আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আওয়ামী লীগের উদ্বৃত্ত হলে বিএনপির ঘাটতি কেন?

বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী দেশটির প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নির্দিষ্ট সময়ের (৩১ জুলাইয়ের) মধ্যেই তাদের ২০১২ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে। ওই সব হিসাবের বিস্তারিত প্রকাশ না করা হলেও দলগুলোর নেতাদের উদ্ধৃত করে প্রথম আলোর (১ আগস্ট, ২০১৩) খবরে বলা হয়েছে যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ লাভে এবং লোকসানে আছে বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টি। শিরোনামে লাভ ও লোকসান না বলে উদ্বৃত্ত ও ঘাটতি শব্দগুলো ব্যবহূত হলে তা যথাযথ হতো। আলোচনার বিষয় কিন্তু সেটা নয়; বরং প্রশ্ন, এই ফারাক হওয়ার কারণ আমরা জানতে পারব কবে? ২০০৮ সালে আইনে সংশোধনীর পর থেকে এই হিসাব দেওয়ার ধারাবাহিকতা যে প্রধান দলগুলো বজায় রেখেছে, সে জন্য নিঃসন্দেহে তাদের ধন্যবাদ দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে, ওই আইনের অন্য বিধানগুলোর অনেকাংশকে তো ইতিমধ্যেই জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে।

যেমন প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের অধিকার ইতিমধ্যেই হরণ করে নিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব—কার্যত দলীয়প্রধান। ন্যূনতম তিন বছর দলের সদস্য না থাকলেও যে নির্বাচন করা যায়, তার প্রমাণও সাম্প্রতিক উপনির্বাচনগুলোয় দেখা গেছে। আর নির্বাচন কমিশন এখন নিজেই তো আচরণবিধি লঙ্ঘনের শাস্তি হিসেবে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা স্বেচ্ছায় ত্যাগ করার পণ করেছে।  রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাব দলগুলো স্বেচ্ছায় যতটুকু প্রকাশ করে, তার চেয়ে বেশি জানার সুযোগ সাধারণ মানুষের নেই। আর হিসাব প্রকাশের ক্ষেত্রেও কমিশনের রয়েছে অনীহা।

গত কয়েক বছরের কোনো হিসাবই কমিশন প্রকাশ করেনি। অথচ প্রায় প্রতিদিনই রাজনৈতিক দলগুলোর জাঁকজমকপূর্ণ যেসব কর্মসূচির খবর পত্রপত্রিকায় প্রকাশ হয়, সেগুলোর খরচ তাদের হিসাবের খাতায় ওঠে বলে বিশ্বাস করার কারণ দেখি না। শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক একটি অনুষ্ঠান আয়োজনে যে পরিমাণ পোস্টার ও ব্যানারের ব্যবহার দেখা যায়, তাতে অন্য সবকিছু বাদ দিয়ে শুধু প্রচারকাজের খরচই তো ১০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা। কোটি টাকার কমে ঢাকায় জনসভা হয় কি না সন্দেহ। গরিব মানুষের ধূমপানের খরচ যেমন ভূতে জোগায়, আওয়ামী লীগ-বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলোর খরচও বোধ হয় তেমনই কোনো অশরীরীরা জুগিয়ে থাকেন।

তা না হলে আওয়ামী লীগ নয় কোটিতে আর বিএনপি সোয়া দুই কোটিতে বছর পার করল কী করে? এই টাকার মধ্যেই তাদের অন্তত দুটি করে বড় আকারের অফিস পরিচালনা, অন্তত ডজন খানেক দিবস পালন, সমাবেশ, মহাসমাবেশ, লংমার্চ, শোভাযাত্রা, সংবর্ধনা ইত্যাদির আয়োজন সম্পন্ন হয় কীভাবে, তা বোধগম্য নয়। এরপর তো আরও অদৃশ্য খরচ রয়েছে, যেগুলো হিসাবের খাতায় আসবে না। কারণ, সেগুলো অপরাধমূলক কাজের খরচ। যেমন, হরতালের জন্য বোমা আবার হরতাল ভাঙার জন্য লাঠিসোঁটা ও আগ্নেয়াস্ত্রের খরচ, আইন-আদালতের খরচ।
প্রথম আলোর ওই একই খবরে বলা হয়েছে যে আয়ের উৎস হিসেবে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকদের চাঁদার পাশাপাশি পুরোনো কাগজ বিক্রির হিসাবও দেখিয়েছে।

