আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শর্ত সাপেক্ষে পুঁজিবাজারে আসছে মবিল যমুনা, এমআই সিমেন্ট



শর্ত সাপেক্ষে পুঁজিবাজারে আসছে মবিল যমুনা বাংলাদেশ লিমিটেড ও এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেড। সোমবার এসইসির পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এসইসির একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন। শর্ত অনুযায়ী বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারিত হওয়া এই দুই কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর প্রথম ৩০ দিন আইপিওর প্রস্থাবিত মূল্যর চেয়ে বেশি মূল্য শেয়ার বিক্রি করতে হবে। যদি আইপিও‘র প্রস্তাবিত মূল্যর চেয়ে বেশি দামে শেয়ার বিক্রি না হয় কিংবা এর চেয়ে কম মূল্যে চলে আসে তাহলে কোম্পানির পরিচালকরা আইপিওর দামে শেয়ার কিনে নিতে হবে।

উল্লেখ্য বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারের অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারিত হওয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হলে গত ১৯ জানুয়ারি এসইসি বুক বিল্ডিং পদ্ধতি আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। একইসঙ্গে ২৩ জানুয়ারি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে টাকা জমা নেওয়া মবিল যমুনা ও এমআই সিমেন্টের কার্যক্রম পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার কথা সাংবাদিকদের জানান। ফলে কোম্পানি দু’টির আইপিওতে আবেদন করা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এসইসি এ সিদ্ধান্ত নেয়। উল্লেখ্য, এর আগে গত ২ থেকে ৬ জানুয়ারি মবিল যমুনা বাংলাদেশ লিমিটেডের আইপিওর টাকা জমা নেওয়া হয়।

তবে এনআরবি (ননরেসিডেন্স বাংলাদেশি) ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তা জমা দেয়। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এ কোম্পানির ১০০টি শেয়ারে মার্কেট লট নির্ধারন করা হয়েছে। ১০ টাকা শেয়ারের বিপরীতে ১৪২.৪০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১৫২.৪০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের প্রতিটি লটের বিপরীতে ১৫ হাজার ৪০০ টাকা জমা দিতে হয়। কোম্পানিটির আইপিও পূর্ববর্তী পরিশোধিত মূলধন ১৪০ কোটি ৩২ লাখ এবং আইপিও পরবর্তী পরিশোধিত মূলধন ১৮০ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

কোম্পানিটি অভিহিত মূল্য অনুযায়ী পুঁজিবাজার থেকে ৪০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। সর্বশেষ ২০১০ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ১১.৭০ টাকা। অন্যদিকে এমআই সিমেন্ট সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৯ থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত আইপিওর টাকা আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে সংগ্রহ করে। তবে প্রবাসীরা ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত টাকা জমা দেয়। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১০০টি শেয়ারে এক মার্কেট লট নির্ধারন করা হয়েছে।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানিটির ১০১.৬০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১১১.৬০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের প্রতি লটের বিপরীতে ১১ হাজার ১৬০ টাকা জমা দিতে হয়। কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে অভিহিত মূল্য অনুযায়ী ৩০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এর আইপিও পূর্ববর্তী পরিশোধিত মূলধন ৭০ কোটি টাকা এবং আইপিও পরবর্তী মূলধন ১০০ কোটি টাকা। ৩১ শে ডিসেম্বর ২০০৯ সালের সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ১৫.৭৮ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় ৪৭.৪০ টাকা।

Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।