আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণতন্ত্রের শুভঙ্করের ফাঁকি ও আমরা ...

তার্কিক দুই প্রকার: সু-তার্কিক আর কু-তার্কিক...

আমাদের এদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রের নামে যা চলছে তা এক ধরনের শুভঙ্করের ফাঁকি ছাড়া আর কিছুই নয়। সেই সুবাদে যে কথাগুলো চলে আসে: আমরা জানি গণতন্ত্রের মুল সূত্র হচ্ছে মেজরিটি মাস্ট বি গ্র্যান্টেড আর এই সুত্রের উপরই চলছে সারা পৃথিবীর গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো আর তার প্রবক্তাগণ। আবার কোন কোন দেশ এই গণতন্ত্রের মডেল অনুসরন করে তৈরি করেছে তাদের দেশের সংবিধান। আমাদের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর ব্যাতিক্রম নয়।

কিন্তু একটা ভিন্নধর্মী অথচ গুরুত্বপুর্ন পর্যবেক্ষন পাঠকদের মনে করিয়ে দিতে চাই। মানুষের বা একজন ভোটারের মনোবৃত্তি হলো দুই প্রকারের- হাঁ বাচক আর না বাচক। অর্থাৎ... ১. যাকে ভোট দিলো- তার মানে- তার এই ভোটটি প্রদানের মাধ্যমে সেই ভোটারটি ভোট প্রদানকৃত প্রার্থীকে ক্ষমতায় চাইছে। ২. অপরদিকে যাকে ভোট দিল না - তার অর্থ সেই ভোটারটি সেই লোকটিকে বা প্রার্থীকে ক্ষমতায় চাইছে না। এবার আসুন আমাদের দেশের অতীত ইতিহাস এর দিকে।

আমাদের এই বাংলাদেশের গনতন্ত্রের এই সুত্র অনুসারে যে দলটি যতবারই ক্ষমতায় আসল তাদের কেউ বা কোন দলই ৩৫ থেকে ৪৫ পার্সেন্ট এর বেশী ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসতে পারেনি। বাকী ৫৫ থেকে ৬৫ পার্সেন্ট ভোটারের ভোট চলে গেছে অপর বিভিন্ন দলগুলোর কাছে। অতএব অপর বিভিন্ন দলগুলোকে দেওয়া সেই ভোটগুলো সবার ভোটগুলো অন্য দলগুলোকে দেওয়ার অর্থ কি? যিনি সরকার গঠন করলেন তাঁকে বা তার দলকে ক্ষতায় চাইছে না-বেশীর ভাগ ভোটার বা জনগন। একটি উদাহরন দিয়ে বিষয়টি পরিস্কার করতে চাই। এই মহুর্তে চলছে পৌরসভা নির্বাচন: ধরে নিলাম কোন এলাকায় ৪জন প্রাথী।

এর মধ্যে একজন পেল ৪৫% ভোট, অপর একজন পেল ৩৫% ভোট, অপর একজন পেল ১০%, অপর আর একজন পেল ১০% ভোট। ফলাফল যা হলো : ৪৫% পার্সেন্ট ভোট পাওয়া প্রার্থী বিজয়ী। কিন্তু যারা সেই বিজয়ী প্রার্থটিকে ভোট দিল না। তারা কিন্তু সংখ্যায় বেশী। অর্থাৎ ৫৫%।

সুত্রটি কি দাঁড়ালো: ৫৫% প্রার্থী যাকে চায় না- তিনিই ক্ষমতায় গেলেন। অতএব গণতন্ত্রের মুল সূত্রটি কি এখানে অচল হলো না? পশ্চিমা দেশগুলোতে যে গনতন্ত্র চলছে-এদের অধিকাংশ দেশেই দুটি মাত্র দল। আর এদের দলের মধ্যেই তৃনমুল পর্যায়ে আছে গনতন্ত্র। তাছাড়া যেখানে একটি পদের জন্য একাধিক প্রার্থী হয়- সেখানে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে দ্বিতীয় দফায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হয়। সেখানেই ফুঠে উঠে গণতন্ত্রের প্রকৃত সূত্র- মেজরিটি মাস্ট বি গ্র্যান্টেড আমরা যে গণতন্ত্রের কথা বলে চিল্লাই তা হলো: গণতন্ত্রের এক শুভন্করের ফাঁকি- কখননই প্রকৃত গনতন্ত্র নয়।

প্রশ্ন একটাই: কবে আমরা দেখতে পাব প্রকৃত গণতন্ত্র। আসুন আমরা প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সচেতন হই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।