আমার ভিতর তুমি থাকো আমি কোথায় রই, আমি না থাকিলে তোমার থাকার জায়গা কই?
ঈদের আগের দিন যথারীতি যুদ্ধ করে বাড়িতে যাওয়া? নাহ্, এটা আমাকে দিয়ে কখনো হয়না। আমি অপেক্ষা করি কখন চাঁদ দেখা দেবে। তারপর রাত ১২টার পর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেব। এবারও তার ব্যতিক্রম হলোনা। তবে ব্যতিক্রম হয়েছে রাত ১২টা নয়, বিকেল তিনটেয় রওনা দিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে।
ফাঁকা রাস্তা, বাসের স্পীড ঘন্টায় ১১০ মাইল, ওহ্ সেকি অনুভূতি! গাড়ির স্পীড বরাবরই আমাকে আনন্দ দেয়। সন্ধ্যা ৬টায় বাড়িতে। কি আরাম। আম্মুর হাতের নাস্তা রেডি। মুখরোচক খাদ্যে ভরে গেল পেট।
তারপর স্কুল জীবনের বন্ধুদের সঙ্গে ধুমছে আড্ডা। রাত ১২টায় বাড়ি ফিরে আসা। আবার ঘুম। কিন্তু ঘুম যে আমার আসেনা। রাত সাড়ে তিনটেয় আম্মুকে জাগিয়ে বললাম, চা খাব (আম্মু অবশ্য জেগেই ছিল)।
আবারও আম্মুর হাতের তৈরি চা। কয়েক চুমুকেই ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখা। কিন্তু ঈদের দিন ভোর ৬টায় আম্মুর জ্বালাতন! ''এই উঠ, নামাজ পড়তে যা''। -এইতো উঠছি আম্মু। আম্মুকে বললাম-ফরজ নামাজই আমাকে দিয়ে হয়না, তারওপর ওয়াজিব? তারপরও আম্মুর মধুর জ্বালাতন-যা না বাবা, ঈদের নামাজটা পড়ে আয়।
ঘুম থেকে যখন উঠলাম তখন মসজিদের মাইকে এলান হচ্ছে-জামাতের আর মাত্র ১০ মিনিট বাকি। মুখ ধুয়ে গোসল সেরে খালি পেটেই দৌড়। ততক্ষনে সবাই নামাজে দাঁড়িয়ে গেছে। মসজিদের বারান্দায় আমার ঠাঁই হলো বাচ্চাদের সাথে। অবশ্য মুরব্বি কয়েকজনও আছেন।
ওমা, একি দেখি মসজিদের ভেতর! রাজা কনডম! কয়েকজন বাচ্চা ছেলে রাজা কনডম মুখে নিয়ে ফুঁ দিয়ে বেলুন বানাচ্ছে হাওয়ায় উড়াবে বলে। নামাজে দাঁড়িয়ে বারবার মনোযোগ যাচ্ছে কনডমের দিকে। নামাজ শেষ হতেই ধরলাম ছেলেগুলোকে। ''তোমরা এগুলো নিয়ে মসজিদের ভেতর ডুকেছো কেন? জানো এগুলো কি?'' একজন বললো-এগুলো বেলুন। বয়সে একটু বড় আরেকজন বললো-না না, আব্বু বলেছে এগুলোর নাম কনডম।
আমিতো আক্কেলগুড়ুম।
ছেলেটিকে আমার জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করেছিল-আব্বু কি বলেছে কনডম দিয়ে কি করে? কিন্তু জানতে চাইনি। পাছে আবার মসজিদের ভেতরই সত্যি কথাটা বলে ফেলে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।