বিএনপি অবশ্য তার আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুদানের কথা বলেছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলে এ ধরনের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুদানের কথা জানা যায়নি। অথচ এ ধরনের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দান (চাঁদা) প্রথমেই কিন্তু শাসক দলে যাওয়ার কথা। যাঁরা এসব রাজনৈতিক দলে চাঁদা দেন, তাঁদের কাছে বিরোধী নেতাদের খুশি রাখাটাই কি অগ্রাধিকার পায়? বিএনপির গত পাঁচ বছরের হিসাবে তো ইঙ্গিত মেলে যে তারা বিরোধী দলে আসার পর ক্রমেই তাদের আয় কমেছে। এই ধারাটি অন্য দলগুলোর ক্ষেত্রেও সমানভাবে সত্য।


বাংলাদেশে রাজনীতির অর্থায়ন সম্পর্কে ২০০৯ সালে একটি ভালো ব্যাপকভিত্তিক গবেষণা করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল। তাদের ওই গবেষণাটি তারা মূলত নির্বাচনী তহবিলের হিসাব-নিকাশের মধ্যেই সীমিত রেখেছে। প্রার্থীদের নির্বাচনী অর্থের সংস্থান এবং তার ব্যয়ের হিসাব ছাড়াও রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী তহবিলের আয়-ব্যয়ের বিশ্লেষণ করে তারা দেখিয়েছে যে সব ক্ষেত্রেই কাগজের হিসাবের চেয়ে বাস্তবের হিসাবের ফারাক অনেক ব্যাপক।
ওই গবেষণায় দেখা গেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর চাঁদার অনেকটাই নথিবদ্ধ হয় না এবং তা সরাসরি দলীয়প্রধান অথবা শীর্ষস্থানীয় কয়েকজনের কাছে যায়, আর তাঁরাই তা নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। বড় অঙ্কের চাঁদা চেক মারফত দেওয়ার আইন থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই চাঁদা প্রদানকারী তা নগদে দেন এবং সেগুলোর যথাযথ হিসাব এমনকি দলের সদস্যরাও জানেন না।

এসব হিসাব যেমন স্বাধীন কোনো নিরীক্ষককে দিয়ে নিরীক্ষা করা হয় না, তেমনি নির্বাচন কমিশনও সেগুলো আলাদাভাবে যাচাই করিয়েছে—এমন দৃষ্টান্ত নেই। দলগুলোর জন্য কমিশনে হিসাব জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও তারা তা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে বাধ্য নয়, আবার নির্বাচন কমিশনও তা প্রকাশ করে না।  কোথাও কোনো অনিয়ম বা আইন লঙ্ঘনের জন্য কমিশন কোনো দল বা দলীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, এমন নজির নেই উল্লেখ করে ট্রান্সপারেন্সির ওই গবেষণায় বলা হয় যে আইনেও এ ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকায় কমিশন অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নিতে অক্ষম। ট্রান্সপারেন্সির এই গবেষণায় বলা হয়েছে যে বিদেশি অনুদান গ্রহণ রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নিষিদ্ধ হলেও সে রকমটি ঘটছে। নির্বাচনী তহবিলের বাইরে রাজনৈতিক দলগুলোর নিয়মিত বার্ষিক আয়-ব্যয়ের ওপর ট্রান্সপারেন্সি ভবিষ্যতে একই ধরনের গবেষণা করার কথা বলেছিল ২০০৯ সালে।

