এ মুহূর্তে যারা গণতন্ত্র কিংবা নিরপেক্ষতার ছবক দিচ্ছে তাদের কাছ থেকে সাবধান। ঠিক সাঈদীর বিচারের রায় ঘোষণার পর পরই যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের এক অংশ নিরপেক্ষতার ভান করছে। আর এক পক্ষ গণতন্ত্রের ছবক দিচ্ছে। বলছেন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এ ধরনের পরিস্থিতি কাম্য হতে পারে না। তারা ভুলে গেছে বিচারের আগে জামাত শিবির সারাদেশে যে অরাজকতা তৈরি করেছিল, পুলিশ ও মানুষ খুন করেছিল সেই কথা।
এখন পুলিশ যখন জনগণের জানমাল রক্ষায় নেমেছে তখন তারা গণতন্ত্রের কথা বলছেন। এ দলে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আছেন বরেণ্য সাংবাদিক সাদেক খান, কবি , প্রাবন্ধিক , তাত্ত্বিক ফরহাদ মজহার সহ অনেক জ্ঞানপাপী। আর তাদের পরিষদ বর্গ তো আছেনই।
ফরহাদ মজহার বোঝাতে চান জামাতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড জায়েজ তাদের অধিকার বা মতামতের ভিত্তিতে। এজন্য জামাত শিবির যখন সারাদেশ ব্যাপি আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল জ্ঞানপাপীরা নীরব ছিলেন।
এখন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চেতনা ও আদর্শ সমুন্নত রাখার জন্য পুলিশ জনগণকে সহায়তা করছে সেটা জায়েজ নয়। তারপর বলছেন-শাহবাগের শান্তিপূর্ণ গণজাগরণ ট্রাইব্যুনালের বিচারের উপর প্রভার ফেলছে। মারহাবা (এটা ফরহাদ মজহারের প্রায় ব্যবহৃত শব্দ- আমিও মারলাম আরকি)! কিন্তু তখন জামাত শিবির যে বিচার চলাকালীন অর্থাৎ শাহবাগ জাগরণের আগে সারাদেশ ব্যাপি বিচারের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছিল তখন কি বিচার ব্যবস্থার উপর কোন প্রভাব পড়েনি। সেই ভুলিয়ে দিয়ে আজকের পরিস্থিতির কথা কেন বলছেন। আর যারা নিহত হচ্ছে তাদের ব্যাপারে অবশ্যই সমবেদনা জানাতে হবে।
কিন্তু পুলিশ যে নিহত হচ্ছে সেটা কেন উল্লেখ করছেন না ছবক দাতারা। কারণ পুলিশবাহিনীর সদস্যরা এদেশের সন্তান। আমাদের মতো কারো ভাই, বা আত্মীয় স্বজন। আমাদের পারিবারিক, সামাজিক, স্থানীয় সংস্কৃতির চেতনাবোধ থেকে সরে এসেছি বলেই এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমাদের যে সংস্কৃতিগত ঐক্যের কথা বলেছি সেটাই বাঙালির রাষ্ট্রিক চেতনা।
এটাকে নস্যাত করছে যুদ্ধাপরাদীদের বিচারের বিরুদ্ধকারী চক্র। আর যারা জেহাদ করতে এসেছেন তারা মালপানি ছাড়া রাস্তায় নামেনি। জামাত শিবির বলতে যারা যে বিশ্বাসে জামাত শিবির করত সেটা তারা দেখেছে মিথ্যা। তাই জামাত শিবিরের সেই মানুষগুলো আর খুব একটা নেই। বাস্তবতা হচ্ছে ফরহাদ মজহার যে লাইনে কথা বলেন সেটা হচ্ছে ইমানের জোর খুব বড় ব্যাপার।
সেটা শাহবাগ আন্দোলনকাররিদেরই আছে। আর যারা নিজেদের ন্যায় নীতির বিরুদ্ধে লড়ে তারা ইমানের জোর পাবে কোত্থেকে। তারপরও ফরহাদ মজহারের মত মানুষরা যে কল -কৌশল করে কিছু বলছেন যুদ্ধাপরাদীদের পক্ষে তাতে আমরা বুঝব ফরহাদ মজহারদের প্রতি আমাদের যে শ্রদ্ধা ছিল সেটা এখন আর ইমানের জায়গায় নেই।
আর এক পক্ষ নিরপেক্ষতার ভান করছে তারা যুদ্ধাপরাধের বিচারে আমাদের সমর্থনকে নমনীয় করার জন্য। কারণ আমাদের কঠোর অবস্থানকে কোনভাবে টলানো গেলে সেটা মনস্তাত্ত্বিকভাবে তাদের লাভ।
এ মুহূর্তে যারা গণতন্ত্র কিংবা নিরপেক্ষতার ছবক দিচ্ছে তাদের কাছ থেকে সাবধান
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।