বাঙলা কবিতা
তোমাকে চাওয়ার মধ্যে ছিলো না কোনই দ্বিধা,
অন্যায়বোধের ব্যাধি, বিন্দুমাত্র লজ্জার লাঞ্ছনা;
আহত আকাশ হাতে তবু দ্যাখো, কী রকম দ্বিখণ্ডিত,
সীমান্তে সীমান্তে তবু জর্জরিত, সীমিত পুরুষ সেজে
কেমন দুঃখের মেঘ, ফুটে আছি নিজস্ব আকাশে !
অদৃষ্টবাদের পাপ গায়ে মেখে
তাই ভাবি, জীবনের এতা রঙ কেন ?
কেন এই মানুষের ভাগ্যরেখা, এতো স্বেচ্ছাচারী !
জগতের পৃথক পানিতে শুয়ে একটি নদীই শুধু ডাকুক আমাকে...
সামান্য এ-চাওয়াটুকু ঝ'রে যায়
বসন্তেরও আগে !
এ কি তবে অসম্ভব চাওয়া ?
ওই তো দীর্ঘ যাচ্ছে, ফিরে যাচ্ছে নদী____
সহসা স্বপ্নের মধ্যে দাউ দাউ জ্বলে উঠছে
সুঘন বাগান...
ও বিষণ্ন দুঃখলতা, চির রুগ্ন কমল-কুমারী,
তুমি কি দ্যাখো না, সেই আগুনের আগ্রাসী ছোবল,
ভয়ানক সাপের মতন, আমাকে পেঁচিয়ে ধরছে,
আমাকে জাপটে ধরছে বেদনার বিখ্যাত দু'হাত !
আর আমি, আ্ক্রান্ত সমুদ্রমাছ, নিরূপায় কেঁদে উঠছি
হাঙরের হা-এর ভেতরে...
আমাকে পড়াচ্ছে কারা এতো দীর্ঘ শোকের পাঞ্জাবি ?
পায়ের গোড়ালিস্পর্শী অন্ধকার অচেনা পোষাকে
নিজের কাছেই নিজে আগন্তুক সেজে বসে আছি !
তবুও বিশ্বাস করি, অঝোর পুস্পঋতু আসবেই
পৃথিবীর দেশে; সকল শৃঙ্খল ভেঙে মানুষেরা একদিন
স্বাধীনতা পাবে; প্রেম সেই চিরন্তন মৌলিক বন্ধন,
সকল প্রার্থণা এসে যার কাছে নতজানু হবে...
এখনও বিশ্বাস করি, কোনওদিন সমতার গান হবে
মানুষ-সমাজে; কোনওদিন চাওয়ার সততা হবে
হৃদয়ের ন্যায্য নিয়ামক, সত্য ও সান্ত্বনা !
এখনও বিশ্বাস করি, ভলগা ছাড়া কোনও নদী হ্রদে মিশবে না,
সব নদী ফিরবেই নিজ নিজ সমুদ্রের কাছে;
অথচ তখন তুমি___ সীমান্ত সড়কে ক্লান্ত সময়ের ধূলি;
আমার সমস্ত চাওয়া হয়তো তখন____
পশ্চিমের সান্ধ্যলালে, গোধূলি ! গোধূলি !
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।