আশা করি, শিগগিরই তেমন একটা কিছু আমরা দেখতে পাব।  পাশের দেশ ভারতে রাজনৈতিক দলগুলোর তহবিলের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সাধারণ মানুষের জানার অধিকার রয়েছে বলে সেখানকার তথ্য কমিশন গত ৩ জুন এক যুগান্তকারী রায় দিয়েছে। কিন্তু ওই সিদ্ধান্তে সেখানকার রাজনীতিকেরা বাগড়া বাধিয়েছেন এবং এখন তাঁরা আইন করে রাজনৈতিক দলকে তথ্য অধিকার আইনের বাইরে রাখার পরিকল্পনা করছেন (দ্য হিন্দু, ২২ জুলাই, ২০১৩)। সেখানকার নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যম অবশ্য এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপ বজায় রেখেছে।
আমাদের রাজনীতিকদের, বিশেষ করে ক্ষমতাসীনদের পছন্দের মডেল ওয়েস্টমিনস্টারের দলগুলোকে এ ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ মানতে হয়।

এমনকি চাঁদা নেওয়ার পর তা আইনসম্মত হয়নি বলে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর তা ফেরত দেওয়ার রেকর্ডও রয়েছে (সর্বশেষ ২০০৭ সালে লেবার পার্টিকে দেওয়া সাড়ে ছয় লাখ পাউন্ড সরকারি কোষাগারে জমা হয়)। এসব চাঁদার বিশদ তথ্য প্রকাশের আইনি বাধ্যবাধকতার পরও দেখা যায় দলগুলো তাদের শীর্ষস্থানীয় দাতাদের হাউস অব লর্ডসে মনোনয়ন দিয়ে নয়তো ন্যূনপক্ষে নানা ধরনের খেতাব দিয়ে পুরস্কৃত করছে। এর সর্বসাম্প্রতিক সংযোজন ঘটেছে ১ আগস্ট (গার্ডিয়ান ১ আগস্ট, ২০১৩)। অন্তত হাউস অব কমন্সের মনোনয়নের ক্ষেত্রে চাঁদা দিয়ে সুবিধা নেওয়ার পথ কার্যত বন্ধ। এই পটভূমিতে সাম্প্রতিক একটি ঘটনার উল্লেখ না করলেই নয়।

 স্কটল্যান্ডের ফলকার্কে আসন্ন এক উপনির্বাচন বিরোধী দল লেবার পার্টিকে চরম সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে। ওই আসনটিতে সব সময়ই লেবার পার্টির প্রার্থী জয়ী হয়ে থাকেন বলে সেখানে দলের মনোনয়নের বিষয়টিই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ; যিনি দলীয় ফোরামে ভোটে জিতবেন, তাঁর এমপি হওয়াটাও মোটামুটি নিশ্চিত। সুতরাং, দলের স্থানীয় শাখার নির্বাচন-প্রক্রিয়ায় দলীয় সদস্যদের সমর্থন পেতে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নানা ধরনের কৌশল অনুসরণ করলেন এবং এমন একজন মনোনয়ন পেলেন, যিনি মূলত ট্রেড ইউনিয়নের মনোনীত ব্যক্তি। অভিযোগ উঠল, ট্রেড ইউনিয়ন দলীয় সদস্যপদের ক্ষেত্রে কারসাজি করে নিজেদের লোককে মনোনয়ন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটি অভিযোগ আমলে নিয়ে বিষয়টি প্রাথমিক তদন্ত করে ওই মনোনয়ন-প্রক্রিয়া স্থগিত করল।

দলীয় মনোনয়নে জালিয়াতির মতো কোনো ফৌজদারি অপরাধ হয়েছে কি না, তা তদন্তে লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ড নির্দেশ দিলেন পুলিশ ডাকার।
নির্বাচনী মনোনয়নে এ রকম একটা অনিয়মের এখানেই ইতি ঘটা স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু তা হলো না। রাজনৈতিক অঙ্গনে শ্রমিক-কর্মজীবীদের নিজস্ব দল হিসেবে ১৯০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় লেবার পার্টি। অথচ সেই পার্টির সঙ্গে ট্রেড ইউনিয়নের সম্পর্ক নিয়েই এখন টান পড়েছে।

