আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দ্যা হাফ হিরো

পড়েছে আকাল - কাকের শ্রাদ্ধে ঘি ঢাল। ব্রাত্যজনে তুমি রেস্টিকটেড, সোনাগাছীর জন্য আনলিমিটেড।

মজা ১। ৫ বছর বয়সে দুই মাথা ওয়ালা এক মেয়ের কথা শুনছিলাম, সত্যাসত্য জানিনা। আমি তাকে বিয়ে কর্তে চেয়েছিলাম -২ লাখ টাকা নাকি দেবে তারা।

২ লাখ টাকা তখন বিশাল ব্যাপার। ভাব্তাম, ইস কেন যে বড় হৈলামনা আর একটু!! এখনও বিয়া করা হ্য়নাই। ২। ৬ বছর বয়স। মাথা ভর্তি চুলে দুইটা বেড়ী(মাথার মাঝখানে মোড়ান, সিঁথীর মত) ছিল আমার ।

গ্রামে একটা কথা ছিল যার মাথায় যে কয়টা বেড়ী, তার সেই কয়টা বিয়ে হবে। সো , আমার নাকি দুইটা বিয়ে কর্তে হবে। পাশের বাড়ীর বাবলু ভাই, আমকে বল্ল, 'কুট ভাই, কুট ভাই তুই দুই বিয়ে করিসনে । আমি সলাজ হেসে ত্বরিৎ বলেছিলাম- ''বউ যদি মলে(মরে) যায়, কি কব্ব?'' সবাইত হেসেই খুন, কয়কি পুচকে পোলা, সেই থেকে আমাকে ক্ষেপান হত- '''বৌ যদি মলে যায় কি কব্ব'' বলে বলে। এখন হাসি পায়..এখন ও খেপায় অনেকেই।

৩। জীবনে একবার ফার্স্ট হয়েছিলাম -ফাইভে। ক্লাস নাইনে সেকেন্ড। ৪। গেরামের ক্রিকেটে মাঠের লম্বা ছক্কাগুলা আমার মারা, আমার ৯২ রান আমাদের মাঠে মেলাদিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান হিসেবে ছিল।

ক্রিকেট খেলার আগের রাতে লেখার খাতার মাঠে ফিল্ডিং পজিসন সাজাতাম ১০ থেকে ১২ বার, ঘুম হতনা বল্লেই চলে। ৫। ৭ বছরের সময় ছোট বোনকে মারার দায়ে চাচাত ভাইয়ের ছেলের পায়ে দা দিয়ে কোপ দিসিলাম- অনেকগুলা সেলাই লেগেছিল। ৬। ভেলা চালাতে গিয়ে পানিতে ডুবে গেছিলাম, মারাই যাচছিলাম, কল পিঠ থেকে মা বুঝে গিয়ে চিল্লান দিছিলেন, সেই চিল্লান আপা (এখন এ্যাডভোকেট) শুনেছিলেন, ঝাঁপিয়ে পড়ে আমাকে নতুন জীবন দান করার ভুমিকা নিয়েছিলেন।

৭। প্রাইমারীতে হাত খরচ ছিলনা বলেই চলে। পা উপর থেকে নিচে ফেলার সময় ঝুড়িভাজাওয়ালার ভাজা ভেংগে ফেল্লাম ১২ টাকার। মাথায় হাত আমার, ৭টাকা ভাংগা গুলা বেঁচা গেল। ৫টাকা ভর্তুকি দিতে হবে আমাকে।

পিসাব করার নাম করে গিয়ে কেঁদে এসেছিলাম- কেন আমি এত গরীব আল্লারে জিগ্গেস ও করেছিলাম। মাকে ভয়ে ভয়ে বল্লে ৫ টাকা দিয়ে দিলে কিযে খুশি হয়েছিলাম তা আমার চোখ দেখে যে কেও বুজতে পারত। ৮। খালাবাড়ীতে খালাত ভাইয়ের সাথে দুই হাত দিয়ে আঁখ খাওয়ার সুবিধার্থে বাকীগুলা দড়ি দিয়ে গলায় ঝুলিয়ে নিয়েছিলাম আর মহা আরামে খাচ্ছিলাম। বেরসিক আপা ঠাস করে থাপ্পড় মেরে আমাকে স্মার্ট হবার সবক দিসেলেন।

৯। বড় ভাই আর আমি বড়শিঁ দিয়ে অনেক মাছ ধর্তে পার্তাম। মাঝে মাঝে আমি বড় ভাইয়ের চেয়ে বেশী মাছ পেতাম। আমার ও ভাইয়ার জন্য সেটা সুখকর ছিলনা। স্বজনদের কাছে জিত্তে ভাল লাগেনা।

১০। নাইনে উঠে এক শ্যামলা মেয়েকে ভাল লেগেছিল-অসুখের মত। মেয়েটা আবার হিন্দু। সে অসুখ সারল ভার্সিটিতে ভর্তির পর। ১১।

রাজবাড়ী থেকে এসে ঢাকা কলেজে ভর্তি হলাম। আমাদের এলাকার ফার্মসীতে ডাক্তার দেখাতে কোন ভিজিট নাই- অষুধ কিন্লেই আচ্ছা। তো আমি গেরামের পোলা জ্বর নিয়ে গেলাম নীলক্ষেতের ফার্মসীতে, ডা: দেখাতে, ডা: দেখালাম। ডা: খুব যত্ন করে স্টেথিস্কোপ ধরলেন বুকে , এত যত্নে আমার অর্ধেক অসুখ সেরে গেল। জ্বর মেপে জিগ্গাসা শেষে প্রেসক্রিপসন করে দিলেন, আমি প্রেসক্রিপসনানুযায়ী অষুধ নিলাম।

অষুধ যিনি দিলেন তিনি অষুদের দাম ও ডা: এর ভিজিট ৫০ টাকা চাইলেন। আমি অবাক, অত কিছু বুঝি নাই যে ঢাকার ডা: দের ভিজিট আছে!! অত টাকাও নিয়ে যাইনাই!! মাইন্ক্যা চিপা আর কারে কয়। শেষে ডাক্তার সাহেব আমাকে ডেকে নিলেন, জানলেন যে, আমি ঢাকায় নতুন- ঢাকা কলেজে ইন্টার ভর্তি হৈচি। উনি বল্লেন, 'আচ্ছা যাও বাবা, টাকা লাগবেনা'। এখন ও সেই ডাক্তারকে মনে পরে।

১২। ভাইয়া (এডিবিতে আছেন) ঢাবিতে পড়তেন, তিনিই আমাকে নিয়ে এলেন ঢাকা কলেজে ভর্তির জন্য। এফ রহমান হল থেকে আমরা সকালে গেলাম নীলক্ষেতে তেহারী খেতে, গিয়ে বল্লেন-''মামা ৩ প্লেট দাও''। আমি মামার দিকে তাকিয়ে মিলানোর চেস্টা করি, উনি আমাদের কোন মামা? হলে ফিরে ভাইয়াকে জিগাইলাম-''ভাইয়া, উনি আমাদের কোন মামা?'' ভাইয়া আর রুমমেটরা হেসেই অস্হির। বোজেন ঠ্যালা!! ১৩।

আজ আর না। ........................ভাল থাকবেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.