আমি খুবই সাধারণ
মসজিদে প্রবেশের দুআ:
اللهم افتح لي أبواب رحمتك
আল্লাহুম্মাফ তাহলী আবওয়াবা ওয়া রাহমাতিকা
মসজিদের প্রবেশের সময় আগে ডান পা দিতে হয়।
মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় আগে বাম পা দিয়ে বলতে হয়
اللهم إني أسألك من فضلك
আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফাযলিকা।
মসজিদে প্রবেশের পর দুরাকআত নামায না পড়ে বসা উচিত নয়। এবং ইহা সুন্নাত সম্মত নয়। কারণ এটা মসজিদের হক।
এজন্য একে তাহ্যিয়াতুল মসজিদ বা মসজিদ দখলের নামায বলা হয়।
আবু কাতাদাহ আনসারী (রাবলেন,( إذا دخل أحدكم المسجد فلا يجلسنّ حتى يصلي ركعتين. (رواه البخاري : ١٠٩٧
রাসুলুল্লাহ (সা বলেছেন, তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে দুই রাকআত না পড়া পর্যন্ত কখনই বসবে না।
জুমআহ্র খুতবা দানকালেও এ দুই রাকআত নামায আদায় করবে তবে সংক্ষিপ্তভাবে। কারণ জাবের রা রাসুলুল্লাহ (সা হতে বর্ণনা করেন যে, ঈমামের খুতবার সময় তোমাদের কেউ যদি মসজিদে প্রবেশ করে তখন সে যেন সংক্ষেপে দুই রাকআত নামায পড়ে ন্য়ে। (সুনান আবু দাউদ-৫৯৯)
মসজিদ আল্লাহর ঘর।
কারণ কুরআনে এসেছে:
( وَأَنَّ المَْسَاجِدَ للهَِِّ فَلَا تَدْعُوا مَعَ اللهَِّ أَحَدًا. (سورة الجن : ١٨
এবং এই মসজিদগুলো আল্লাহরই জন্য । আর তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডেকো না। –সুরা জ্বিন আয়াত নং-১৮
হাদীসে এসেছে যে,
( ما اجتمع قوم فى بيت من بيوت الله... (رواه مسلم : ٤٨٦
কোন সম্প্রদায় যখন আল্লাহর ঘরে হাজির হয়........(মুসলিম-হাদীস নং-৪৮৬৭)
মসজিদে এসে প্রথম কাতারে বসা ও মসজিদে আগে ভাগে যাওয়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন হযরত মুহাম্মদ (সা।
তিনি বলেছেন,যদি মানুষ জানতে পারত আজান দেয়া ও প্রথম কাতারের মধ্যে কি আছে আর যদি তা লটারি পাওয়া ব্যতিত সম্ভব না হত তাহলে তারা লটারির ব্যবস্থা করত। আর যদি মসজিদে আগে আসার কি গুরুত্ব রয়েছে, তাহলে তার হামাগুড়ি দিয়ে হলেও আসত।
(বুখারী হাদীস নং-৫৮০)
কোন কারণ ছাড়া প্রথম কাতার বাদ দিয়ে অন্য কাতারে বসা উচিত না। ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ একে শরীয়ত পরিপন্থি কাজ বলেছেন।
মসজিদে তাড়াহুড়া না করে ধীরে সুস্থে আসা সুন্নাত।
কেননা রাসুলুল্লাহ (সা বলেছেন,( وإذا أتيتم الصلاة فعليكم بالسكينة, فما أدركتم فصلوا وما فاتكم فأتموا. (رواه البخاري : ٥
যখন তোমরা মসজিদে আস তখন অবশ্যই ধীরে সুস্থে আসবে। যতটুকু পাবে, ততটুকু আদায় করবে।
আর যতটুকু ছুটে যাবে তা পূর্ণ করবে। (বুখারী হাদীস নং-৫৯৯)
মসজিদ সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত কারণ ইহা আল্লাহর ঘর।
মসজিদে অবপবিত্র জিনিস না রাখা। মসজিদে থুথু না ফেলা থূথু ফেললে তার কাফফার হচ্ছে পুতে ফেলা্
কবরের উপর মসজিদ বা মসজিদে কবর তৈরী করা হারাম। কারণ নাবী (সা মৃত্যুর আগে যে পাচটি অসিয়ত করে গেছেন তার মধ্যে এটি অন্যতম।
