ভালবেসে মিটিলনা আশা, কুলালনা এই জীবনে।
বাংলাদেশে গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ পেতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর এ কাজে সফলও হয় তারা। বাংলাদেশের সমুদ্র তীরবর্তী দুটি ব্লকে গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ বাগিয়ে নেয় মার্কিন প্রতিষ্ঠান কনোকো ফিলিপস। ২০০৯ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের ওই দুটি ব্লকে গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ পায় কনোকো।
কিন্তু ওই বছরের জুলাই মাসেই কনোকোর কাজ পাওয়া নিশ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্রে বার্তা পাঠায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস্ এফ মরিয়ার্টি। সম্প্রতি সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া মার্কিন গোপন দলিল সূত্রে পাওয়া যায় এ চাঞ্চল্যকর তথ্য। উইকিলিকস সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ২০০৯-এর জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-এ-ইলাহী চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন মরিয়ার্টি। বৈঠকে বাংলাদেশের সমুদ্র তীরবর্তী দুটি প্রতিযোগীবিহীন ব্লকে গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ কনোকো ফিলিপসকে এবং দেশের প্রধান গ্যাসলাইনে গ্যাসের প্রবাহ উন্নীতকরণে কমপ্রেসারের কাজ শেভরনকে দিতে উপদেষ্টাকে ‘অনুরোধ’ করেন মরিয়ার্টি। যেই ভাবা সেই কাজ।
৩ মাসের মধ্যে ওই দুটি কাজ পায় কনোকো ও শেভরন। দরপত্রে অংশগ্রহণকারী ৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ পেয়ে যায় কনোকো ফিলিপস। চুক্তির আওতায় শুধু গ্যাস অনুসন্ধানই নয়, উৎপাদিত গ্যাসের একটি ভাগ দেয়া হয় তাদের। কনোকোর ভাগের গ্যাস তরল প্রাকৃতিক গ্যাসরূপে উপকূলীয় দুর্গম এলাকায় সরবরাহ করতে বলা হয়। এছাড়া বঙ্গোপসাগরের বিরোধপূর্ণ এলাকা থেকে দূরে থাকতেও বিশেষভাবে সতর্ক করে দেয়া হয় কনোকোকে।
২০০৯-এর জুলাইয়ে পাঠানো বার্তায় এসব কিছুরই উল্লেখ করেন মরিয়ার্টি। এদিকে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বাংলাদেশে গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ পেতে ভারতও ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ করে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর মতে, যতবারই বাংলাদেশে গ্যাস অনুসন্ধানে ভারত তার আগ্রহের কথা জানিয়েছে, ততবারই ওইসব ব্লকে গ্যাসের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য সময় চেয়েছে বাংলাদেশ। বারবার একই ঘটনা হওয়ায় খেই হারিয়ে ফেলে ভারত। আর এরই মাঝে চুক্তি বাগিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।
তবে বন্ধুপ্রতিম হাসিনা সরকারের আমলেও বাংলাদেশে এতবড় কাজ হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় নিজ দেশের সংবাদমাধ্যমের তোপের মুখে পড়ে ভারত সরকার। ভারতের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তখন নিজেদের পিঠ বাঁচাতে বাংলাদেশে গ্যাস অনুসন্ধান লাভবান হবে না বলে উল্লেখ করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।