খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কুয়েট। গত ২২-১১-২০১০ তারিখে এক ছাত্র'র মৃতু্ হয় চোলাই মদের বিষক্রিয়ায়। জানা যায়, বহিরাগত একটি চক্র কুয়েটের বিভিন্ন আবাসিক ছাত্রহলে মাদক সরবরাহ করতো। পত্রিকায় আরো জানা যায়, সিভিল বিভাগের ঐ ছাত্র নেতা সম্প্রতি কুয়েটে স্মরণকালের ভয়ংকর ভাংচুর-তাণ্ডব, সাংবাদিকদে ওপর হামলা, ভোর রাতে মহাসড়কে যাত্রী কোচে হামলাসহ একাধিক ঘটনা ঘটিয়ে এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃতও হয়েছিল। অতঃপর ভিসি বদলের পর রাজনৈতিক বিবেচনায় তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
বর্তমান কুয়েট প্রশাসনের শীর্ষ পদের ২/১ জনের অতিমাত্রায় রাজনৈতিক চর্চায় ঐ ছাত্রকে ব্যবহার, ক্যাম্পাস থেকে আকস্মিক পুলিশ প্রত্যাহার, চরম অপরাধী ও বহিষ্কৃত ছাত্রদের নিয়ম বহির্ভুতভাবে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ইত্যাদি নানা কারণেই কুয়েটের সার্বিক শিক্ষা পরিবেশ আজ বিপর্যয়ের মুখে। কুয়েট ক্যাম্পাসের বিভিন্ন আবাসিক হলে অবস্থানরত আমাদের সন্তানদের সার্বিক চরিত্র গঠনে বর্তমান কুয়েট প্রশাসন যে সম্পূর্ণ উদাসীন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সেটাই প্রমাণ করে। আমার ছোট ভাইটি কুয়েটের ছাত্র-যার কারনে সব সময় আমাদের মধ্যে একটা উদ্ববেগ কাজ করে। সামু ব্লগে কুয়েটের অনেক ছাত্র ব্লগিং করছেন-তাঁদের নিকট বিনীত অনুরোধ, আপনারা এই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়ে লিখুন। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির নামে মদের ব্যবসা বন্ধ করাসহ এই সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের সামগ্রিক শিক্ষা পরিবেশ উদ্বেগমুক্ত করতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে জোর আবেদন জানাচ্ছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।