স্নিগ্ধার হাত ধরে কমিউনিটি সেন্টারে ঢুকে রিয়াদ ।
আজ রিয়াদের ঘনিষ্ঠতম বন্ধুর বড়ভাইয়ের বিয়ে । চারপাশ নানারকম আলোয় ঝলমলে ।
ওদের দূর থেকেই দেখে ফেলে বন্ধু রাশেদ । এগিয়ে এসে উষ্ণ সম্ভাষণ জানায় ।
‘কিরে ! ভাইয়া তো ঝুলে গেল । ’ স্বভাবসুলভ হাসিখুশি মুখ নিয়ে বলে রাশেদ । ‘তোরা ঝুলবি কবে?’
লজ্জিত হাসি দেয় স্নিগ্ধা ।
‘সামনের বছর, যদি আল্লাহ সব কিছু ঠিক রাখে, দোস্ত । ’ একটু হেসে বলে রিয়াদ ।
‘চল, ভাইয়ার সাথে একটু টোকাটুকি করে আসি । ’
হঠাৎ-ই হাসিটা ম্লান হয়ে যায় রিয়াদের মুখ থেকে ।
ওটা তৃণা না ? আরেকটা ছেলের হাত জড়িয়ে থাকতে দেখে ঈষৎ ঈর্ষার খোঁচা অনুভব করে ও বুকের ভেতর । তার থেকেও বেশি জ্বলে ওর ছেলেটার চেহারা দেখে । এই ব্যাটা দেখি একেবারে টম ক্রুজের বাংলাদেশি ভার্সন !
রাশেদদের দিকেই এগিয়ে আসছে ওরা ।
‘হেই রাশেদ !’ কাছাকাছি এসে ডাক দেয় ছেলেটা । ‘তরুণ ভাই আটকে গেছে । ভার্সিটিতে সমস্যা ওদের । ’
‘ড্যাম !’ ঘুরে দাঁড়ায় রাশেদ । ‘বেরিয়ে চলে আসতে বল ।
দাঁড়াও আমিই ফোন দিচ্ছি । ’
‘উঁহু – ভার্সিটিতে ভয়ানক আন্দোলন চলছে । ভিসি অপসারণের দাবীতে । ভায়োলেন্ট হয়ে উঠেছে পরিবেশ । ছাত্র কল্যান উপদেষ্টা হিসেবে উনি পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন ।
উনার ঘন্টা দুই দেরী হতে পারে । ’
‘কি আর করা । ’ মন খারাপ করে বলে রাশেদ । তরুণ ভাই কাজিনদের মধ্যে সবচেয়ে বড় – জানে রিয়াদ ।
হঠাৎ মনে পরে যাওয়ায় বিব্রত হয় রাশেদ ।
‘এই যাহ – পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় নি তোদের । ’ রিয়াদদের বলে ও, ‘কাজিন রেজা এবং হবু ভাবী তৃণা । রেজাকে চিনছ তো ? আর&টি গ্রুপ অফ ইন্ড্রাষ্ট্রিজটা ওরই । ’
‘হবু ভাবী?’ কখন যে জোরে উচ্চারণ করে ফেলে রিয়াদ – নিজেই খেয়াল করে না ।
‘বাগদত্তা ।
’ ছাগলের-মত-প্রশ্ন-করিস-কেন টাইপ লুক দেয় রাশেদ ।
একটানে পাঁচ বছর অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে যায় রিয়াদকে কিছু স্মৃতি ।
*
তৃণাকে প্রথম দেখে ও ওদের ইউনিভার্সিটির ফ্রেশারস ওয়েলকাম পার্টিতে ।
অসাধারণ সৌন্দর্য আর মার্জিত একটা উপস্থাপনা – এই দুটো জিনিসই প্রধানতঃ আকর্ষিত করে রিয়াদকে ।
ইলেক্ট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ছাত্রী তৃণা ।
রিয়াদ কম্পিউটার সাইন্সে ।
দূরত্বটা কমিয়ে ফেলার পেছনে ভার্সিটির সবাই কৃতিত্ব দিবে রিয়াদকে । রিয়াদের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার কাহিনী ভার্সিটির সব ব্যাচের স্টুডেন্টের কাছেই স্বীকৃত ছিল । অবশেষে দেবীর দয়া হল । আগস্টের আঠার তারিখ তৃণা সম্মতি জানায় রিয়াদকে ।
