ঢাকা খুব শিগ্রি চকচকে আর সৌন্দর্যের নগরী হবে। এমনও হতে পারে ঢাকা হয়ে যাবে সিংগাপুর! সে সৌন্দর্যে আমি আর আপনি সহ ঢাকার মানুষ পুলকিত হবে অবশ্যই। দিন বদলের এই সময়টায়, তা তো অবশ্যই আশাব্যঞ্জক খবর হবেই। সময় কিন্তু আছে আর বিশ দিন। আচ্ছা ধারনা করতে পারেন কি হতে পারে? আমার অবশ্য ধারনা বিসিবি সভাপতির বাসার সামনে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর রেপ্লিকা থাকতে পারে।
আর কি কি থাকতে পারে তা না হয় আপনারাই একটু ভাববেন। হাজার হলেও বিসিবি সভাপতি বলে কথা! আবার শুনেছি উনি নাকি ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশ জন্ম নেয়ার এই ৪১বছরের মাথায় দাঁড়িয়ে কত কি যে দেখলাম। সামনে ঢাকা হবে সৌন্দর্যের নগরী। তা ভেবেই খুশিতে বগল বাজাচ্ছিলাম।
কিন্তু এই বগল বাজাতে গিয়ে যখন শুনেছি যে বাজেট- ১০ কোটি টাকা। চুক্তি করেছেন বিসিবি আর ইসলামী ব্যাংক। এই সৌন্দর্য বর্ধন কাজটি করবেন কিভাবে তা আবার আমি আপনি যেন জানতে না চাই। কারণ সব বুঝ তো বিসিবি বুঝবে থুক্কু বিসিবি সভাপতি বুঝবেন! তাহলে আর আমাগো মতো এই আমজনতার বেশি ভাবনা ভেবে লাভ কি?
হ্যাঁ অবশ্যই আমজনতার বুঝার ব্যাপার আছেই। তাই তো বলতে চাওয়া নিজের মতো করে।
বিসিবি সভাপতির একচ্ছত্র হেয়ালিপনার কারণে যেখানে আপামর ক্রিকেট আমুদে দর্শকদের টিকেট ক্রয় এর ভোগান্তির পরপরই যেখানে উনি বলতে পারেন- উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের টিকেট এর দাম রাখবো আমরা দুই হাজার টাকা। তার দ্বারা তো সবই সম্ভব!
দেশ আমাদের, বিসিবি আমাদের, বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম আমাদের। আর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বলছেন- আমার ব্যবসা হবে। আসলে কি উনি বিসিবি এর উন্নতি করতে বসেছেন নাকি ব্যবসা করতে বসেছেন? এই প্রশ্ন এর উত্তর যদি কাউকে প্রশ্ন করেন। সহজ উত্তর- উন্নতি।
আর সে ব্যবসায়ী থুক্কু বিসিবি সভাপতি বলবেন- ব্যবসা। হ্যাঁ উনি দারুণ ব্যবসা করেছেন বলেই তো সমীক্ষা আছে- ঢাকা সৌন্দর্যের নগরী বাবদ দশ কোটি আর স্পন্সর বাবদ তিন কোটি টাকা। বারবারই হিসেব করতে গিয়ে আমার ক্যালকুলেটর বোম ব্লাষ্টের মত ফুটে গিয়েছে। ভাগ্যিস আমার কিছু হয় নাই। তবে বিসিবির ক্যালকুলেটরে নিশ্চয়ই তা গণনা করা গিয়েছে।
হাজার হলেও আধুনিক ছেলের মতো- আধুনিক বিসিবি না! বিসিবি এর ৯৯% ই ভালো খালি বিসিবি সভাপতি একটু ব্যবসা করবার চায়।
ব্যাপারটি খটকা লেগেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এই ব্যাপারে প্রতিবাদ জানিয়েছে রীতিমতো। তার মানে এই বিসিবি সভাপতি একাই বিশ্বকাপ এর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন! তার মানে বিসিবি আ হ ম মোস্তফা কামাল এর সম্পত্তি। বাংলাদেশের না! যে লোক খেলা নিয়েও ব্যবসা করবার চায়, যা সরকারের সম্পত্তি। তার মানে সরকারও তাহলে এই ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি বলেই তো মনে হয়।
না হয় কি আর ভারতীয় সংস্কৃতি দিয়ে বাংলাদেশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে সব ব্যাপারে তাহলে ব্যবসাই হয়েছে!
জনগণের মনের আশা কে নিয়ে, অনুভূতির উচ্ছলতাকে নিয়ে ব্যবসা করার কারণে আর কেউ না চাইতে পারে। আমার মতো অধম বলতেই পারি- বিসিবি মানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির পদত্যাগ চাই। নাহয় সামনে আর কি কি ব্যবসা করে। দেশের সুনাম আকাশে উঠাতে গিয়ে না জানি জমিতে সলিল সমাধির মতো ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন। ভরসা নেই।
সরকার সাধু সাবধান!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।