রক্ষকই যদি ভক্ষক হয়ে যায়, তবে আর কী বলার থাকে! অবশ্য দেশটা যদি হয় বাংলাদেশ, আর যদি বলা হয় তার ক্রিকেট বোর্ড সম্পর্কে তবে সম্ভবত অনেককিছুই বলার থাকে।
মাশরাফিকে ছাড়াই চূড়ান্ত হল বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল। ‘মাশরাফি ইনজুরিগ্রস্থ, খেলার জন্য ফিট না’-এসব অজুহাত দিয়ে এখনই বাতিলের খাতায় ফেলে দেয়ার মত সময় এসে গেছে কীনা তা নিয়ে আলোচনা হওয়া মানেই তো ক্রিকেটীয় মানবিকতার বিরোধিতা। সারাবিশ্বের ক্রিকেটারদের কাছে ক্রিকেট বোর্ড আশ্রয়ের মত। যেমন ভারতের শচীন, শেভাগ কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মাইক হাসি ইনজুরিতে পড়লেও তাদেরকে বাদ দিতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েনি, বরং বোর্ড তাদের মূল্য অনুধাবন করে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করছে তাদেরকে ধরে রাখতে।
আর আমাদের ফিজিও যেখানে বলে দিয়েছে যে, আগামী ৭ তারিখ থেকেই মাশরাফি ফুল রান আপে বল করতে পারবে, সেখানে তাকে বাদ দেয়ার মানে হতে পারে হয় মাশরাফির মূল্য বুঝতে না পারা, আর নাহলে তাকে যেকোনভাবেই দল থেকে বিতাড়িত করা।
ইনজুরির বিপক্ষে যুদ্ধ করতে করতে রণে-ক্ষান্ত দেয়া ক্রিকেটারদের উদাহরণ ক্রিকেটবিশ্বে ভুরিভুরি। ক্রিস কেয়ার্নস, ব্রেট লি- এদের কেরিয়ারগ্রাফ অন্যরকম হতে পারত যদি না তা ইনজুরি নামক বিষাক্রান্ত না হত। কিন্তু এদের যে কারুর থেকে মাশরাফিকে অনেক বেশি ভালোবেসেছে ইনজুরি। ছয় ছয়বার কাটাছেড়ার নিচে পড়েও শুধুমাত্র অসম্ভব মনোবলের কারণে আরো বেশি জেগে উঠেছে, আরো বেশি দুর্দমনীয় হয়ে ফিরে এসেছে আমদের প্রিয় যোদ্ধা মাশরাফি।
এবারও হয়তো তেমনই ঘটত, কিন্তু সে সুযোগ দিলোনা আমাদের তথাকথিত স্মার্ট ক্রিকেট বোর্ড।
শচীন, শেভাগ, হাসি- এদের হিংসা করতেই পারে মাশরাফি! আর শচীনরা যদি কখনো ‘ইনজুরিকে পরাজিত করা, কিন্তু কিছু মানুষের খামখেয়ালির কাছে পরাজিত’ আমাদের মাশরাফির গল্প জানতে পারে, তবে মনে মনে নিশ্চয়ই একবার ধন্যবাদ দেবে সৃষ্টিকর্তাকে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় না করার জন্য!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।