রিয়াদের জন্য পরের সাড়ে তিনটি বছর ছিল স্বর্গবাসের অভিজ্ঞতা । একসাথে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া, ছুটির দিনগুলোতে ঘন্টার পর ঘন্টা ঘুরে বেড়ানো, সন্ধ্যারাতে ছাদে উঠে গালে গাল ঠেকিয়ে চাঁদ দেখা আর মাসে একবার করে নৌকা ভ্রমণ । পরীক্ষার আগে একজন আরেকজনকে গাইড দেওয়া – কমন কোর্সগুলোর ক্ষেত্রে গ্রুপ স্টাডি – মানে কি একাডেমিক, কি পার্সোনাল – রিয়াদের জীবন তৃণাময় ছিল ।
কিছুটা সমস্যা যে ছিল না তাও নয় – প্রথম একটা বছর আবেগে অন্ধ হয়ে থাকলেও তার পর থেকে ভবিষ্যৎ ভেবে মাঝে মাঝেই চিন্তিত না হয়ে পারত না রিয়াদ ।
রিয়াদের বাবা একজন শিল্পপতি ।
সমাজের উচ্চস্তরের লোকজনের সাথে তাঁর উঠাবসা । অপরদিকে তৃণার বাবা সামান্য একজন স্কুলশিক্ষক । ন্যায়-নীতি ; মান-মর্যাদার কথা বিবেচনা করে সমাজ তাঁকে অনেক ওপরে স্থান দিতে পারে – কিন্তু নিজের বাবাকে চেনে রিয়াদ । তাঁর পুত্রবধূর পরিচয় দিতে তিনি ‘স্কুলশিক্ষকের’ মেয়ের প্রসঙ্গ কোনদিনই মেনে নেবেন না । স্ট্যাটাস মেইনটেইন করে চলেন তিনি ।
সমাজের মানদন্ড তাঁর কাছে অর্থ এবং শিক্ষা উভয়ই । পাল্লার দিকে অর্থই হয়ত একটু বেশি ভারী । আত্মীয়তা করার আগে অবশ্যই তিনি ক্লাস এবং স্ট্যাটাসের দিকে নজর দেবেন । তৃণার বাবা যেই মানদন্ডে কোনভাবেই রিয়াদের বাবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে না ।
তারপরেও দিন তো চলে যাচ্ছিল ! যতদিনে না থার্ড ইয়ার সেকেন্ড সেমিস্টারে উঠে ইন্টার-ইউনিভার্সিটি কম্পিটিশনে অংশ নেয় রিয়াদের গ্রুপ ।
কম্পিটিশনে রিয়াদদের প্রজেক্টই ফার্স্ট হয় – তবে রিয়াদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় কম্পিটিশনটাই । রানার্স আপ গ্রুপের লিডারের দিকে চোখ আটকে যায় রিয়াদের । মেয়েটার কথা বলার মধ্যে আধুনিকতার একটা ছাপ ছিল যেটা তৃণার মাঝে কখনও পায়নি ও । পরিচিত হতে দেরী করে না রিয়াদ । মেয়েটার নাম স্নিগ্ধা ; দেশের প্রথম সারির প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ।
ওখান থেকেই শুরু হয় ওদের বন্ধুত্ব । তৃণার জন্য সময় কমে আসতে থাকে রিয়াদের । স্নিগ্ধাকে তৃণার ব্যাপারে কখনো কিছু জানায় নি রিয়াদ । তাছাড়া স্নিগ্ধার বাবার অবস্থান রিয়াদের বাবার থেকেও একধাপ ওপরে কি না!
একদিন ফোনে তিক্ততার চরমে পৌঁছে যায় রিয়াদ-তৃণার সম্পর্ক । তখন রিয়াদ-স্নিগ্ধা হাতিরঝিলে ।
স্নিগ্ধা থেকে একটু সরে এসে রিসিভ করে রিয়াদ ।
‘হ্যালো ! রিয়াদ তুমি পাইছটা কি বল তো?’ আহত বাঘিনীর মত হুংকার দেয় তৃণা ।
‘কি হয়েছে ? চিল্লাচ্ছ কেন?’
‘তোমার আজ বিকালে আমার সাথে দেখা করার কথা ছিল না ?’
‘ও হ্যাঁ, হঠাৎ নতুন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ পড়ে গেল তাই আসতে পারি নি । ’
‘আমাকে দুধের শিশু পাইছ? তুমি ক্যাম্পাস থেকে ওই ডাইনিটার সাথে বের হয়েছ – কি ভেবেছ কিছুই খোঁজ খবর রাখি না আমি ??’
‘মুখ সামলে কথা বল । ’ হঠাৎ-ই মেজাজ চড়ে যায় রিয়াদের ।
‘আমার সাথে তুমি এভাবে কথা বলছ একটা প্রস্টিটিউটের জন্য ? ওর জামাকাপড়ের অবস্থা দেখছ ?’
