অন্ধকার; মৃত নাসপাতির মতন নীরব
ত্রিশ লক্ষ প্রানের বিনিময়ে পেয়েছি স্বাধীনতা, মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম ত্যাগে ঘুচে গেছে পরাধীনতা; বুকের তাজা খুনে রঞ্জিত হয়েছিল বাংলার দামাল ছেলেদের বেশ, মরেছে মানুষ বেশুমার, বুলেটের বৃষ্টিতে, ফায়ারিং স্কোয়ার্ডে লাসের অবশেষ; স্তদ্ধ হয়ে দাঁডিয়েছিল মহাকাল, এখানে আমাদের স্বদেশ ।
পাকিস্তানের তাঁবেদার একাত্তুরের রাজাকার, বেজন্মারা মুক্তিযোদ্ধাদের করেছিল অত্যাচার; রাজাকারের গোলামি দেশটাকে করেছে ছারখার, নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করেছে উর্দি-পরিহিত ৯৬,০০০ মরুপশু ও তাদের দোষর ।
পাকিস্তানী শকুন, যুদ্ধবাজদের কাপুরুষতা ও অমানবিকতার চরম নৃশংস ও রোমহর্ষক, কলঙ্কময় ও ন্যাক্কারজনক পাশবিকতার অতলস্পর্শী অধ্যায় ৭১ । বুলেটে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া সেই রক্তাক্ত স্মৃতি, বাঙ্গালী হত্যাযজ্ঞ, বঙ্গকন্যার ধর্ষণ, নৃশংসভাবে শিশু হত্যা মানবতার ইতিহাসে নিঃসন্দেহে চিহ্নিত হবে সবচেয়ে কাল অধ্যায় হিসেবে । রক্তাক্ত গেরিলা মুক্তিযুদ্ধ উন্মোচিত করে অনেক ত্যাগ ও তিতিক্ষা ।
হিটলারের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে যেমন হাজারো মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল তেমনি মিরপুরে পাকিস্তানী পাকবাহিনী আর তাদের দোসর আলবদর গো-আজম এন্ড কোং হত্যা করে দেশের শ্রেষ্ট সন্তান ও বুদ্ধিজীবিদের ।
হালজামানার খাজাবাবা, মালা তসবি গলায় দিয়ে, বর্ণচোরা সুশীল হয়ে ধর্ম ব্যবসা করে; নামেই হয় মুসলিম, কামে ধান্দাবাজ, রাজাকারবংশীয় রক্তের এটাই পুর্বাভাস । পেরিয়ে গেছে তিন যুগ, লাল সবুজ ওড়ে ওদের গাড়িতে, জারজ রাজাকারগুলোর অনেকে বিভিন্ন সময় এসেছে শাসকের গদিতে ।
সুযোগ সন্ধানী দালালেরা অনেক সময়ই পেয়েছে সিংহাসন, দেশকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলে করছে প্রহশন; আঘাত আসেছে ভেঙে দিতে স্বাধীনতার প্রাসাদ, চলছে সেই রক্তের হোলি খেলা আজও দিন-রাত; ডাইনেস্টিক সাম্রাজ্যে স্বাধীনতার নামে আজও আমরা পরাধীন; মৌলবাদী মীর্জাফর রাজাকারগুলো আজও রয়েছে তৎপর বাঙালির জাতিসত্ত্বাকে করতে বিলীন ।
১৬ই ডিসেম্বর, সাহেব বিবি গোলামের বাক্সের খবর, কাল ষোলই ডিসেম্বর, আমাদের বিজয় দিবশ, আটত্রিশ বছরের অভ্যাস বসত জেগে উঠে ভিতরের বাঙালি যা সারা বছর থাকে অবশ ।
হয় তো এই লেখা শেষ করার পর আবারও কর্পুরের মত উদ্বায়ী হয়ে উড়ে যাবে আমার আবেগ । যারা পড়ছেন হয়তো তাদেরও । গলায় ছুরি চালিয়ে অপরাজনীতি চর্চা করে যাবে হায়নার দল, আর পরিকল্পিত নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে মায়ের অশ্রু জল । ভয়ংকর এসব মানসিকতার স্বমূল উৎপাটনে আজও আমরা অপারগ ।
“সাতকোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী
রেখেছো বাঙালি করে, মানুষ করোনি”
এই চেতনা আর যেন অবশ না থাকে!!! রক্তের মধ্য দিয়ে বয়ে যাক চেতনার শিহরণ ।
এই অধমের আহবান,
চেতনার স্বাক্ষর করতে হবে ভাস্বর, বন্ধ করে ধর্মীয় বিকৃত অপব্যখ্যার সেন্টার,
সবুজ গালিচা হয়েছে বাংগালীর রক্তে রঞ্জিত, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা তাই করা হোক পরিত্যক্ত ।
মানবতার অপমানে করতে হবে তিরোস্কার, আসুন সবাই শপথ করি,
এদেশ আমার অহঙ্কার, মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আর একবার !
_____________________________________________________
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।