বাংলাদেশের নির্বাচন, ভোটাভুটি, এবং এসবের ফলাফল থেকে সবার শিক্ষনীয় বিষয় আছে। কথায় আছে 'বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই কাফি'! হ্যাঁ, বুদ্ধিমানের জন্য ইশারা যথেষ্ট। কিন্তু, যারা ‘অতি চতুর’ অথবা ‘অতি সরল বিশ্বাসী’ তারা সহজে শিখে না! শিখতে চায় না, এবং সে কারণে পস্তায়। না, চতুরেরা সহজে পস্তায় না, পস্তায় সরল বিশ্বাসীরা!
নির্বাচনের ফলাফল যা হোক না কেন, আমি মনে করি, বাংলাদেশের 'চতুর রাজনীতিকদের' হিসাবনিকাশ ভিন্ন। তারা বোঝে, মানুষ কি ভোট দিল কি দিল না, তাতে তাদের কিছু যায় আসে না।
ক্ষমতা এবং ক্ষমতার বাহিরে থেকেও কি করে তাদের আপন ভাগ্য বদলানো (আপন পেট ও পকেট পূজা করা) যায়, তার ব্যবস্থা তারা করে রেখেছে।
তাদের হাতে নিজেদের এই সফলতার প্রধান চাবিটি হলো 'ষড়যন্ত্র'। আর, তাদের ষড়যন্ত্রের প্রধান মূলধন হলো বাংলাদেশের মানুষের 'বিশ্বাস'। আসলে সকল ষড়যন্ত্রের মূলেই আছে, অন্যের প্রতি সরল অথবা অতি বিশ্বাস। - ষড়যন্ত্রকারীরাই হলো সর্বনিকৃষ্ট বিশ্বাসঘাতক।
এরা প্লান-প্রোগ্রাম করে শীতল-স্নায়ুতে বিশ্বাসঘাতকতা করে। অতি সন্তর্পনে পিছন হতে মরণঘাতি ছুরি বসায়, বিশ্বাসভাজন সেজে। এমন অতি কাপুরুষোচিত আঘাত হানতে দেখেছি বিডিআর-এর পিলখানায়!
বাংলাদেশের নির্বাচনের খেলায় ফিরে আসি! বাংলাদেশের মানুষ প্রতিটি নির্বাচনের আগে বিশ্বাস করেছিলো এবার তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরবে। ১৯৪৭-এর, ১৯৬৯-এর, আরো কত কত সালের নির্বাচনে। নির্বাচনে ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে বটে, অন্য অনেকের, - আমজনতা বা সাধারণ ভোটারদের নয়!
যা বলতে চাই তা হলো, যতদিন না বাংলাদেশীরা চতুর রাজনীতিকদের উপর তাদের বিশ্বাসকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে তাদের ভাগ্যের চাকা আপন হাতে তুলে নিবে, ততদিন তাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হবে না।
দলান্ধদের ধমক-হুমকি উপেক্ষা করে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছেন তাদের ভিতরেই দেখি এই আলোর রশ্মি, আমি শুনতে পাই আগ্নেয়গিরির আগমনী স্পন্দন। বিশ্বাস করি, এ আগ্নেয় লাভা আসছে পাপাত্মাদের শেষ করে দিতে। কান পেতে শোন সবাই, নির্ভীকেরা আসছে - !
সত্যিকারের চাবিটা আসলে তাদের কাছেই আছে - আমজনতার কাছে। হয়তো অবহেলায় হারিয়ে ফেলেছে - একবার খুঁজে নিলেই হবে। চিত্তে যাদের পাপ নাই, ভয় নাই, তারাই পারে হতভাগাদের এই চাকাকে সচল করতে।
আমজনতার এই শক্তিকে জাগানোর জন্য শুধু একটা স্ফুলীংগের (স্পার্ক-এর) দরকার। মানুষের নির্মোহ সততাই হলো এই আগুনের হল্কা, যা মিথ্যাচারী ভন্ডদেরকে নিমেষে পুড়ে অঙ্গার করে দিতে পারে।
নির্ভীকেরা কথায় নয় কাজে প্রমাণ করে তাদের সততা ও যোগ্যতা। তাদের যোগাযোগ হয় অন্তরের এবং বিশ্বাসের। সরল বিশ্বাসীদের তারাই সঠিক পথ দেখাবে।
উদ্ভুদ্ধ করবে জীবনের জন্য জীবন বাজী রেখে সততাকে অবলম্বন করতে। সেলফোনের যুগে, ঘরে গ্রামে গঞ্জে শহরে বন্দরে জনতা ঠিক ঘুছিয়ে নিবে তাদের ভাগ্যের চাকার তলে কি করে চতুর রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদেরকে পিষিয়ে দিতে হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।