(মুসলিম-৮২৭)
মসজিদে উচ্চস্বরে কথা বলা ও নামাযীকে কষ্ট দেয়া উচিত নয়। কেননা
রাসূলুল্লাহ (সা বলেছেন,
নামাযী ব্যক্তি নামাযে প্রভুর সাথে গোপনে কথা বলে। তার খেয়াল রাখা উচিত সে কি বলছে। তোমরা কোরআন শরীফ তেলাওয়াতের মাধ্যমে একে অন্যের উপর শব্দ কর না।
মসজিদ তৈরীর সময় বেশী কারুকার্য না করা।
এতে নামাযীর মনযোগ নষ্ট হয় ও প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়।
ইবনে আব্বাস হতে হাদীসে বর্ণিত আছে, আমাকে মসজিদ সাজাতে নির্দেশ দেয়া হয় নি।
মসজিদের গুরুত্ব:
মসজিদ আল্লাহর ঘর ।
মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে উত্কৃষ্টতম জায়গা আর বাজার নিকৃষ্টতম। (মুসলিম, হাদীস নং-১০৭৬)
মসজিদ ইসলামের দ্বিতীয় খুটি নামায আদায় করার স্থান।
মসজিদের মাধ্যমে মুসলমানর সমবেত হতে পারে । মসজিদে কুরআন শিক্ষা ও পাঠ করা যায়।
তাছাড়া নাবী (সা হিযরত করার পর প্রথমে মসজিদ তৈরী করেন।
রাসুলুল্লাহ (সা বলেছেন,
من غدا إلى المسجد أو راح أعدّ الله له في الجنة نزلا كلما غدا أو راح.
যে সকাল বিকাল মসজিদে আসবে, তার প্রতিবারের যাতায়াতে আল্লাহ জান্নাতে মেহমানদারীর ব্যবস্থা করবেন।
মসজিদ তৈরী করা অনেক সওয়াবের কাজ ।
কারণ হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা বলেছেন, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মসজিদ সৃষ্টি করবে তার জন্য আল্লাহ জান্নাতে ঘর নির্মান (তিরমিযী-২৯২)
তবে জেদাজেদীকরে বা প্রতিযোগিতা মূলকভাবে বা শরীয়াত অননুমোদিত কারণে মসজিদ তৈরী করা অনুচিত, তাহলে তা মসজিদে যেরার অন্তর্ভুক্ত হবে।
এছাড়া মসজিদে যিকির করা কুরআন তেলাওয়াত করা, আল্লাহর ইবাদাত করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। তবে উচ্চস্বরে যিকির করা প্রতিযোগিতা করা কুরআন পড়া ও অন্য নামাযীর অসুবিধা করা নিষেধ।
মসজিদ কমিটির সদস্যদের যোগ্যতা:
যারা ঈমান আনে আল্লাহ ও আখেরাতের উপর
যারা নামায কায়েম করে
যার জাকাত দেয়
আল্লাহ ব্যতিত অন্য কাউকে ভয় করে না।
কেননা আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللهَِّ مَنْ آَمَنَ بِاللهَِّ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآَتَى الزَّكَاةَ وَلمَْ يخَْشَ إِلَّا اللهََّ فَعَسَى أُولَئِكَ أَنْ يَكُونُوا مِنَ
( المُْهْتَدِينَ ﴿ ١٨ ﴾. (سورة التوبة :
অর্থ:
নিসন্দেহে তারাইতো আল্লাহর ঘর আবাদ করে যারা ঈমান আনে আল্লাহ ও আখেরাতের উপর, যারা নামায কায়েম করে, যার জাকাত দেয় ও আল্লাহ ব্যতিত অন্য কাউকে ভয় পায় না।
(সুরা আত-তাওবা আয়াত নং-১৮)
অথচ আমাদের দেশে বেনামাযী, সুদখোর দুর্নীতিবাজকে মসজিদ কমিটির সদস্য এমনকি সভাপতি নিয়োগ করা হয়।
আল্লাহ আমাদের মসজিদে নিয়মিত নামায আদায় করার্ ও তার আদব রক্ষা করার সুযোগ দিন । আমীন
এ সম্পর্কিত একটি লেখা।
download Link:
http://www.mediafire.com/?qvtd33t4lob19oj
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।