সত্য অপ্রিয় হলেও বলতে চাই
ভোরবেলায় ভেসে আসা আযানের মিষ্টি সূর অনেক বিধর্মির কাছেও মধুর। অনেক হলিউড ছবিতে, ডক্যুমেন্টারীতে ব্যকগ্রাউন্ডে আযানের ধ্বনি সু সন্নিবেশিত। আমার নিজেরও মৃদু আযানের সূর খুবই ভাল লাগে।
কিন্তু সেই আযান যদি বিশ্বের অন্যতম ঘন বসতির ঢাকা শহরে ৩০০ মিটার দুরে দুরে স্থাপিত মসজিদ থেকে আধুনিক মাল্টিপল হর্ণ লাগানো কিলোওয়াট ক্ষমতার এম্পলিফায়ার ব্যবহার করে গগণ ফাটানো চিত্কার যোগে পরিবেশিত হয় তবে তা আর মধুর আহ্বান থাকে না, রিতিমত টর্চারে পরিণত হয়। এক মসজিদে ঐ শব্দযন্ত্রণা শুরু হবার সাথে সাথেই শুরু হয়ে যায় নিকটবর্তি সব মসজিদের সন্মিলিত চিত্কার।
রোজা আসছে, এখন আর ঐ শব্দদুষণ শুধু আযানে সীমাবদ্ধ থাকবে না, চলবে দীর্ঘ সময়ব্যাপী, নানা ওয়াজ ও মহাফিলে। যদিও দিনের বেলায় আবাসিক এলাকায় শব্দের সহনীয় মানমাত্রা ৫০ ডেসিবল, কবে এটা প্রয়োগ হবে মসজিদের মাইকের ক্ষেত্রে?
আমি আযান বা লাইডস্পিকারে ধর্মিও প্রচারের বিরোধী না। কিন্তু কিছু মোল্লা-মোয়াজ্জীনের আত্মতুষ্টি ও প্রতিযোগীতাস্পৃহা আজানের মধুরতাকে যে বিনষ্ট বরছে, তা আমরা কতদিন সইব? না কি সলিড স্টেট এমপ্লিফায়ারের ওয়াট যত বাড়বে, এই অত্যাচারও তত বেশী আমাদের সইতে হবে?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।