কেননা, লেবার নেতা মিলিব্যান্ড ঘোষণা করেছেন যে সহযোগী ট্রেড ইউনিয়নগুলো থেকে তাঁর দল যেভাবে এখন চাঁদা নেয়, তাতে পরিবর্তন আনা হবে। বর্তমানে ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যরা ইচ্ছা করলে কেউ আলাদা করে দলের সদস্য হতে পারেন। কিন্তু ইউনাইট এর মতো কয়েকটি বড় জাতীয়ভিত্তিক ইউনিয়ন হচ্ছে লেবার পার্টির সহযোগী সংগঠন, যাদের সদস্যরা আর আলাদা করে পার্টির সদস্যপদ নেন না। কিন্তু ইউনিয়নে তাঁরা যে চাঁদা দেন, তার একটা অংশ পায় লেবার পার্টি। আর যেহেতু মাসে মাসে চেকে সই করেন ইউনিয়নের নেতারা, সেহেতু দলের ওপর ইউনিয়নের নেতাদের একটা আলাদা প্রভাব থাকে।

স্বভাবতই ডানপন্থী ও মধ্যপন্থী অন্য রাজনৈতিক দলগুলো লেবার পার্টির মূল নেতৃত্বকে এই বলে কটাক্ষ করে যে তাদের অবস্থান ইউনিয়নের পকেটে। মজার বিষয় হলো এই যে লেবার পার্টির নেতা নির্বাচনের সময় মূলত ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের ভোটের জোরেই এড মিলিব্যান্ড দলের নেতা হন। মি. মিলিব্যান্ড এখন প্রস্তাব করেছেন ইউনিয়নের সদস্যদের আলাদা করে দলের সদস্য হতে হবে। এই পরিবর্তনের কারণে লেবার পার্টির বার্ষিক আয় কমবে অন্তত ৫০ লাখ পাউন্ড (বিবিসি অনলাইন, ৯ জুলাই, ২০১৩)। দলের নেতারা স্বীকার করে নিয়েছেন যে এতে বছরে ৮০ লাখ পাউন্ডের জায়গায় ইউনিয়নের সদস্যদের কাছ থেকে আয় মাত্র ৩০ লাখে নেমে আসবে।

 নিজের দলের সংস্কারের পাশাপাশি বৃহত্তর সংস্কারের জন্য মি. মিলিব্যান্ড একই সঙ্গে প্রস্তাব করেছেন যে রাজনৈতিক দলের চাঁদার ক্ষেত্রে একক কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদার পরিমাণ পাঁচ হাজার পাউন্ডে নামিয়ে আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁর লক্ষ্য হচ্ছে, টোরি পার্টি, যারা কার্যত বড় পুঁজির প্রতিনিধিত্ব করে। ব্যাংক-বিমা এবং শিল্পপতিদের কাছ থেকে লাখ লাখ পাউন্ড চাঁদা পেয়ে অভ্যস্ত এই দলটির বিরুদ্ধে অন্যতম প্রধান অভিযোগ হচ্ছে যে তাদের বিভিন্ন নীতির মূল লক্ষ্যই হচ্ছে এসব ধনী-সম্পদশালী ব্যক্তিদের স্বার্থ রক্ষা করা। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর অর্থায়ন ও চাঁদা গ্রহণের বিষয়ে রাজনৈতিক সমঝোতার সম্ভাবনা আপাতত খুবই ক্ষীণ বলেই মনে হয়। কিন্তু লেবার পার্টির অভ্যন্তরীণ সংস্কারের প্রস্তাবটি যে তাদের আগামী জাতীয় সম্মেলনে চূড়ান্ত হবে, সেটা মোটামুটি নিশ্চিত।

 বাংলাদেশের রাজনীতিকেরা কি এ ক্ষেত্রে ভালো দৃষ্টান্ত অনুসরণ করবেন, নাকি কালোটাকার দাপটে রাজনীতিকে কলুষিত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে?
কামাল আহমেদ: প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি, লন্ডন। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.