ছোটবেলায় দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বেশকিছু ওয়াজ মাহফিল দেখেছি। তাকে ভাল লাগত। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিলেন কিনা জানতাম না। পরের দিকে তিনি রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত হলে ধীরে ধীরে তিনি সমালোচিত হতে থাকেন। সম্ভবত রাজনৈতিক দলের সাথে থাকলে তার দোষ-গুন মানুষের খুব বেশী চোখে পড়ে অতবা নানান ধরনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তৈরী হওয়াতে সমালোচিত হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে।
আমাদের রাজনৈতিক সাংষ্কৃতিও সুবীধার না হওয়াতেও রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিপক্ষ কতৃক সমালোচিত হবার সম্ভাবনা বেশী।
গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন প্রতিকায় বিভিন্নভাবে জনাব সাঈদীর ব্যাপারে বিভিন্ন রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছিল। সেখানে দেখা গেছে অনেকে তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারনে কোনো একটি পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন। আদালত কতৃক একজন জামাত নেতার লঘুদন্ডের প্রেক্ষিতে শাহবাগে তরুন প্রজন্ম প্রতিবাদ করতে থাকে। আইন সংশোধিত হয়।
এরপর সাঈদীর ফাসির রায় হল। এতে বলতে পারি আন্দোলন সফল হয়েছে। ভবিষ্যতে বিচারকরা অবশ্যই আন্দোলনটিকে শ্মরন করবেন এবং শ্রদ্ধা করবেন। বাদী বিবাদীর যুক্তি তর্ক সাক্ষ্য প্রমান ইত্যাদী শেষ হলে তারা শাহবাগের দিকে তাকাবেন ।
দেশকে অবশ্যই কলঙ্ক মুক্ত করতে হবে।
তবে দেশের নানা রকম কলঙ্ক রয়েছে। এখনও দেশের অর্ধেকের বেশী মানুষ পেট ভরে ভাত খেতে পারেনা। শিক্ষার আলো নেই। অথবা আলোহীন শিক্ষায় তছনছ হয়ে গেছে দেশ। পণ্যদ্রব্যের দামের উর্ধ্বগতিতে মধ্যবিত্য শ্রেণী দিশাহারা।
খুন,ধর্ষণ,অপহরণ,চাদাবাজি,হুমকি,মামলাবাজি ইত্যাদী নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এসকল বিষয়ে কঠিন কঠোর কিছু রায়ের জন্যে অপেক্ষায় আছি।
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে এমন একটি দেশ দেখতে চাই যে দেশটি সকল ধরনের কালিমা মুক্ত। শেষ কথা হচ্ছে,সাঈদী সাহেবের জন্যে আমার অন্তরে দরদ আছে। তার কথা আমার ভাল লাগত।
তাই তার ফাসির রায়ে আমার খুব খারাপ লাগছে। মহান আল্লাহই সর্বোত্তম বিচারক। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।