দেখা যায়। এখানকার নারিকেল
বাগানও দেখার মতো।
এছাড়াও
রয়েছে শুঁটকিপল্লী, ছোটদের রাজ্য আর
গঙ্গামতি নামের স্হান। গঙ্গামতির
বড় বড় চরে হাজার হাজার পাখির
কলকাকলি আপনার মন ভোলাবে।
রাখাইনদের হস্তশিল্প আর
সংস্কৃতি দেখে আপনার সুন্দর সময়
কাটবে। মাঘী পূর্ণিমা ও শারদীয় রাশ
পূর্ণিমায় কুয়াকাটায় মেলা বসে। এ সময়
আপনি সেখানে গেলে আরও বেশি আনন্দ
উপভোগ করতে পারবেন।
নামকরণ
অতীতে এ অঞ্চলে খাবার পানির খুব
সংকট ছিল। তখন খাবার পানির উৎস
ছিল একমাত্র কুয়া। সাধারণ মানুষ
কুয়া থেকেই খাবার পানি সংগ্রহ করত।
আর এ কারণেই এ জায়গার নাম
হয়েছে কুয়াকাটা।
যেভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৩৮০
কিমি.।
পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটার
দূরত্ব ৭০
কিমি এবং কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটার
দূরত্ব ২৫ কিমি। ঢাকা থেকে বাস যায়
কুয়াকাটায়। এ ছাড়াও
ঢাকা থেকে কলাপাড়ার
উদ্দেশ্যে প্রতিদিন সদরঘাট
থেকে সন্ধ্যা ৬.০০ টায়
একটি করে লঞ্চ ছেড়ে যায়।
যেখানে থাকবেন:
কুয়াকাটায় পর্যটন হোটেল আছে। বাস
স্ট্যান্ডের কাছেই পর্যটন
হোটেলটি অবস্হিত।
এ ছাড়াও অন্যান্য
হোটেলের মধ্যে নীলাঞ্জনা, সানরাইজ,
স্মৃতি, গোল্ডেন প্যালেস,
ফ্যামিলি হোমস, হোটেল সি ভিউ
প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
Our Sponsors: KA ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।