আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জলদস্যুদের তথ্য দেয়নি...

জাতিসংঘের সোমালিয়া ও ইরিত্রিয়া বিষয়ক একটি মনিটরিং গ্রুপ তদন্তের স্বার্থে জলদস্যু ও জঙ্গিদের ব্যাপারে তথ্য চাইলে ফেসবুক তা দিতে অস্বীকার করেছে। জাতিসংঘের গ্রুপটি এক প্রতিবেদনে বলেছে জলদস্যুতা, আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জঙ্গি ও সরকারের দুর্নীতি নিয়ে তারা তদন্ত করেছে। এতে অনেক বেসরকারি কোম্পানি সহায়তা করলেও ফেসবুক করেনি। তবে ফেসবুক এক বিবৃতিতে বলেছে, জাতিসংঘের ওই গ্রুপটির কাছে বৈধ কোনো কাগজ না থাকায় তাদের সহায়তা করা হয়নি। এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএ ফেসবুক, গুগল, ইয়াহুর কাছ থেকে নাগরিকদের সম্পর্কে তথ্য নেয়।

এই খবর প্রকাশ করে আলোচনার ঝড় তুলেছেন সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা এডোয়ার্ড স্নোডেন। এ ছাড়া শিশু নিরাপত্তা বিষয়ে মার্কিন আইন সংস্থাগুলোকে ফেসবুক নিয়মিত তথ্য দেয় বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবী ব্রাডলি শায়ের। তিনি সামাজিক যোগাযোগের আইনবিষয়ক একটি ব্লগও পরিচালনা করেন। শায়েরের ধারণা, জাতিসংঘের একটি সংস্থা ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে কাজ করছে বলে হয়তো ফেসবুক জাতিসংঘের সঙ্গে এমন করে থাকতে পারে। তবে সোমালিয়া মনিটরিং গ্রুপের সাবেক কো-অর্ডিনেটর ম্যাট ব্রাইডেন বলছেন, জাতিসংঘের এ ধরনের গ্রুপের কাছে আসলে 'সাপিনা' ক্ষমতা থাকে না।

অথচ ফেসবুকের নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো সংস্থা তদন্তের স্বার্থে তথ্য চাইলে তাদের কাছে অবশ্যই বৈধ 'সাপিনা' থাকতে হবে। উল্লেখ্য, সাপিনা হচ্ছে সরকার বা আদালত থেকে ইস্যু করা এক ধরনের তলবনামা বা ডকুমেন্ট। এদিকে এক জলদস্যু কমান্ডার বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন যে, তারা ফেসবুক ব্যবহার করেন না। অবশ্য সোমালিয়ার জঙ্গি আল-শাবাব গোষ্ঠীর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে উপস্থিত থাকার প্রমাণ আগে পাওয়া গেছে। * ইনফোটেক ডেস্ক

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.