‘শাট আপ!’ চোখ জ্বলে ওঠে রিয়াদের, চিবিয়ে চিবিয়ে তৃণাকে বলে ও, ‘শা-ট আ-প ! একটা ভদ্রঘরের মেয়ের ব্যাপারে এভাবে কথা বলা তোমার মত মেয়ের মুখে সাজে না । ইটস ওভার, তৃণা । আর কোনদিন আমার সাথে কন্ট্যাক্ট করার চেষ্টা করবে না । ইউর রিয়াদ ইজ ডেড !’ কচ করে লাইনটা কেটে দিয়ে স্নিগ্ধার কাছে ফিরে আসে ও ।
‘সরি - নতুন প্রজেক্টের ব্যাপারে ফোন দিয়েছিল ফ্রেন্ড ।
’ বিনীত একটা হাসি দিয়ে বলে রিয়াদ ।
নিজের ইগো ছুঁড়ে ফেলে তৃণা বার বার ক্ষমা চায় রিয়াদের কাছে । স্নিগ্ধার ব্যাপারে করা মন্তব্যের জন্য স্নিগ্ধার কাছে ক্ষমা চাইতেও তার আপত্তি নেই – রিয়াদকে শতবার জানালেও কান দেয় না ও । ততদিনে রিয়াদ – স্নিগ্ধার সম্পর্ক আরও এগিয়েছে কি না ।
অসহায় মেয়েটা এক রাতে এক পাতা স্লিপ পীল খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ।
বডি রিজেক্ট করে অতিরিক্ত পয়জন । মেডিকেলে রাখা হয় তৃণাকে এক সপ্তাহ । রিয়াদ কিছুই জানতে পারে না । যে রাতে আত্মহত্যার পথই তৃণার কাছে স্বর্গীয় লেগেছিল সে রাতেই রিয়াদ প্রপোজ করছিল স্নিগ্ধাকে । রিলেশনের এক বছরের মধ্যেই বাবাকে তাদের সম্পর্কের কথা জানাতে দ্বিধা করতে হয়নি রিয়াদকে – যে স্থান তৃণা সাড়ে তিনটি বছরেও পায়নি ।
দিন – মাস – করে বছরও পেরিয়ে যায় দুইটি । তৃণা স্মৃতি স্নিগ্ধার আড়ালে হারিয়ে যায় পুরোপুরি ।
*
আজ আবার তৃণাকে সামনে দেখে সব কিছু ওলোট-পালোট হয়ে গেল রিয়াদের । এই কয় বছরে মেয়েটা আরও সুন্দর হয়েছে । স্নিগ্ধাও যথেষ্ট সুন্দরী – কিন্তু আধুনিক পোশাক ছাড়া স্নিগ্ধার সৌন্দর্য্য ম্লান হয়ে যায় – লক্ষ্য করেছে রিয়াদ ।
অথচ তৃণার দিক থেকে বেচারার চোখ সরাতে রীতিমত কষ্ট হচ্ছে । বাঙ্গালী মেয়ের মত শাড়ি পরেই আজ এখানে এসেছে তৃণা – তাতে যেন ওর রূপ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে । আর ঘুরছে কার সাথে দেখো ! আর&টির মালিকের সাথে – সবচেয়ে অল্পবয়সী ধনীদের একজন যে বাংলাদেশে । যে তৃণাকে স্ট্যাটাসের দোহাই দিয়ে একদিন দূরে ঠেলে দিয়েছিল সে এখন তার থেকে দেখতে এবং বিত্তে কয়েকগুণ ওপরের স্তরের ছেলের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে – দৃশ্যটা অসহ্যকর লাগে রিয়াদের ।
একটা টেবিল জুড়ে বসে রাশেদ, তৃণা , রিয়াদ আর স্নিগ্ধা ।
রেজা তখন পরিচিত এক বন্ধুর সাথে কথা বলতে উঠে গেছে ।
কথা যা বলার ওরা তিনজনই বলছে । রিয়াদ হয়ে গেছে পাথরের মূর্তি ।
অথচ এমনটা হওয়ার কথা ছিল না ।
‘আমি-ই ওকে ডাম্প করি ।
দ্যাট ওয়াজ মি !!’ নিজেই নিজেকে বোঝায় ও । কিন্তু কাজ হয় না ।
‘স্নিগ্ধা ভাবীকে তো আপুর সাথে পরিচয় করানোই হল না !’ হঠাৎ মনে পড়ে রাশেদের । ‘তোরা কথা বল । আমরা আপুর সাথে কথা বলে আসি ।
’
তৃণা আর রিয়াদ একা এখন । দীর্ঘ দুই বছর পরে ।
‘কেমন আছ তুমি ?’ প্রশ্ন করে রিয়াদ ।
