গত ৫ই জানুয়ারী ছিল সরকারের দুইবছর পুর্তি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামীলীগ কিভাবে তা পালন করেছে জানি না, আমাদের এলাকায় পালিত হয়েছে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মধ্যদিয়ে। স্থানীয় হিন্দুদের ১৯২০ সাল থেকে ভোগ দখল করে আসা জমির উপর কুদৃষ্টি পড়ে স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতার। ২০০৯ সাল(আওয়ামী লীগের ক্ষমতা লাভের বছর) থেকে চলা মামলায় আদালতে টিকতে না পেরে ২০১১ সালে এসে ঘর বাড়ী ভাংচুর, বিশ বছরের ছেলে থেকে ৯০ বছরের বৃদ্ধা সবাইকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। আড়াই ঘন্টা ধরে চলা এ তান্ডবে প্রায় অর্ধশতাধিক ক্যাডার অংশ নেয়।
তান্ডবের শুরুতেই খবর পেয়ে স্থানীয় এম পি জনাব তাজুল ইসলাম সাহেবকে জানাই। তিনি আমাকে পরামর্শ দেন,আপনারা সবাই এক হয়ে তাদেরকে পেটান। হায়রে দেশ! দুঃখ রাখি কই? একজন খুনের আসামীকেও মারা যে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া তা কে না জানে?
সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম মাত্র ২৫০ ভোটের ব্যবধানে পাশ করে জনাব তাজুল ইসলাম সাহেব এমপি নির্বাচিত হন। আমাদের পাড়ার ভোটার প্রায় ৪৫০- তার সবই পড়ে নৌকার বাক্সে।
আড়াই ঘন্টার তান্ডব শেষে পুলিশ আসে।
পুলিশের সহায়তায় সবাই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিতসা শেষে গতকাল শনিবার থানায় মামলা করতে গেলে দেখা যায়, উল্টো তাদের নামে আগেই মামলা হয়ে গেছে। এখানেও ওসির ভুমিকা হাস্যকর ও লজ্জাজনক । দেশে চলছে পুলিশ সপ্তাহ। পত্রিকায় দেখলাম পুলিশ নিজের রক্ত দিয়ে জনগনের সেবা করার প্রতিজ্ঞা করেছে।
ওসি অভিযোগ পড়ে জানিয়ে দেন, হাতের লেখা অভিযোগ, টাইপ করা না হলে গ্রহন করা যাবে না। সাথে মেডিকেল সার্টিফিকেটও লাগবে। অথচ সারা বাংলাদেশে নিয়ম চালু হয়েছে যে, পুলিশের রিকুইজিশন ছাড়া কাঊকে মেডিকেল সার্টিফিকেট দেয়া যাবে না। মিথ্যা মামলা বন্ধ করতে সরকার এ কার্যকর পদক্ষেপ নেয় ।
অবশেষে বহু বাকবিতন্ডা শেষে ওসি নিতান্ত অনিচ্ছায় এমপি সাহেবের পিএস জনাব মোঃ আলীর নির্দেশে অভিযোগটা গ্রহন করে ।
বিকেলে কর্মস্থলে ফিরে আসার সময় সবাই চোখ ছল ছল কন্ঠে জানতে চাইল, তুমি তো চলে যাচ্ছ, আমাদের কি হবে?
---আপাতত ইন্ডিয়া পালান।
গতানুগতিক এ কথা ছাড়া আমি আর কিছুই খুঁজে পাইনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।