আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফুটবল ক্রিকেটের কনফিউজড নিয়ম গুলি।

কিছু মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে। কিছু মানুষ স্বপ্নটা সত্যি করার জন্য ঘুম থেকে জেগে উঠে। জীবন আপনার কাছে সেভাবেই ধরা দিবে আপনি যেরকম থাকবেন।

( ক্রিকেট ফুটবলের কোন নিয়ম নিয়ে আপনার কোন কনফিউশন থাকলে জানাবেন। আমি সঠিক তথ্য দেওয়ার চেস্টা করব) ছোটবেলায় পাড়ায় ফুটবল খেলার সময় আমাদের দলের গোলকিপারের হ্যান্ডবলের কারনে বিপক্ষ দল একবার পেনাল্টি পেয়েছিল।

খেলাটা মিনি-পোস্টে ছিলনা তাই গোল-কিপারের হ্যান্ডবলে সেটা যে কোনভাবেই বিপক্ষ দল পেনাল্টি পায়না- সেই ভুল আর ভাঙ্গানো যায়নায়। ছোটবেলায় আরেকটা নিয়ম শুনতাম। গোল্ডকিপার নাকি সেন্টারের উপর উঠতে পারবেনা। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে প্রথম দেখলাম বেলজিয়ামের গোলকিপার জার্মানীর সীমান্তে চলে গেল তারপরেও পাড়ার লোকজনের ভুলটা আমি ভাঙ্গাতে পারলাম না। ব্যাপারটা আফসুসময়।

আমি এখানে সব কনফিউশন গুলা তুলে ধরি। ছোটবেলায় আমি একবার নো বলে স্ট্যাম্পিং আউট হয়েছিলাম, সেটাও দুঃখময়। তবে এটা ঠিক এখন আমরা স্যাটেলাইটের কারনে অনেক খেলা দেখতে পারি আগে সেই সুযোগ ছিলনা। ১)থ্রোইন, কর্নার কিক আর গোল কিকে অফসাইড হয়না। আমি সেই দূর্ভাগ্য ব্যক্তি যে ছোটবেলায় পাড়ার ফুটবলে কর্নার কিক থেকে অফসাইড হয়েছিলাম।

কর্নার কিক সবসময় ব্যাকপাস। এইখান থেকে অফসাইড হওয়া সম্ভব না। আর নিজের অর্ধে কখনও অফসাইড হয়না। ২) পেনাল্টি কিক সরাসরি নেয় সবাই। কিন্তু এটা সরাসরি না নিলেও চলবে।

আয়াক্স আমস্টারডামের একটা গোলের লিঙ্ক দিয়ে দিচ্ছি। http://www.youtube.com/watch?v=jaeDd1P8u5c এবার আসি ক্রিকেটে। একটু আগেই আমার ফেসবুকে দুটো ব্যাপার নিয়ে মানুষের কনফিউশন দূর করলাম। ১) দৌড়ায় তিন রানের বেশি নেওয়া যায় কিনা? প্রশ্নের উত্তর হল নেওয়া যায়। তিনরান কেন।

যত খুশি নেওয়া যায়। তবে আন্তর্জাতিক একদিনের খেলায় একবার খালি ৫ রান নিতে দেখেছিলাম রিকি পন্টিং আর ডেমিয়ান মার্টিনকে তাও ওভার থ্রো ছাড়াই। শোয়েব মালিক বল থামায় দড়ির ঐপাড়ে এমনই আছাড় খেল যে ততক্ষনে দুই ব্যাটসম্যান ৫ রান নিয়ে নিল। ঘটনার সময়কাল ২০০১ কি ২০০২। ইংল্যান্ডের মাঠে খেলাটা হয়েছিল।

বাংলাদেশে পাড়ার ক্রিকেটে বাই, ওভার থ্রো এইসব খেলা হয়না বিধায় অনেকে মনে করে ৩ রানের বেশি নেওয়া যায়না। ২) নো বলে স্ট্যাম্পিং হয় কিনা? না, নো বলে কখনই স্ট্যাম্পিং হয়না। ক্রিকেটের নো বলে নিয়ম হল বোলার উইকেট পাবে এমন কোনো আউট নো বলে হবেনা। কাজেই নো বলে হিট উইকেটও হবেনা। তবে রান আউট হবে।

হ্যান্ডল দ্যা বল হবে। এছাড়া বোলারের উইকেট ছাড়া আরো যে দুইভাবে আউট হওয়া যায় সেভাবে হবে। ৩) রান নিতে গিয়ে বা স্ট্যাম্পিং থেকে বাঁচতে ফিরে এসে ব্যাট দিয়ে উইকেট ভাঙ্গলা সেটা হিট উইকেট হবেনা। ৪) স্ট্যাম্পিং করার জন্য উইকেট কিপার অতি উতসাহী হয়ে আগে চলে গেলে স্ট্যাম্পিং হবেনা। তবে ব্যাটসম্যানের ব্যাটে লাগলে বা গায়ে লাগলে আগে যাওয়া যাবে।

আপাতত এতটুকুই। ক্রিকেট বা ফুটবল নিয়ে কারো কোনো কনফিউশন থাকলে জানাবেন। জেনে উত্তর দেওয়ার চেস্টা করব। কমেন্ট থেকে সংযোজন ১) নো বলে কিপার স্ট্যাম্পিং করে রান আউটের দাবী করতে পারে কিনা? স্ট্যাম্পিং আর রান আউটের পার্থক্য হলঃ The difference between stumped and run out is that the wicketkeeper may stump a batsman who goes too far forward to play the ball, while any fielder, including the keeper, may run out a batsman who goes too far for any other purpose, including for taking a run. এটা মানে হল, বলটা খেলতে গিয়ে যদি সামনে যায় তাহলে আউট হবেনা কিন্তু রান নেওয়ার কোনরকম অভিপ্রায় থাকলে সেক্ষেত্রে আউট হবে। বল খেলার সময় তো আর রান নিতে পারবেনা।

যদি স্ট্যাম্পিং করতে গিইয়ে বেল ফেলে দেয় এবং তারপর ব্যাটসম্যান রান নেওয়ার জন্য দৌড়ায় তাহলে স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলতে হবে। ২) ক্রিকেটে একটা জিনিসই আজীবন কনফিউজড হইছি। কি খেলতে গিয়ে কি খেলা দেখতে গিয়ে। সেটা হল রানার?? এর জবাব হল, Excerpt from Wiki for “Runner” says that If one of them (batsmen or the runner) is outside the crease, then the batsman is given out! কাজেই দুইজনকেই ক্রিজে থাকতে হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.