Speak no evil, hear no evil, see no evil.
সকালে কোনদেশে কিভাবে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় তার উপরে লিখেছিলাম যার লিংক নীচে দেয়া হোলো।
Click This Link
এ লিংকে অনেকেই ভিজিট করেছেন এবং কমেন্ট করেছেন বলে ধরে নিলাম এ ব্যাপারে অনেকেরই আগ্রহ আছে। এ জন্য মৃত্যুদন্ড দেয়ার অন্যন্য পদ্ধতি গুলোও এখানে দিলাম।
১ এবং ২ আগেই দেয়া।
৩।
গ্যাস চেম্বার - ছোট একটা এয়ার টাইট চেম্বারে একটা চেয়ার থাকে। যাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে তাকে এতে বাঁধা হয়। চেয়ারের নীচে একটা পাত্রে পটাশিয়াম সায়ানাইড ক্যাপসুল রাখা হয়। চেম্বার তখন বন্ধ করে দেয়া হয়। বাইরে থেকে একটা নলের সাহায্যে সালফিউরিক এসিড চেয়ারের নীচের আরেকটা পাত্রে ঢালা হয়।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ব্যাক্তি তখন তার শেষ বক্তব্য দেয়। এর পর পরই ক্যাপসুল এবং এসিড মেশিনের সাহায্যে একসাথে মেশানো হয় এবং এতে পটাশিয়াম সায়ানাইড গ্যাসে চেম্বার ভরে যায়। মৃত্যু ত্বরান্বিত করার জন্য মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ব্যাক্তিকে ঘন ঘন শ্বাস নিতে বলা হয় যাতে শরীরে তাড়াতাড়ি গ্যাস প্রবেশ করে। কিন্তু প্রায় ক্ষেত্রেই সে শ্বাস আটকে রাখে বলে মৃত্যু হয় ধীরে ধীরে যা খুবই ভয়ংকর।
৪।
ফায়ারিং স্কোয়াড - মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ব্যাক্তির চোখ হাত বেঁধে একটা খুটির সাথে আটকানো হয়। তার বুকে গোল একটা টার্গেট পেপার ঝুলিয়ে দেয়া হয়। কিছু দূরে পাঁচজন শ্যুটার কে দাঁড় করিয়ে একটা করে গুলি দেয়া হয়। এর মধ্যে আসল থাকে একটা গুলি বাকী চারটা ব্ল্যাংক গুলি যা তারা জানেনা এবং যাতে ওদের কেউই বুঝতে না পারে কার গুলিতে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ব্যাক্তি মারা গেলো। ফায়ার অর্ডার এর সাথে সাথে সবাই একসাথে গুলি করে।
সাধারনত: মৃত্যু সাথে সাথেই হয়। কোনো ফায়ারার যদি গুলি না করে তবে তাকে শাস্তির ব্যবস্হা করা হয়।
৫। ফাঁসি - মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ব্যাক্তির গলায় দড়ি দিয়ে একটা পাটাতনে দাঁড় করানো হয় চোখ হাত বেঁধে। জল্লাদ একটা লিভার টানতেই নীচের একটা দরজা খুলে যায় এবং ঐ ব্যাক্তি হঠাৎ নিজের ওজনে নীচে পড়ে যায় এবং ঘাড় এবং মেরুদন্ড ভেংগে সে মারা যায়।
অনেক সময় শরীর মাথা আলাদা হয়েও যায় যেমন সাদ্দাম হোসেনের সৎ ভাই বারজান তিকরিতির বেলায় হয়েছিলো, ইরাকে। (সংগত কারনে ছবি দেয়া হোলো না)
৬। শিরচ্ছেদ - মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ব্যাক্তিকে চোখ হাত বেঁধে, অনেক ক্ষেত্রে জনসম্মুক্ষে হাঁটু গেড়ে বসানো হয়। জল্লাদ পেছন থেকে এসে অত্যন্ত ধারালো এবং বাঁকা তলোয়ার দিয়ে এক কোপে মাথা আলাদা করে ফেলে। মৃত্যু অত্যন্ত তাড়াতাড়ি হয় কিন্তু যদি জল্লাদ দুর্বল হয় তবে একবারে মাথা নাও কাটতে পারে যা অত্যন্ত কষ্টকর।
আগে অবশ্য এটা গিলোটিনে করা হোতো। (সংগত কারনে ছবি দেয়া হোলো না)
শেষ - পাথর নিক্ষেপ। পুরুষের ক্ষেত্রে কোমর পর্যন্ত এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে বুক পর্যন্ত মাটিতে পোঁতা হয়। কাছ থেকে মাঝারি সাইজের পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ব্যাক্তির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। পাথর যেনো খুব বড় না হয় যাতে হঠাৎ করেই ঐ ব্যাক্তি মারা না যায়।
তবে নিয়ম আছে যে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ব্যাক্তি যদি পাথর নিক্ষেপের সময় গর্ত থেকে উঠতে পারে তবে তার মৃত্যুদন্ড মওকুফ হবে। (সংগত কারনে ছবি দেয়া হোলো না)
উফফ ভয়ানক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।