Everything I Know, I want to forget চাকরিতে জয়েন করার সময় অলিখিত একটা শর্ত ছিলো কর্পোরেট পার্টিগুলোতে এ্যটেন্ড করতেই হবে। আমার মতো প্রাউড ব্যাচেলরদের জন্য তখন এটা কোনো সমস্যাই ছিলোনা। উপরি ছিলো সেবনের অবাধ সুযোগ। তবুও কেনো জানি, এই সব পার্টিগুলো আমার পছন্দ হতো না। না পারতে যেতাম, আর বারে বসে বসে গ্লাস খালি করতাম, যে যা বলত কান পেতে মনোযোগ দিয়ে শুনতাম।
অবশ্য বেশিরভাগ কথাবার্তাই হতো পরনিন্দা আর দেশটা রসাতলে গেলো টাইপের। কিছুদিন পরেই বিরক্তি ধরে গেলো, স্পষ্ট জানিয়ে দিলাম আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়। আর তখনি ডাক পড়ল, ফারজানা ম্যাডামের রুমে।
ফারজানা ম্যাডাম ভয়ংকর সুন্দরী।
অফিসিয়াল ভাবে বয়স ৩৫ এর কাছাকাছি।
দেখে অবশ্য সেটা বোঝার উপায় নেই। অফিসের সবাই উনাকে বাঘিনীর মতো ভয় পায়। জেনারেল মিটিং এ দুচার বার হাই-হ্যালো ছাড়া উনার সাথে আমার খুব একটা কথা হয় নি কখনো। অনেক কানাঘুষা শুনেছি ক্যান্টিনে উনার নামে। কতটা সত্যি সেটা জানার সৌভাগ্য হয়নি।
> আসতে পারি, ম্যাডাম ?
> ইয়েস। ইউ মাস্ট বি দেট ফ্রেশম্যান, রাইট? নেম প্লিজ।
> ইটস কাবির, ম্যাম। ফয়জুল কাবির।
> কাবির, রাইট।
ইউ মাস্ট হ্যাভ হার্ড, উয়ি হ্যাভ এ বিগ প্রোডাক্ট লান্চ কামিং আপ। আই ওয়ান্ট টু মেক ইট এ ম্যাসিভ ওয়ান। এবারই প্রথমবারের মত দ্বায়িত্ব্ সব আমাকে দেওয়া হয়েছে। সো, আই ওয়ান্ট নো মিসটেক এন্ড হেল্প।
> এনিথিং এন্ড এভরিথিং ফর ইউ, ম্যাম।
(কথাটা শুনেই ফারজানা ম্যাডাম চোখ তুলে সরাসরি তাকালো আমার দিকে। অবজ্ঞা আর বিরক্তি নিয়ে)
> ইউ বেটার কিপ দেট ইন মাইন্ড। ওয়েল, বি এট রিসেপশান বাই লান্চ আওয়ার। আই উইল টেক ইউ টু মিট সাম ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট পিপল। ইউ ইউল ডু দা ফিল্ড ওয়ার্ক এন্ড রিপোর্ট স্ট্রেইট টু মি, ওনলি আনটিল ইটস ডান।
গুড লাক।
আর কিছু না বলে রুম থেকে চলে আসলাম। কয়েকটা দিন খুব খাটাখাটনি যাবে। কাজ করতে ভয় পাইনা, তবে ফারজানা ম্যাডাম কে হ্যান্ডেল করতে না পারলে কপালে দুঃক্ষ আছে, সেটা নিশ্চিত। হাতে কিছু কাজ আছে, সেগুলো লান্চের আগেই শেষ করতে হবে।
পিয়ন কে একটা চা দিতে বলে সিগারেট ধরালাম।
পরের কয়েকটা দিন বেশ ব্যাস্ততার মধ্যে গেলো। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের খাটাখাটনি বুঝলাম হাতে কলমে। ফারজানা ম্যাডামের সঙ্গ জুটল। একসাথে বেশকিছু জায়গায় ঘোরাঘুরি আর লান্চ হলো।
ফেসবুকে কিছু ছবিও শেয়ার করলাম। অনেক কাছ থেকে ম্যাডাম কে দেখার ফলে, এতটুকু বুঝলাম এই মহিলার মধ্যে সিরিয়াস সমস্যা আছে। সব সময় নির্লিপ্ত আর ঠান্ডা। ঠিক বরফের মত। মনে মনে বরফ গলানোর প্ল্যান করতে লাগলাম।
কিন্তু সাহসে কুলায় না। নিজেকে সুযোগের অপেক্ষা করতে অটো-সাজেশন দিলাম।
অবশেষে এলো সেই ইভেন্টের রাত।
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।