চুশীল/প্রগুদিশীল/প্রচুদিশীল ব্লগার দ্বারা সাম্প্রদায়িক ঘোষণা করা হয়েছে।
বিমানবন্দরের প্রয়োজন আছে কি-না তা জানার আগে দেখি এর অপ্রয়োজনীয়তাঃ
১। জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বেদখলকৃত জায়গাটুকু উদ্ধার করে সম্প্রসারন করলে বিশ্বের অনেক বিমানবন্দরের চেয়ে এটা বড় হবে। (সরকার এবং বিরোধীদলের নেতাদের যোগসাজসে দখল হয়ে আছে, উদ্ধার করা সম্ভব নয়)
২। বিমানবন্দর হলেই চলবে না, তার ব্যবহার হতে হবে।
আমাদের নিজেদের বিমান নাই, অনেক আন্তর্জাতিক রুটই বাতিল হয়েছে বিমানের স্বল্পতা এবং খারাপ সার্ভিসের কারণে। (দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবছর লোকসান দিয়ে থাকে, নতুন বিমান কেনা বা সার্ভিস বাড়ানো সম্ভব নয়)
৩। বিমানবন্দর কার্যকরী হতে পারে যদি ইহা হাব হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কারণ, হাব হিসেবে ব্যবহৃত হলে ট্যাক্স আসে। আমি জানি না পৃথিবীর কোন্ কোন্ বিমান আমাদের বিমানবন্দরকে হাব হিসেবে ব্যবহার করে।
(থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকং, দুবাই বিমানবন্দর হাব হিসেবে ব্যবহৃত হয় তাদের উন্নত সার্ভিসের কারণে)
৪। দেশের অব্যবহৃত এবং পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে (আমি নিশ্চিৎ নই) ঈশ্বর্দী, বরিশাল, এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দর। (ধানক্ষেত/পাটক্ষেত বা পাহাড়ের কোল ঘেঁষে অবতরণের কারণে আভ্যন্তরিন রুটে লোকজনের আগ্রত কম)
৫। দেশে এখন বিদ্যূৎ চাহিদা চরমে। ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে বিমানবন্দর বানানোর চেয়ে সেই টাকা দিয়ে ২ হাজার মেগাওয়াটের পুরা নতুন (ঈশ্বর্দীর রুপপুর বাদেই) একটা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন করা যায়।
(এতে টাকা মারার চান্স কম, কারণ, পুরা কাজটাই করবে বিদেশীরা)
এবার দেখি কেন বিমানবন্দর প্রয়োজনঃ
১। হাসিনা ভালই তেল খায়। চারপাশ ঘিরে থাকা চামচা রাজনীতিকরা বলেছেন যে, জিয়ার নামে বিমানবন্দর চলেছে ২৫ বছর। কাজেই বঙ্গবন্ধুর নামে একখান বিমানবন্দর দরকার। (আড়ালের উদ্দেশ্য হলঃ নেতারা বিভিন্ন টেন্ডার থেকে টাকা মারতে পারবে)
২।
আর কোন যুক্তি পাচ্ছি না, স্যরি, প্রিয় ভাই-বোনেরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।