নিঃস্বার্থ মন্তব্যকে ধন্যবাদ, সাময়িক ভাবে আমি মন্তব্যে নেই
প্রথমেই বলে নেই মাঝ থেকে কাহিনীটা জানি, জন্মের পর একদিন শুনেছিলাম আমাদের চতুষ্পদ ভারবাহী নেই। পিতামহের বৈভব শূণ্য
ব্রহ্মপুত্রের চরে বাদামের ঘোড়ায়
দু একবার অনুরোধে স্থান হয়েছিল, বাকি সমস্ত সময় পিতার কাঁধে পা ছড়িয়ে যাত্রী হয়েছি। চৈত্রের দিনে গামছার আঁচল
জমানো নদীতে ঠোঁট ভিজিয়ে ক্ষ্যান্ত হয়েছিল তৃষ্ণার্ত বালক
দিনমজুর মাটি খুঁড়ে মাটি তুলে আনতেন, মন্বন্তরের ঘ্রাণ পেয়ে
নেমে আসছিল চিল এবং শকুন -
দেবদারুর মাঠে হাড় জির জিরে পুরুষেরা
টুকরি নিয়ে বসে থেকে ফিরে যায়,
হাড়িতে পানি ফোটে, চাল নেই
হাটে ফিরতে গিয়ে
পৃথিবীটাকে তার মনে হতো বড় এক তেলের শিশি।
সবার বাবাই তো অশ্বের মতো সংসার টানে। কিন্তু কতজনের জনক পলাতক খুনী? মা বিরহিনী নয়, প্রোষিতভর্তৃকা।
হুহু বাতাস ঢোকে, ছনের ঘরের জানালায় ভাঙা প্রশ্নের চিহ্ন এঁকে চাঁদ জেগে থাকে। দস্যুদল ছত্রাকের মতো বেড়ে যায়। কত খুনে জমিন সমতল হবে?
একটা নির্বাসিত বাড়িতে ঘুমালো সবাই। পিতার ফাসির একযুগ পর খুনীর রক্ত ঝুলছে সন্তানের গলার লকেটে। গাঁও ছাড়া, সহোদর বোন মেধাহীন।
একদিন সেও বেশ্যা হবে, মায়েরা বলে যুদ্ধে পরাজিত ঘোড়াদের বোঝা টানতে হয়, কিন্তু পায়ে তখনো থাকে আগুনের নাল।
গল্পগুলো চলছিল অনেক বছর ক্লান্তি, মৃত্যু ও বিতাড়িত ঘৃণায়।
---
ড্রাফট ১.০
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।