বর্তমান সরকার ব্যবস্থায় ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে অনেকে লাফালাফি করছে। অথচ যাঁরা এগুলো নিয়ে অজ্ঞ তারাই এ ব্যাপারে বেশি করছেন। নিজের রচিত একটি আইন কে প্রতিষ্ঠিত করে সেটা দিয়ে মানবতার কল্যান সাধন করতে চান। অথচ স্রষ্টা প্রদত্ত আইনে রাষ্ট্র পরিচালনা করার পক্ষে যুক্তি দিলে সেখানে ট্যাগ করে বসেন রাজাকারের অনুসারী,জামাত শিবির,হেফাজতি...........ইত্যাদি!!
বাংলাদেশে আবহমান কাল ধরে কয়েক ধর্মের লোক মিলিত ভাবে বসবাস করে আসছে। এই দেশের আইন এবং শাসন ব্যবস্থায় ইসলামি সংবিধানের প্রচলন কখনোই ছিলনা।
যদিও আমার ধর্মের সেই আইন বাস্তবায়নের জন্য আমি আন্দোলন করলে আমি হব মৌলবাদী, জঙি,উগ্রপন্থি,স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিসহ আরো হাবিজাবি বিশেষনে ভূষিত। আমার লিখায়,আমার চিন্তাচেতনায় আমার নিজ ধর্মের পক্ষপাতিত্ব থাকবে এতে আমি লজ্জার কিছু দেখিনা। কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট আবির্ভূত হয়েছে ভিন্ন রুপে। এখানে বোধয় সব থেকে নিরুপায় সংখ্যাগরিষ্ঠরাই । কারন এরা ধর্ম নিয়ে কোনো এক আলোচনায় গেলে সেখানে এদের স্বজাতিরাই ভিন্ন একটি মতবাদ নিয়ে এসে তাদেরকে পথভ্রষ্ট আখ্যা দিতে থাকে।
নিজ চিন্তা চেতনা কে এমন ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে দেওয়া হয়,তাতে মনে হয় আমি যেটার উপর আছি সেটাই সত্য,সেটাই ইসলাম। আর বাকী সবাই জাহান্নামী। আর আমরা আমাদের কে নিজেরাই বিষর্জিত করে যুক্তি খন্ডন করতে থাকি কে সুন্নি,কে ওয়াবী,কে মাজারী,কে জামাতী ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু যে জিনিসটা কে সামনে (আমাদের ধর্ম)রেখে আমরা হানাহানি তে ব্যস্ত সেই জিনিসটা সমূলে বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে সে দিকে আমাদের বিন্দু মাত্র খেয়াল নেই। রেলওয়ের নিয়োগ বানিজ্যের প্রধান চোরকে সংবিধান সংশোধন কমিটির প্রধান বানিয়ে আল্লাহর উপর আস্থা কে সংবিধান থেকে বাদ দেয়া হল,তার জন্যে একজোট হয়ে সব কয়টি ইসলামি দলকে আন্দোলন করতে দেখলাম না।
সেখানে আমাদের সেকুলার পন্থি মিডিয়া আমাদের কে নির্লজ্জভাবে অপমান করছে সমমনা/বিপরীত মনা ইসলামিক দল হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে!!
আপনি একজন মুসলিম। আমিও একজন মুসলিম। আপনি যে আল্লাহ্'র কালেমায় বিশ্বাসী, আমিও তা বিশ্বাস করি। আমার ইসলামের প্রথম স্তম্ভ সম্পূর্ন। আপনি নামাজ পড়েন,আমিও পড়ি।
আপনি রোজা রাখেন,আমিও রাখি। আমাদের প্রথম মৌলিক দিকগুলো যেখানে একই,সে খানে আমরা হাতেগোনা গুটিকয়েক ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত!!
সংবিধানের শুরুতে বিসমিল্লাহ থাকলে কি সেখানে অন্যধর্মালম্বিরা নিজেদের অধিকার হারাতো?! অধিকার কে যখন পুরোপুরি আয়ত্ত্বে আনতে যায়,সেখানে অর্জন টা কে কিছুটা মাড়িয়ে আসতে হয়। জনতার বিচার আদালতে জাওয়ার আগে আল্লাহর কাছে সমর্পিত হয়। নির্যাতিত নিজেই জানে সে এই আনুষ্ঠানিক বিচার পক্রিয়ায় সুষ্ঠ বিচার পাবেনা। তাই প্রথম বিচারক হিসেবে স্রষ্টাই তার একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য আশ্রয়।
আর সেই বিশ্বাসকে সংবিধান থেকে তুলে দিয়ে এই সরকার কার বিশ্বাস অর্জন করছে তা নিজেরাই ভাল জানে।
কিন্তু রাজনৈতিক, ধর্মীয় ছোটখাটো মতবিরোধ নিয়ে আপনি আমি যেখানে দ্বিধাবিভক্ত, সেখানে কার উপকার হচ্ছে তা কিন্তু আমরা ভালো ভাবেই জানি। । সুতরাং ইসলাম বিরোধীদের দ্বারা নিজেকে ধংসকরার যে কৌশলটির সূত্রে আপনি আবদ্ধ হয়ে পড়েছেন,সেই নিরূপায় উপায় নিয়ে কাল কেয়ামতে স্রষ্টার কাছে কি জবাব দিবেন একবার ভাবুন! কারন আপনার আমার বিশ্বাসের একই স্রষ্টার কাছে আমি আপনার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমার রক্তের হিসেব চাইবো। পাই পাই করে আপনার কাজ থেকে স্রস্টাকে দিয়ে আমার হিসেব বুঝে নিব আমি।
চিন্তা করে দেখুন হিসেব দিতে পারবেন কি পারবেন না! !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।