‘ভালো । ’ এতটুকুতে যেন প্রকাশ করতে পারে না তৃণা, ‘জীবনের সবচেয়ে ভালো সময় পার করছি ।
রেজার মত লাভিং একটা হাজব্যান্ড থেকে বড় চাওয়া একটা মেয়ের আর কি হতে পারে । ওকে দেখে গোমড়া মুখো মনে হচ্ছে না ? আসলে কিন্তু তা না । ভীষণ মজার মানুষ । ’ মুক্তোর মত দাঁত বের করে হাসে তৃণা । সুখী মানুষের হাসি ।
হঠাৎ লজ্জা পায়, ‘দেখেছ – নিজের কথাই বলে যাচ্ছি ! তোমার কি খবর । শুনলাম তোমাদের নাকি সামনের বছর বিয়ে ? তোমাদের দেখলেই এত হ্যাপী মনে হয় – জানো ? ’
ঠিক আধঘন্টা পর স্নিগ্ধাকে নিয়ে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠে রিয়াদ । রাশেদের সাথে যথেষ্ট খারাপ ব্যাবহারও করে । যথেষ্ট হয়েছে ওর জন্য । পাশের সীটে বসে থাকা স্নিগ্ধাকে রীতিমত বিরক্ত লাগছে এখন ওর ।
তার ওপর কালকে আঠারোই আগস্ট ।
আজকের চাঁদটা সুন্দর । আকাশেও মেঘ নেই ।
গাড়ির জানালা দিয়ে চাঁদের দিকে তাকিয়ে বিড় বিড় করে রিয়াদ – ‘হ্যাপী অ্যানিভার্সারি তৃণা’
*
ভেতরে একা বসে থাকে তৃণা । বিষন্ন মুখ ।
রেজা এসে মুখোমুখি বসে । বুলেটের মত প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় -
‘তাহলে এই ছেলের সাথেই প্রেম করতি তুই ইউনিভার্সিটি লাইফে ?’
‘হুঁ’
‘এই শালা তো টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না – তোর কপাল ভালো – এটাই বলব আমি । ’
রাশেদ এসে যোগ দেয় ।
‘অসাধারণ অভিনয়, ইমরান ভাই!!’ পিঠ চাপড়ে দেয় রেজা ওরফে ইমরানের ।
প্রাণ খুলে হাসে ইমরান, ‘আর&টি এর মালিক, মানে- আসল রেজার সাথে গবেটটার দেখা না হলেই হয় ।
’
হাসিতে যোগ দেয় তৃণা আর রাশেদও । রাশেদের সাথে হাত মেলায় তৃণা । এখানে ওর কাজ শেষ ।
‘থ্যাংকস এ লট রাশেদ ভাই । থ্যাংকস এ লট ।
’
তৃণাকে আস্তাকুড়ে ছুঁড়ে ফেলে রিয়াদ যখন স্নিগ্ধার হাত ধরে দৃশ্যপট থেকে উধাও হয়ে গেছে – তৃণা ছয়টি মাস আচ্ছন্নের মত পার করে । সারাটিদিন ঘরের মধ্যে নিজেকে বন্দী করে ফেলে । তারপর থেকে তৃণার মাথায় প্রতিশোধের চিন্তা ছাড়া আর কিছু কাজ করে না । পার্থিব মর্যাদার দোহাই দিয়ে ওকে ছুঁড়ে ফেলতে পারে যেই ছেলে – তাকে সে দেখিয়ে দেবে তার থেকেও বেশি মর্যাদার কাওকে পেতে পারে ও ।
রিয়াদের ইউনিভার্সিটি লাইফের বন্ধু রাশেদ কোনদিনই রিয়াদের আচরণকে ন্যায় বলে মানতে পারে নি ।
কাজেই এ ব্যাপারে পূর্ণ সহযোগীতা দেয় রাশেদ । খালাত ভাই ইমরানকে রেজার ভূমিকায় অভিনয় করার কথা বলতেই সানন্দে রাজি হয়ে যান ইমরান । বোনকে এবং পরিবারকে অসম্মান করে পার পেয়ে যাওয়া ছেলেটার বিরুদ্ধে কাজ করে পাওয়া আনন্দটাকে উপরি হিসেবে গ্রহণ করেন তিনি ।
চাঁদের দিকে তাকায় তৃণা ।
আজকের চাঁদটা সুন্দর ।
আকাশেও মেঘ নেই ।
বিড় বিড় করে বলে ও, ‘গুডবাই, রিয়াদ । ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।