পাগলা ছেলের... আউলা ব্লগ... যা বুঝি তাই লিখি... মাথা কম ঘামাই
কি দেয়া যায়? খুব রাগ করেছে, খুব... আমি আবার ও রাগ করে থাকলে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ sad কি মনে করে জানি এক জোড়া খরগোশ কিনলাম। ও বাংলাদেশে আসার আগে বলেছিলো যে খরগোশ ওর খুব ভালো লাগে। যেই ভাবা সেই কাজ, কিনে দিলাম ফোন। ম্যাজিকের মত পরিস্থিতি বদলে গেল। অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে বসুন্ধরার সামনে খরগোশ জোড়া হস্তান্তর করতে পারলাম।
মানুষ জন অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে খরগোশ গুলোর দিকে আর যেই পিচ্চি দুটো ওগুলোকে নিয়ে দুষ্টামি করছিলো তাদের দিকে। ইচ্ছে করছিলো সবাইকে চিৎকার করে বলি খরগোশ গুলো একটার নাম পুন্তু আরেকটার নাম মুন্তু, দেখেন তো আমাদের চেয়ে বেশী দুষ্ট না???
বাসায় নেয়ার পরে তো খালী জ্বালাতন খরগোশের যত্ন কি করে নিতে হয়, পারলে আমিই ওদের যত্ন নেয়ার জন্য ফুল টাইম ডিউটি করি। বাসার সবাই এত্ত আদর করতো দুটোকেই যে আমার মনে হত সব আদর আমিই পাচ্ছি।
একদিন একটা খরগোশ হারিয়ে গেলো সেদিন আবার ওর এক কাজিন ওদের বাসায় ছিলো, তার মুখে ঘটনা শুনে যা বুঝলাম কাজের বুয়া থেকে শুরু করে এমন কেউ বাদ ছিলো না সেদিন যে ঝাড়ি খায় নি, খরগোশ কে ফেলে দিছে বারান্দা দিয়ে??? কই গেলো??? কই গেলো??? পরে আলমারীর পিছন থেকে দুষ্ট মেয়ে খরগোশ টাকে ডেকে বের করা লেগেছে আর সেই খুশিতে আমাকে সেদিন খাওয়ানো হলো, যে কিনা খরগোশ হারানোর পর ফোন ধরতেই নারাজ।
এত আদরের এত যত্নের এত কিউট খরগোশ গুলো থেকে যখন একটা অসুস্থ হয়ে মারা গেলো তখন আমার মনে হলো ভালোবাসার কোন একটা বন্ধন যেন কেউ ছিড়ে ফেলেছে।
ও ঐদিকে কান্না মানে কি বলবো মানুষ মারা গেলেও কেউ এত কান্না করে না। আমাকে বার বার বলে ইশ আরেকটু যত্ন নিলেই পুন্তু টা বাচত মনে হয়, কেন যে রাতের বেলা এত দেরী করে ঢাকলাম, কেন যে আমাকে না বলে হঠাৎ অসুস্থ হলো যে কিছু করারো সময় পেলাম না sad
পরবর্তিতে আরেকটা খরগোশ আসলো আবার জোড়া হলো আগেরটার। অনেক অনেক খাওয়া একবারে কিনে দিলাম, ও দেশের বাইরে চলে গেলো আরতো মানুষ জনের মধ্যে কাড়াকাড়ি কে নিবে এই কিউট বাবু দুইটাকে hehe অবশেষে ওর সেই কাজিনের ভাগ্যেই জুটলো, আপু অনেক যত্ন করে পালছিলো, শেষ ২ মাস আগে শুনেছিলাম দুইটাই ভালো আছে আর অনেক বড়ো হয়েছে।
এখন তারা কেমন আছে? কই আছে? আবার কি তাদের দেখতে পাবো?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।