মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন।
এরই নাম আওয়ামী লীগ। এই দলটির দ্বারা সবকিছুই সম্ভব। মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের প্রতি চরম অবহেলার পাশাপাশি আবার তার জন্য মায়াকান্নারও শেষ নেই দলটির। শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ।
তাকে মুজিব মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতেও বাধ্য করা হয়েছিল। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিসভা থেকেও মরহুম তাজউদ্দীন আহমদের ভাইকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। এবার শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায়ও থাকতে পারলেন না তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ। তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করার অনেক নাটকের পর অবশেষে পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়, সংসদ সদস্যপদও শূন্য হয়। এবার উপনির্বাচন।
কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে বলা হলো তাজউদ্দীন আহমদের পরিবারের কেউ নির্বাচন করতে চাইলে অগ্রাধিকার।
তাজউদ্দীনকন্যা রিমির প্রার্থিতা ঘোষণা
গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের উপনির্বাচনে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা সিমিন হোসেন রিমি প্রার্থিতা ঘোষণা করায় শুক্রবার কাপাসিয়ায় আনন্দ-উল্লাস ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। ওই দিনই ঢাকাতে পারিবারিক এক বৈঠকে সোহেল তাজের বড় বোন সিমিন হোসেন রিমি তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। এর আগে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ গত ৭ জুলাই সশরীরে উপস্থিত হয়ে পদত্যাগ করার পর উপনির্বাচন নিয়ে আলোচনা, জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। এতে পাল্টে গেছে ওই নির্বাচনী এলাকার সব হিসাবনিকাশ ও দৃশ্যপট।
বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোহেল তাজের পরিত্যক্ত গাজীপুর-৪ আসনের উপনির্বাচনে তাজউদ্দীন আহমদের পরিবার থেকেই কাউকে মনোনয়ন দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে তিনি দলের কয়েকজন নীতিনির্ধারকের সঙ্গে কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে তাজউদ্দীন আহমদের স্ত্রী ও দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়। এর পর শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীরা সিমিন হোসেন রিমির বনানীর বাসায় জড়ো হন। নেতাকর্মীরা রিমিকে উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে অনুরোধ করেন।
এক পর্যায়ে তিনি রাজি হন এবং প্রার্থিতা ঘোষণা করেন।
বাপ-মা ,চাচা,ভাই অপমানের পর এখন রিমির পালা!
এটা আওয়ামী লীগের পক্ষেই সম্ভব!
এরই নাম রাজনীতি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।